এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নিয়োগ দুর্নীতিতে আদালতে চরম থ্যাতানি খেল ইডি! সময় বেঁধে ডেডলাইন বিচারপতির!

নিয়োগ দুর্নীতিতে আদালতে চরম থ্যাতানি খেল ইডি! সময় বেঁধে ডেডলাইন বিচারপতির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলছে আদালত। শুধু ডাকাডাকি করেই কেন থেমে থাকছে! কবে শেষ হবে এই তদন্ত! তা নিয়ে এর আগেও প্রশ্ন উঠেছে। আর এবার ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে দ্রুত এই তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। যেখানে আজ আদালতের পক্ষ থেকে রীতিমতো ডেডলাইন বেঁধে ইডিকে নাকানিচোবানি খাওয়ালেন বিচারপতি বলেই মনে করছেন একাংশ।

সূত্রের খবর, এদিন নিয়োগ দুর্নীতির দীর্ঘ তদন্ত চলার কারণে কার্যত অসন্তোষ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি। স্পষ্ট ভাষায় তিনি ইডিকে দ্রুত এই তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন। ইডির উদ্দেশ্যে বিচারপতি বলেন, “দ্রুত তদন্ত শেষ করতে হবে। 18 মাস ধরে তদন্ত চলছে। আগামী 31 ডিসেম্বরের মধ্যে এই তদন্ত শেষ করুন।” অনেকে বলছেন, এতদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিরা এই তদন্ত নিয়ে উস্মা প্রকাশ করেছেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আর এবার বিচারপতি সেই তদন্ত শেষ করতে তারিখ দিয়ে ডেডলাইন বেঁধে দিলেন। যার ফলে আশা তৈরি হয়েছে চাকরি প্রার্থীদের মধ্যেও।

বিরোধীদের দাবি, দুর্নীতি যে হয়েছে, তা জলের মতো পরিষ্কার। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা শুধু ডাকাডাকি করেই আটকে রয়েছে। তারা তদন্তকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছে না। হেফাজতে নিতে পারছে না কোনো রাঘব বোয়ালকে। যার ফলে আদালত একমাত্র ব্যবস্থা, যারা আশার আলো দেখাচ্ছেন। দ্রুত তদন্ত শেষ করে শিক্ষিত চাকরি প্রার্থীরা চাইছেন যে, দুর্নীতির সমূলে উৎপাটন হোক। তাই ইডিকে কার্যত চাপে ফেলে দিয়ে বিচারপতির এই ডেডলাইন বেধে দেওয়ার বিষয়কে স্বাগত জানাচ্ছে বিরোধী শিবির।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এবার ইডির ক্ষেত্রে আরও চাপ হয়ে গেল এই দুর্নীতির তদন্ত শেষ করা নিয়ে। যে করেই হোক, এবার তাদের আদালতের এই ডেডলাইনকে মান্যতা দিয়ে আরও দ্রুত তদন্তের গতি বাড়াতে হবে। আর সেই তদন্তের গতি যদি বাড়াতে শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, তাহলে যারা এই দুর্নীতির মাথা, তাদের গ্রেপ্তার হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। স্বাভাবিক ভাবেই আজ আদালতে ইডি যে থ্যাতানির মুখে পড়েছে, তাতে তাদের অন্তত লজ্জা থাকলে এবার শিক্ষা হওয়া উচিত। বিচার ব্যবস্থা যেভাবে তাদের সাহায্য করছে, তারপর এই দুর্নীতির তদন্ত শেষ করতে ডেডলাইন অনুযায়ী তার চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছনো উচিত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!