এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দিল্লির আন্দোলন চরম ফ্লপ! তবুও লজ্জা নেই মমতার মন্ত্রীর? শুধুই ভাষন, কটাক্ষ বিজেপির!

দিল্লির আন্দোলন চরম ফ্লপ! তবুও লজ্জা নেই মমতার মন্ত্রীর? শুধুই ভাষন, কটাক্ষ বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- মিথ্যা বলতে বলতে কার্যত শেষ সীমায় পৌঁছে গেছেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। আর এমন সব মিথ্যা তারা বলছেন যে, নিজেদের জলে নিজেরাই ধরা পড়ে যাচ্ছেন। অন্তত পরিস্থিতি দেখে তেমনটাই বলছে বিরোধীরা। কিন্তু কেন এই কথা বলছে বিরোধীরা? কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে কিছুদিন আগেই দিল্লির যন্তর মন্তরে সভা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের তখন কতই না বক্তব্য ছিল। পুলিশ দিয়ে নাকি তাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে। তাদের সভা বানচাল করার চেষ্টা হচ্ছে! যদিও বা সেই সভায় কত লোক ছিল, বাংলা থেকে কত লোককে জোর করে তৃণমূল নিয়ে গিয়েছে দিল্লিতে, সেই নিয়েও একটা প্রশ্ন রয়েছে বিরোধীদের মধ্যে। কিন্তু দিল্লিতে মোক্ষম জবাব পাওয়ার পরেও শিক্ষা হয়নি তৃণমূলের নেতাদের। এবার সেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে রাজভবন চলো কর্মসূচিতেও আবার বড় বড় গলায় ভাষণ দিতে দেখা গেল রাজ্যের এক মন্ত্রীকে। যা নিয়ে তৃণমূলকে চরম কটাক্ষ করছে বিরোধীরা।

প্রসঙ্গত, এদিন এই রাজভবন চলো কর্মসূচিতে তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীরা বক্তব্য রাখেন। আর তার মাঝেই রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাজা বড় বড় গলায় দাবি করেন, তাদের দিল্লির যন্তর মন্তরের সভা চূড়ান্ত হিট। এত লোক হয়েছে যে, শেষ পর্যন্ত বিজেপি ভয় পেয়ে গিয়েছে। যে কারণেই বাংলার বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি দিল্লিতে গিয়ে টাকা বন্ধ করার চেষ্টা করেছেন। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী নাকি দিল্লিতে না থেকে পালিয়ে গিয়েছেন! প্রতিমন্ত্রী নাকি পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন! ইত্যাদি অনেক বড় বড় কথা বলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী।

অর্থাৎ এক কথায় তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে উঠে এসেছে যে, বিজেপির নেতারা তৃণমূলের এই দিল্লির সভা দেখে ভয়ে ঠকঠক করে কাঁপছে। কিন্তু হেভিওয়েট মন্ত্রীর এই কথায় হাসি থামাতে পারছে না বিরোধীরা। তারা বলছেন, একেই তো আঞ্চলিক দল। তার মধ্যে তারা দিল্লিতে সভা করে ভাবছে যে, তারা অনেক বড় রাজকার্য করে ফেলেছে। তাদের সভায় কত লোক ছিল, তা তো অনুপ্রাণিত মিডিয়াদের দেখানো সম্ভব হয়নি। তারা তো শুধুমাত্র মঞ্চের দিকেই ক্যামেরা ঘুরিয়ে ছিল। আর বিজেপি নেতাদের খেয়েদেয়ে কাজ নেই, যে তৃণমূলের এই সভা নিয়ে তারা দিল্লির মতো শক্তিশালী জায়গায় চিন্তিত হয়ে পড়বে! এসব বাংলায় বিজেপির সভা নিয়ে চিন্তা করতে পারে শাসক দল। কিন্তু বিজেপি সর্বভারতীয় দল। তারা এত ক্ষুদ্র চিন্তা ভাবনা রাখে না বলেই দাবি সমালোচকদের।

বিজেপির বক্তব্য, এতই যখন জনসমাগম ছিল, তাহলে গান্ধীঘাটে পুলিশ যখন একটা হুইসেল বাজালো, সেখান থেকে কেন পালিয়ে আসলেন তৃণমূলের যুবরাজ? কেন পুলিশের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করার মত ক্ষমতা ছিল না তার? এখন রাজ্যে এসে নিজের পুলিশকে নিয়ে অনেক বড় বড় ভাষণ তিনি রাজভবনের সামনে দিতেই পারেন। তার মন্ত্রীদের দিয়ে দেওয়াতেই পারেন। কিন্তু দিল্লির মাটিতে তৃণমূল যে চরম জ্যাক খেয়েছে, তা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের দেখা না করার অর্থ এটা নয় যে তারা তৃণমূলকে ভয় পেয়েছে অর্থ এটাই যে বাংলার মানুষের টাকা নিয়ে দুর্নীতি করেছেন এই তৃণমূল নেতারা। যে কারণে তাদের সঙ্গে আলোচনা পর্যন্ত করতে রাজি নন কেন্দ্র আগে তাদের হিসেব দিতে বলা হয়েছে তারপরে টাকা দেওয়ার বিষয়ে তৎপর হবে বিজেপি সরকার। তাই এখন হাওয়া ঘুরিয়ে ময়দান কাপানোর চেষ্টা শশী পাজার মতো মন্ত্রীরা করবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দিল্লির মাটিতে তাদের সভা সফল হয়েছে বলে যে দাবি তৃণমূল করছে, তা ভিত্তিহীন ছাড়া আর কিছু নয় বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, দিল্লিতে তো তাও প্রশাসন সভা করতে দিয়েছে। কিন্তু বাংলায় যে শশী পাঁজা এত বড় বড় কথা বলছেন, তিনি নিজের বিধানসভায় বিজেপিকে কটা সভা করতে দিয়েছেন! সেই প্রশ্নের উত্তর কি তিনি দিতে পারবেন। তাই আঞ্চলিক দলের নেতাদের মুখ থেকে এত বড় বড় কথা অন্তত মানায় না। বিজেপি তাদের দেখে ভয় পাওয়া তো অনেক দূরের কথা, তারা হাজারটা সভা দিল্লির মাটিতে করলেও তা নিয়ে বিচলিত হবে না। আর তার জবাব আগামী দিনে লোকসভা নির্বাচনে এই পশ্চিমবঙ্গ থেকেই হাতেনাতে পেয়ে যাবে আঞ্চলিক তৃণমূল কংগ্রেস। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি রাজনৈতিক সমালোচকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!