বিজেপি বিরোধীতার বৃহৎ মঞ্চে মমতার আমন্ত্রণ নিয়ে কি বলছেন বিরোধীরা? জাতীয় রাজ্য July 24, 2018 ধর্মতলায় শহীদ সমাবেশে লক্ষ মানুষের সমাগম হয়েছিল। তবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন শুধুমাত্র ঘাসফুল সমর্থকেরাই। এবার বিজেপি বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে সভা করে লোকসভা ভোটের আগে মোদীজির ঘুম উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ২০১৯ এর গোড়ার দিকেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী যুদ্ধের দিন ঘোষণা হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। সেকথা মাথায় রেখেই ১৯ জানুয়ারি বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে বিগ্রেডে সমাবেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। এই সভায় কংগ্রেস নেত্রী তথা ইউপিএ-র চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী এবং সিপিএমকেও আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। তবে, কংগ্রেস এবং সিপিএম-এর রাজ্য নেতৃত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাব পাওয়া মাত্রই খারিজ করে দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে, সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘ফেডারেল ফ্রন্ট গঠনের নামে উনি আসলে বিজেপি’রই সংগঠনকে পোক্ত করতে চাইছেন। দেশে গণতন্ত্র ধ্বংসের কথা অন্তত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে মানায় না। পঞ্চায়েতভোটে লাগাম ছাড়া সন্ত্রাস, খুন এবং নজিরবিহীন আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করার রেকর্ড গড়েছেন। বিরোধীপক্ষের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রায় প্রতিদিনই ভয় বা প্রলোভন দেখিয়ে নিজেদের দলে টেনে নিয়ে সংগঠনের বুলি হাঁকাচ্ছেন মঞ্চে।’ তাঁর কটাক্ষ ‘ওঁর মুখে গণতন্ত্র রক্ষার বুলি শুনতে আমাদের তৃণমূলের সমাবেশে যেতে হবে নাকি?’ সম্প্রতি সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রও তৃণমূল সুপ্রিমোর এই ধরনের আমন্ত্রণকে পাত্তা দেননি বলে জানা গেছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও সুজনের সুরে সুর মিলিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলায় গণতন্ত্রের হত্যাকারী আখ্যা দিলেন। তৃণমূল ছলে-বলে-কৌশলে বিরোধী দলগুলো ভাঙার কাজ করছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। আপনার মতামত জানান -