এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজভবনে নাকি বিজেপির বৈঠক হত? তৃনমূল নেতার ভয়ঙ্কর তথ্য, ধুয়ে দিচ্ছে বিজেপি!

রাজভবনে নাকি বিজেপির বৈঠক হত? তৃনমূল নেতার ভয়ঙ্কর তথ্য, ধুয়ে দিচ্ছে বিজেপি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- দুদিন আগে পর্যন্ত যাকে বিজেপির হয়ে কথা বলতে হত, যে দিন রাত বিজেপির পার্টি অফিসে পড়ে থাকত, বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পরাজিত হওয়ার পর সেই লোকটি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এককালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত ধুয়ে দিয়েছেন। যা ইচ্ছে তাই বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এখন তিনি বিজেপি থেকে তৃণমূলে এসে বড় নেতা সাজার চেষ্টা করছেন। এমন একটা ভাব যেন, তিনিই তৃণমূলের প্রতিষ্ঠাতা। বঙ্গ রাজনীতিতে এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে কটাক্ষ করে তেমনই বলছে সমালোচক মহল। কিন্তু কেন তারা এই কথা বলছে? আপনারা সকলেই জানেন, জয়প্রকাশ মজুমদারের কথা। জয়প্রকাশবাবু এবার রাজভবনকে নিয়ে এক ভয়ংকর তথ্য দিলেন। যে তথ্যে কার্যত টালমাটাল রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূল বলছে, জয়প্রকাশবাবু তো বিজেপিতে ছিলেন। তাই তিনি বিজেপির ঘরের কথা এবার ফাঁস করে দিয়েছেন। এবার বিজেপি কি বলবে? কিন্তু বিজেপি দলবদল করা এই নেতার বক্তব্য নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন।

প্রসঙ্গত, এদিন তৃণমূলের রাজভবন চলো কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন এই জয়প্রকাশ মজুমদার‌। যেখানে তিনি বলেন, “আমি দীর্ঘদিন বিজেপিতে ছিলাম। আমি বলছি, একসময় এই রাজভবনে রাজ্যপালের নিরাপত্তায় গোপন মিটিং হত।” অর্থাৎ জয়প্রকাশবাবু অভিযোগ করছেন যে, এই রাজভবনকে বিজেপি পার্টি অফিসে পরিণত করেছে। একসময় তিনি যখন বিজেপিতে ছিলেন, তখন এই রাজভবনে নাকি বিজেপির গোপন মিটিং অনুষ্ঠিত হত। আর সেটা নাকি রাজ্যপালের প্রশ্রয় হয়েছে, এমনটাই জয়প্রকাশ বাবুর অভিযোগ। তবে নতুন নতুন তৃণমূল হওয়া এই নেতার বক্তব্যকে বিন্দুমাত্র আমল দিতে চাইছে না গেরুয়া শিবির।

বিজেপির দাবি, জয়প্রকাশ বাবুর মতো নেতা বঙ্গ রাজনীতিতে আর প্রাসঙ্গিক নন। প্রথমে কংগ্রেস, তারপর বিজেপি, তারপর তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বারবার নিজেকে দলবদলু নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তবে বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপিতে সুবিধা করতে না পেরে তৃণমূলে যোগ দিলেও, তৃণমূলের এখন তিনি খুব একটা গুরুত্ব পাচ্ছেন না। তাই কুৎসা করতে হবে, অপপ্রচার করতে হবে। এমন কিছু বলতে হবে, যাতে নেতারা তার দিকে দৃষ্টি দেন। তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে রাজভবন চলো কর্মসূচিতে কার্যত রাজ্যপালের দপ্তরকে কলুষিত করার চেষ্টা করলেন জয়প্রকাশবাবু বলেই কটাক্ষ বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, জয়প্রকাশ মজুমদার হয়তো এই বক্তব্য রেখে তৃণমূলের কাছে নিজের পয়েন্ট বাড়াতে পারবেন। কারণ তৃণমূল এমনিতেই রাজ্যপালকে সম্মান করে না। বারবার রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে যা ইচ্ছে, তাই বলে আক্রমণ করতে দেখা যায় শাসকদলের নেতাদের। রাজভবন চলোর নাম করে যে ধর্না কর্মসূচি শুরু করেছেন বাংলার যুবরাজ, সেখানেও একতরফা রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে আক্রমণ করা হচ্ছে। তাই সেখানে অন্য নেতাদেরকে পেছনে ফেলে নিজের পয়েন্ট বারানোর চেষ্টা করেছেন জয়প্রকাশবাবুর মত নেতা। তাই তার এই বক্তব্যকে নিয়ে চর্চা করার মত কিছু নেই। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা‌‌।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!