এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > PB Exclusive: তৃণমূলের নেতা মন্ত্রী সাংসদ লোকজন জনগনকে চাকর-বাকর মনে করে: সায়ন্তন বসু

PB Exclusive: তৃণমূলের নেতা মন্ত্রী সাংসদ লোকজন জনগনকে চাকর-বাকর মনে করে: সায়ন্তন বসু


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এক্সক্লুসিভ – করোনা ভাইরাস এর জেরে গোটা পৃথিবীতে আতঙ্কের মেঘ বিদ্যমান। ভারত এই মহামারীর কবল থেকে রক্ষা পায়নি। প্রতিনিয়ত হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে করনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবার সংখ্যা ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অবস্থায় করোনা ভাইরাস বিষয়ে কেন্দ্র-রাজ্য তরজা আরো একবার মাথা চাড়া দিল। যদিও এই তরজা নতুন নয়।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মতামত নেবার জন্য প্রিয় বন্ধু বাংলা নিউজ ডেস্কের এক প্রতিনিধি যোগাযোগ করেছিলেন রাজ্য বিজেপি নেতা ও মুখপাত্র সায়ন্তন বসুর সঙ্গে। তিনি এ ব্যাপারে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রিয় বন্ধু বাংলার প্রতিনিধিকে এক্সক্লুসিভলি জানান।

১) আজ তৃণমূলের তরফে সাংবাদিক বৈঠকে সুব্রত বক্সী অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের জন্য করোনা টেস্ট হয়েছে বিলম্ব। ইতিপূর্বে করোনাকে কেন্দ্র করে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে রাজনৈতিক তরজাও আমরা লক্ষ্য করেছি। সেই জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে এমন একটা মন্তব্য, আপনি কি বলতে চাইবেন এর পরিপ্রেক্ষিতে?

সায়ন্তন বসু: সারাদেশে করোনা টেস্ট হয়ে গেল কিন্তু পশ্চিমবাংলায় হলোনা কেন? পশ্চিমবঙ্গের ডাক্তাররা করোনা হয়েছে এটা বলতে পারবে না! ডাক্তারদের কাছে পিপিই নেই! ডাক্তারদের ভয় দেখানো হয়েছে! এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে দুরাবস্থা দেখানোর জন্য যিনি ভিডিও করেছিলেন তাকে চমকানো হয়েছে! পুরো বিষয়টা ইন্টেনশনালি ভুল বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তবে এতে লাভ হবে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

২) আমফান পরবর্তী 17 দিন পরেও পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল গ্রামে এখনও পর্যন্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি বলে জানা যাচ্ছে। যার জন্য গ্রামবাসীরা নিজেরা পরিস্থিতি সামাল দিতে কাজে হাত লাগিয়েছেন। কি বলবেন এই ঘটনাটি নিয়ে?

সায়ন্তন বসু: সারা রাজ্য জুড়ে আঁধারের খেলা চলছে। শাসক যদি এরকম থাকে, তাহলে সেখানে এইরকমই আঁধার নেমে আসে।

৩) করোনা আক্রান্তের নিরিখে ভারত স্পেনকে পেছনে ফেলে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে। ভারতে যখন হুহু করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, সেই সময় অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য একের পর এক ক্ষেত্র খুলে দেওয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে এমন পরিস্থিতিতে, আনলক করাটা আপনার পক্ষে কতটা যুক্তিযুক্ত ?

সায়ন্তন বসু: জিওমেট্রিক পোগ্রেশনে সেই খারাপ বার্তা নেই। মানুষের মধ্যে হার্ড ইমিউনিটি ধীরে ধীরে তৈরী হচ্ছে। দ্বিতীয় পয়েন্ট হচ্ছে, ভারতবর্ষ একটি বিশাল জনসংখ্যার দেশ। ডেনসিটি বা ঘনত্ব এত বেশি। এটা আমাদের প্রত্যেকেরই অনেক বেশি চিন্তার কারণ ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সঠিক সময়ে সঠিক নির্ণয়ের কারণে অনেকটা কন্ট্রোল করা সম্ভব হয়েছে। আক্রান্তের হার হয়ত বাড়বে। কিন্তু হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়ে যাবে ও বিপদ কমে যাবে।

৪) গতকাল পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারেন্টাইন প্রসঙ্গে মাননীয়া সাংসদ শতাব্দী রায় বলেছিলেন, সবাইকে জামাই আদর দেওয়া সম্ভব না। এই মন্তব্যকে আপনি কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন?

সায়ন্তন বসু: তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ, লোকজন জনগনকে চাকর-বাকর মনে করে। তাই এই জন্যই এই ধরনের কথা তারা বলেন। আমাদের অনুরোধ জামাই আদর দিতে না পারুন, অন্তত খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাটা রাখুন, সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা করুন। কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলো রোগ ছড়ানোর জায়গা। তাই এখান থেকে যদি সংক্রামিত হন তাহলে নারী-পুরুষ-শিশু সবাই সংক্রামিত আছে। খুব ভয়ংকর অবস্থা। দুর্ভাগ্যজনক ওনার মন্তব্য, নিন্দার ভাষা নেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!