এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > হেভিওয়েট বিজেপি নেতার অস্ত্রেই গেরুয়া শিবিরকে মাত দিলেন  নেত্রী 

হেভিওয়েট বিজেপি নেতার অস্ত্রেই গেরুয়া শিবিরকে মাত দিলেন  নেত্রী 

 

বৃত্ত সম্পন্ন হল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের। 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের কাছে পরাজিত হতে হয় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অর্পিতা ঘোষকে। সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের তদানীন্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রর বিরুদ্ধে নেপথ্যে থেকে বিজেপিকে মদত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

এরপরই তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে বিপ্লব মিত্রকে সরিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূল সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষকে। তারপরে আর সময় নষ্ট করেননি বিপ্লব মিত্র। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার 10 জন জেলা পরিষদ সদস্যকে নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন বিপ্লব মিত্র। যার ফলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ ভারতীয় জনতা পার্টির দখলে চলে আসে।

কারণ ওই দশ জন সদস্যের মধ্যে জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায়ও ছিল। আবার বিপ্লব মিত্র ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করার পরেই জল্পনা শুরু হয় যে, গঙ্গারামপুর পৌরসভা তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে থাকবে কিনা! কারণ গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন বিপ্লববাবুর ভাই প্রশান্ত মিত্র।

খবর পাওয়া যাচ্ছিল, সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলর তার সঙ্গেই রয়েছেন। কিন্তু প্রথমেই বিপ্লব মিত্রের ভাই প্রশান্ত মিত্র সহ একাধিক বিপ্লব মিত্রের ঘনিষ্ঠদের তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ। তারপরেই আবার আস্থা ভোটে জয় যুক্ত হয়ে গঙ্গারামপুর পৌরসভা নিজেদের দখলে রাখতে সক্ষম হয় তৃণমূল কংগ্রেস।

রাজনৈতিক মহলের কাছে গঙ্গারামপুর পৌরসভার যাকে অর্পিতা ঘোষের প্রথম জয় হিসাবে দেখা হচ্ছিল।এদিকে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যাওয়া 10 জন জেলা পরিষদ সদস্য মধ্যে পাঁচজন সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসের ফিরে আসে। কিন্তু জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূলে না আসাতে প্রশাসনিক এবং উন্নয়নমূলক কাজকর্ম চালাতে সেই সভাধিপতিরই মুখাপেক্ষী হতে হচ্ছিল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। যা নিয়ে বাধা পড়ছিল উন্নয়নের কাজে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সম্প্রতি প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা থেকেই এই বিষয়ে কড়া বার্তা দিতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর এবার সেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায় গতকাল অর্পিতা ঘোষের হাত থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা নিয়ে পুনরায় ফিরে আসলেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসে। আর এতে করে একদিকে যেমন ভারতীয় জনতা পার্টির হাতে থাকা একমাত্র জেলা পরিষদ পুনর্দখল করতে সক্ষম হল তৃণমূল কংগ্রেস, অন্যদিকে তেমনই রীতিমতো রাজনৈতিক লড়াইয়ে পরাজয়ের মুখ দেখতে হল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা বিজেপি নেতা বিপ্লব মিত্রকে।

অবশ্য লিপিকা রায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে বিজেপি নেতা তথা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, “শাসকের চাপে পড়েই তৃণমূলে যোগ দিলেন সভাধিপতি। ক্ষমতার পরিবর্তন হলে ফের সকলে বিজেপিতে যোগ দেবেন।”

অন্যদিকে আবার জেলা পরিষদের সভাপতি লিপিকা রায় পুনরায় তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিতে পারে এই খবর নাকি ছিলই না দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে। এমনকি যার হাত ধরে লিপিকাদেবী ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেছিলেন, সেই বিপ্লব মিত্রই নাকি জানতেন না সভাধিপতির তৃণমূলে ফেরত আসার বৃত্তান্ত। তবে এই ব্যাপারে অবশ্য দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার আনাচে-কানাচে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, বিপ্লব মিত্রের তরফ থেকে যে অর্পিতা ঘোষকে বহিরাগত রাজনীতি সম্পর্কে অনভিজ্ঞ ইত্যাদি কটাক্ষ করা হয়েছিল, সেই বিপ্লব মিত্রের সঙ্গে লড়াইয়ে কিন্তু শেষ হাসি হাসলেন অর্পিতা ঘোষই।

রাজনৈতিক মহলের মতে, এটা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে এটা একটা বড় সাফল্য। এখন দেখার বিষয়, নিজেদের ধাক্কা সামলে নিয়ে পরবর্তী কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে ভারতীয় জনতা পার্টি! আর নিজেদের ঘরকে গুছিয়ে রাখতে সাংগঠনিক ভিত্তিকে মজবুত করতে আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেসই বা কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন! সেদিকেই লক্ষ্য থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!