এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কেরলায় বিজেপিকে আটকাতে বাংলার জ্যোতি-বুদ্ধ মডেলের পথে হাঁটতে চলেছে বামফ্রন্ট

কেরলায় বিজেপিকে আটকাতে বাংলার জ্যোতি-বুদ্ধ মডেলের পথে হাঁটতে চলেছে বামফ্রন্ট

কথায় আছে অতীতের পুনরাবৃত্তি হয়।সেই কথার রেশ ধরেই বঙ্গ ব্রিগেডের দেখানো পথেই পা বাড়াচ্ছে কেরল ব্রিগেড।রাজনৈতিক মহলের মতে,এ ব্যাপারে বাংলার রাজনৈতিক অতীত ইতিহাসকে মনে করিয়ে দিচ্ছে কেরল সিপিএম।বাংলার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী যখন বিরোধী দলনেত্রী ছিলেন,তখন আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে বারে বারে চাপে ফেলছিলেন জ্যোতি বসুর সরকারকে।মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর কাছ থেকে তখন স্বরাষ্ট্রদপ্তর নিয়ে তা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর হাতে তুলে দেন অনিল বিশ্বাসেরা।এককথায় তখন বাংলার উপমুখ্যমন্ত্রীই ছিলেন বুদ্ধদেব।এবার কেরলেও সেই স্বরাষ্ট্রদপ্তর পৃথক রাখার সিদ্ধান্ত নিল সিপিএমেল পলিটব্যুরো।

বর্তমানে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের হাতেই আছে স্বরাষ্ট্রদপ্তর।রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন,দেশজুড়ে যখন বিজেপির বিরুদ্ধে দলিত নির্যাতনের অভিযোগ এনে মাঠে নেমেছে বিরোধী জোট,এবং যেখানে এই বিরোধী জোট শরিক হিসাবে রয়েছে সিপিএম,সেখানে তারই কেরল রাজ্যে একের পর এক দলিত নির্যাতনে উঠছে প্রশ্ন।জানা গেছে,কদিন আগে  সিপিএমের কেরলর কোঝিকোড় জেলায় খাবার চাওয়ায় গনপিটুনির শিকার হয়ে প্রান গিয়েছিল এক দলিত যুবকের।কোট্টায়ম জেলাতেও সম্ভ্রম রক্ষায় খুনের অভিযোগ এসেছে।তাই এ সবে তীব্র বিপাকে পড়া কেরল সরকারের কাছে সিপিএমের পলিটব্যুরোর নির্দেশ,সেখানে আলাদা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাখা হোক।

সূত্রে খবর, নতুন কাউকে না এনে দপ্তর ঊদ বদল করে মন্ত্রীসভৃর ভৃতর থেকেই কাউকে দেওয়া হতে পারে এই মন্ত্রক।কবে হবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত! কেরল রাজ্য সিপিএমের কথায়,চলতি মাসে রয়েছে কেরলের তিনটি আসনে রাজ্যসভার ভোট।হিসেব অনুযায়ী এখানে বিধায়কের নিরিখে দুটি আসন পাবে বামেরা।তাই রাজ্যসভার প্রার্থী স্থির করেই এই মন্রীসভার রদবদল করা হবে।এ প্রসঙ্গে সিপিএমের এক পলিটব্যুরো সদস্য জানান,”গত দু বছরে কেরলের এলডিএফ সরকার যথেষ্ট ভাল কাজ করেছে।এমন নয় যে পুরোপুরি আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে।কিছু কিছু ঘটনা এমনভাবে ঘটছে যাল পেছনে চক্রান্ত রয়েছে।সব মিলিয়ে সরকারকে সতর্ক থাখতে হবে।”

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

বিজেপি সূত্রে খবর,দেশের বিভিন্ন রাজ্য দখলের পর এবার তাদের টার্গেট এই দক্ষিনী রাজ্য।এখানে বর্তমানে প্রায়শই সিপিএমের সাথে গন্ডোগোলে জড়াচ্ছে সংঘ পরিবার।এখানেই রাজনৈতিক মহলের ধারনা দেশে দলিত রক্ষায় সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে যখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন কেরল  সিপিএমের বৃন্দা কারাট,তখন সেই কেরলেই এই দলিত হত্যায় সিপিএমকে অনেকটাই চাপে রাখতে চায় গেরুয়া শিবির।অপরপক্ষে বিজেপিকে সেই সুযোগ না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের ওপর থেকে কিছুটা ভার কমিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে আলাদা কাউকে বসাতে যায় কেরল সিপিএম।

অনেকেই এখানে কৌতুক সুরে বলছেন,এই রাস্তা অবলম্বন করে শ্যাম ও কূল একই সাথে রাখার চেষ্টা করছেন সিপিএমের কেরল নেতারা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!