রাজ্যে চিকিৎসার বেহাল দশা, একি অবস্থা করেছে মমতা সরকার? সুকান্তর তথ্য ফাঁসে উত্তাল রাজ্য! উত্তরবঙ্গ তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য October 6, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাঝেমধ্যেই বড় বড় গলায় দাবি করেন, তার সরকার নাকি সবদিক থেকে এগিয়ে। এই রাজ্য নাকি এগিয়ে বাংলার রাজ্য। সত্যি, প্রতি মুহূর্তে তার প্রমাণ দিচ্ছেন তৃণমূল সরকারের কর্মকর্তারা। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কিভাবে এই সরকার ধ্বংসের মুখে নিয়ে যাচ্ছে, এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তা তথ্য সহকারে প্রমাণ স্বরূপ তুলে ধরলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে যে, একটি গ্রামীণ হাসপাতালে প্রেসার মাপার যন্ত্র এগিয়ে দিচ্ছেন সিভিক ভলেন্টিয়ার। স্বাভাবিক ভাবেই এমনিতেই যে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের প্রশাসনের কাজে, আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে যুক্ত করতে নিষেধ করেছে আদালত, তাদের এবার যেভাবে চিকিৎসা ব্যবস্থাতেও নিয়ে আসছে এই সরকার, তা দেখে রীতিমতো হতবাক সকলেই। প্রসঙ্গত, এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। যেখানে দেখা যায়, এক সিভিক ভলেন্টিয়ার প্রেসার মাপার যন্ত্র এগিয়ে দিচ্ছেন। আর এই ছবি পোস্ট করে সুকান্তবাবু সেখানে লেখেন, “তৃণমূলের এগিয়ে বাংলার বিস্ময়কর নিদর্শন। এই ছবিই বলে দিচ্ছে, কেমন বিশ্বমানের স্বাস্থ্য পরিসেবা দেয় তৃণমূল সরকার।” জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমুন্ডি গ্রামীণ হাসপাতালে চিত্র এমনই। আর এখানেই অনেকের প্রশ্ন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নাকি রাজ্যে চরম উন্নত! এই রাজ্য নাকি এক নম্বরে! সেখানে কেন চিকিৎসক বা চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বদলে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের দিয়ে এই ধরনের কাজ করাচ্ছে রাজ্য! মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার এই প্রবণতা কবে বন্ধ হবে পশ্চিমবঙ্গে? বিরোধীদের দাবি, তৃণমূল সরকার এই সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করার পর থেকেই তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রত্যেকটি জায়গায় তাদেরকে দিয়ে নিজেদের দলীয় তন্ত্র কায়েম করার চেষ্টা করে এই রাজ্যের শাসক দল। মানুষের মেরুদন্ডকে প্রতিমুহূর্তে ভেঙ্গে দিচ্ছেন শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা। আর এবার হাসপাতালেও চিকিৎসা পরিষেবাকে কার্যত লাটে তোলার ব্যবস্থা করছেন তারা। সুকান্তবাবুর এই তথ্যের মধ্যে দিয়ে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল, এই রাজ্যে এখন মানুষের জীবন প্রশ্নের মুখে। প্রত্যেকটি স্তম্ভকে ধ্বংস করে দিয়ে তৃণমূল সরকার ক্ষমতা ভোগ করতে ব্যস্ত। তাই তাদের ওপর আর ভরসা করা যায় না বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের। পর্যবেক্ষকদের মতে, মুখেই এই রাজ্য এগিয়ে বাংলার কথা বলে। বাইরে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের নামে কতই না প্রশংসা করেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তার রাজ্যের দিকে তাকালে বাইরের শিল্পপতিরাও কার্যত লজ্জা পেয়ে যাবে। তা না হলে কোনো এক গ্রামীণ হাসপাতালে যেখানে মানুষ চিকিৎসার জন্য যায়, সেখানে চিকিৎসা পরিষেবা এগিয়ে দিচ্ছে সিভিক ভলেন্টিয়ার! এ জিনিস কি কখনও মেনে নেওয়া যায়? কবে হয়তো দেখা যাবে, এই সরকারের বদান্যতায় চিকিৎসকদের বদলে হাসপাতালে বসে চিকিৎসা করবেন এই সিভিকরাই! কটাক্ষ করে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -