তৃণমূলে যোগ দিয়েই প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে বোমা ফাটালেন বিজেপির হেভিওয়েট নেতা কলকাতা জাতীয় রাজ্য July 24, 2018 কথা দিয়েছিলেন সোমবার মুখ খুলবেন তিনি। কেন বিজেপি ছাড়লেন তা জানাবেন। কথা রাখলেন চন্দন মিত্র। বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ তৃণমূলে যোগ দিয়েই নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের বিরুদ্ধে উগরে দিলেন যাবতীয় ক্ষোভ। বললেন, নতুন ঘরে এসে নিজেকে মুক্ত লাগছে। এবার বাংলার জন্য কিছু করতে চাই। আর সেজন্য তৃণমূলের থেকে বড় মঞ্চ আর কী হতে পারে! একুশের মঞ্চে উজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল বিজেপি-ত্যাগী প্রাক্তন সাংসদ চন্দন মিত্রের। লালকৃষ্ণ আদবানির ঘনিষ্ঠ এই নেতা মোদী-শাহদের বৃত্তে স্থান পাননি। মেনে নিতে পারেননি বিজেপির বর্তমান নেতৃত্বের অনেক সিদ্ধান্তই। নোটবন্দি থেকে জিএসটি- সবকিছুতেই ছিল তাঁর তীব্র আপত্তি। তাই সমালোচনা করতে কখন পিছপা হননি। তাই তাঁকে আরও কোণঠাসা করে দেওয়া হয়েছিল দলে। শেষমেশ ঘরবদল করলেন তিনি। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। নতুন ঘর পেয়ে একরাশ অভিযোগ বেরিয়ে এল বর্ষীয়ান নেতা চন্দন মিত্রের কণ্ঠ থেকে। বিজেপি ছাড়ার কারণ জানাতে গিয়ে চন্দনবাবু বলেন, ‘সরকারে এসে একের পর এক জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই কারণে যে জনপ্রিয়তা নিয়ে তিনি সরকারে এসেছিলেন, এই চার বছরে তা তলানিতে পৌঁছেছে। উপনির্বাচনে একের পর এক হার স্বীকার করতে হচ্ছে। উগ্র ধর্মান্ধতা বেড়ে গেছে। তাই ওই দলে থাকতে আর মন চাইল না।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আদবানি, অটলবিহারীজির মত বিজেপির প্রাক্তন নেতৃত্বদের সঙ্গে বর্তমান নেতৃত্বের অনেক নীতিগত ফারাক আছে।’ জানান, দলনেত্রীর নির্দেশ মাথায় নিয়ে বাংলার জনগণের উন্নতির স্বার্থে কাজ করতে চান তিনি। তাঁর কথায়, ‘নতুন ঘর পেয়ে আমি খুশি। দলনেত্রী যে দায়িত্ব দেবেন তা পালন করব। বাংলার জন্য কিছু করার স্বপ্ন নিয়েই তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।’ বিজেপির হেভিওয়েট এই নেতাকে পেয়ে স্বভাবতই এখন তৃণমূলের পাল্লা ভারী। আপনার মতামত জানান -