এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যপাল নাকি ভয়ে পালিয়ে গিয়েছেন! ভাইপোর কাছে নম্বর পেতে চন্দ্রিমার চূড়ান্ত নাটক, পাল্টা সরব বিজেপি!

রাজ্যপাল নাকি ভয়ে পালিয়ে গিয়েছেন! ভাইপোর কাছে নম্বর পেতে চন্দ্রিমার চূড়ান্ত নাটক, পাল্টা সরব বিজেপি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ভয়াবহ বন্যা বিপর্যয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে দিল্লি থেকে সোজা উত্তরবঙ্গে পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যপাল। তবে আজ আবার তৃণমূলের রাজভবন চলো কর্মসূচি ছিল। আর এই খবর শোনার পর থেকেই তৃণমূল দাবি করছে, রাজ্যপাল নাকি ভয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। আর এবার রাজভবন চলো কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে সেই একই কথা বলতে দেখা গেল রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে। অনেকে বলছেন, তৃণমূলে এখন দুটো লবি। একটি পিসির, অপরটি ভাইপোর। পিসির লবিতে রয়েছেন চন্দ্রিমাদেবী। তাই ভবিষ্যৎ সুরক্ষার কথা ভেবে ভাইপোর কাছে হিরো সাজতেই রাজ্যপালকে আক্রমণ করে নিজের পদ টেকানোর মরিয়া চেষ্টা করলেন এই তৃণমূল নেত্রী বলেই দাবি একাংশের।

প্রসঙ্গত, এদিন রাজভবনে রাজ্যপাল না থাকলেও, তৃণমূল তাদের কর্মসূচি করে। মিছিল করে রাজভবন পর্যন্ত এসে সেখানে মঞ্চে বক্তৃতা দিতে থাকেন একের পর এক তৃণমূলের নেতা মন্ত্রী। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যপালকে কটাক্ষ করেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “কখনও দিল্লি, আবার কখনও শিলিগুড়ি করে বেড়াচ্ছেন। রাজ্যপাল ভয় পেয়েছেন, তাই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। কথায় আছে, যঃ পলায়তি, স জীবতি। তাই রাজ্যপালও এই কাজ করছেন।” আর এখানেই প্রশ্ন, সাধারণ জ্ঞান থাকলে কি চন্দ্রিমাদেবী এই কথা বলতে পারতেন? তারা নাকি মানবদরদী সরকারের নেতা মন্ত্রী! তাহলে উত্তরবঙ্গে যখন মানুষ বন্যায় কাঁদছে, তখন সেই বিপদের দিনে মানুষের পাশেই তো দাঁড়াতে উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি তো এমনি এমনি ঘুরতে যাননি। তাহলে পালিয়ে বেড়ানোর যে কথা রাজ্যের মন্ত্রী বলছেন, তা কি সত্যিই তার কাছ থেকে কাম্য? কটাক্ষ করে এমনই বলছে সমালোচক মহল।

বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যদের আরও অনেক দিন রাজনীতির ময়দানে টিকে থাকতে হবে। সেই কারণে নিজের জায়গা সেফ রাখতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে রাজ্যপালকে বেনজির আক্রমণ করতে দেখা গেল তাকে। আর এই সরকার এমনিতেও রাজ্যপালকে সম্মান দেয় না। সাংবিধানিক প্রধানকে যা ইচ্ছে তাই বলে আক্রমণ করে। তাই তাদের কাছ থেকে এই ধরনের মন্তব্য স্বাভাবিক। তবে এসব করে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যরা ভাইপোর কাছে নিজেদের নম্বর বাড়াতে পারেন। কিন্তু সাধারন মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারবেন না বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, একশো দিনের কাজে বঞ্চনা হয়েছে, তার জন্য দিল্লি গিয়ে হম্বিতম্বি করে আসার পরেও শান্তি হয়নি তৃণমূলের। এবার তারা রাজ্যপালের কাছেও বাংলার বঞ্চনার যে সমস্ত চিঠি তারা জোগাড় করেছে, সেই চিঠি পৌঁছে দিতে চান। তবে রাজ্যপাল মানুষের দুর্দিনে উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে সেখানে গিয়েছেন। সাংবিধানিক প্রধানের কাছে তৃণমূলের দাবি শোনার থেকেও অনেক বেশি প্রাধান্য পায় সাধারণ মানুষের অভাব, অভিযোগ, বিপদ এবং দুর্দশা। কিন্তু তৃণমূল অবশ্য সাধারণ মানুষের বিপদের থেকেও বেশি রাজনীতি করতে ব্যস্ত। সেই কারণেই তারা রাজ্যপাল যখন মানুষের জন্য উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন, তখন “তিনি নাকি পালিয়ে গিয়েছেন” এই ধরনের আক্রমণ করে নাটক করতে ব্যাস্ত। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি রাজনৈতিক সমালোচকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!