এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ধীরে ধীরে মমতার সাধের সংখ্যালঘু ভোট ভাঙ্গার কাজ চালু মুকুলের! একুশের আগে প্রবল চিন্তায় তৃণমূল?

ধীরে ধীরে মমতার সাধের সংখ্যালঘু ভোট ভাঙ্গার কাজ চালু মুকুলের! একুশের আগে প্রবল চিন্তায় তৃণমূল?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত মূল্যবান ভোটব্যাংকের মধ্যে রয়েছে সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক। এই সংখ্যালঘুদের সমর্থন বেশি তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে থাকার কারণে গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির থেকে চারটি আসন বেশি পেয়ে মুখরক্ষা হয় ঘাসফুল শিবিরের বলে দাবি করে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এবার ভারতীয় জনতা পার্টি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের সেই সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে নিজেদের দিকে টানতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

জানা গেছে, সদ্য বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির দায়িত্ব পেতেই এবার বিজেপিকে পশ্চিমবাংলায় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছেন মুকুল রায়। যেখানে সংখ্যালঘুদের বিজেপির দিকে টেনে আনতে নিজের মোক্ষম চাল দিলেন বঙ্গ বিজেপির চাণক্য। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সংঘ ঘনিষ্ঠ সংখ্যালঘুদের সংগঠন রাষ্ট্রীয় মুসলিম মঞ্চের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুকুল রায়। যেখানে সংগঠনের নেতা আলী আফজল চাঁদের সঙ্গে বিধাননগরের বাড়িতে প্রায় আধঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির। আর তারপরেই নানা মহলে জল্পনা ছড়িয়েছে, হয়ত এবার মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ঘুম উড়িয়ে দিতে তার সাধের সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক নিজেদের দিকে টানতে মুকুল রায় সেই সংখ্যালঘুদের মন জয় করতে মাঠে নেমে পড়লেন।

একাংশের মতে, পশ্চিমবঙ্গের প্রায় 137 টি আসনে প্রধান নির্ণায়ক শক্তি এই সংখ্যালঘু। তাই সেই সমস্ত জায়গায় তৃণমূলের বদলে যদি বিজেপি একটু বেশি করে মাথাচাড়া দিতে পারে, তাহলে সংখ্যালঘুদের সমর্থন তারা অতি সহজেই পেয়ে যাবে। কিন্তু বিজেপিকে এতদিন মুসলিম বিদ্বেষী দল হিসেবে দাবি করে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই বিজেপি থেকে সেই তকমা ঘোচাতে মুকুল রায় সংখ্যালঘু সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করলেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একাংশ বলছেন, মুকুল রায়ের সঙ্গে সংখ্যালঘুদের অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইমাম থেকে শুরু করে সংখ্যালঘু নেতা, তৃণমূল হোক বা বিজেপি, যখন যে দলে ছিলেন, তখন এই সম্প্রদায়ের সঙ্গে অত্যন্ত ভালো সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন মুকুল রায়। সম্প্রতি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ত্বহা সিদ্দিকীর সঙ্গে একটি বৈঠক করেছিলেন। আর এই বৈঠকের পেছনে মুকুল রায়ের সূক্ষ্ম মস্তিষ্ক ছিল বলেই দাবি করেন বিশেষজ্ঞরা। তাই সেই সমস্ত দিক থেকে মুকুল রায় সংখ্যালঘুদের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক তৈরি করে সেই সংখ্যালঘু ভোট নিজেদের দিকে আনতে এখন থেকেই ময়দানে নেমে পড়লেন বলে মনে করা হচ্ছে।

অনেকে বলছেন, মুকুল রায় এই চেষ্টা করছেন শুধুমাত্র তৃণমূলের ভোট নিজেদের দিকে আনতে, এমনটা বললে ভুল বলা হবে। তিনি তৃণমূলের ভোটকে যেমন সংখ্যালঘুদের থেকে বের করে আনার চেষ্টা করছেন, ঠিক তেমনই সেই ভোট যাতে বিজেপির দিকে আসে, তার জন্যেও কৌশল স্থাপন করেছেন। অর্থাৎ এক শতাংশ ভোট ভাঙলে 2 শতাংশ ভোট বিজেপি বেশি পাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কেননা রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের 42 শতাংশ এবং বিজেপির 40 শতাংশ ভোট রয়েছে। সুতরাং দুই দলের ভোট শতাংশের পার্থক্য 4 শতাংশ। সেদিক থেকে যদি এক শতাংশ ভোট তৃণমূলের ভেঙ্গে যায়, তাহলে তৃণমূল 41 শতাংশে এবং বিজেপি 39 শতাংশে পৌঁছবে। আর এই সমীকরণ যদি বাস্তব হয়, তাহলে তৃণমূলের ভোট ভাঙলে অনেকটাই সাফল্য পেয়ে যেতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর সেই দিকটায় লক্ষ্য রেখেই মুকুল রায় এখন সংখ্যালঘুদের জনমত বিজেপির দিকে নিয়ে আসতে মাঠে নেমে পড়েছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে মুকুল রায়ের এই চেষ্টা কতটা সফলতা পায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!