এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে তৃনমূলকে নাকানিচোবানি, কড়া পদক্ষেপ বোসের! দ্যাখ কেমন লাগে, কটাক্ষ বিজেপির!

কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে তৃনমূলকে নাকানিচোবানি, কড়া পদক্ষেপ বোসের! দ্যাখ কেমন লাগে, কটাক্ষ বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে দিল্লিতে নাটক করার পর এবার রাজভবন চলো অভিযানের নাম করে ধর্না দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের এই ধর্না আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। রাজ্যপাল কেন রাজভবনে নেই, তা নিয়েও কটাক্ষ করতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের। যুবরাজের দাবি, যতক্ষণ না রাজ্যপাল এসে দেখা করছেন, ততক্ষণ তিনি এই ধর্না মঞ্চেই থাকবেন। তবে শেষ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল তৃণমূলকে কার্যত এই বিষয়ে নাকানিচোবানি খাওয়ালেন। তৃণমূল ভেবেছিল, রাজ্যপাল হয়তো তাদের এই ধর্না হুঁশিয়ারিতে খুব দ্রুত রাজভবনে চলে আসবেন। তাদের সঙ্গে রাজভবনে এসে দেখা করবেন। কিন্তু রাজ্যপাল দিল্লি থেকে আবার আসছেন উত্তরবঙ্গে। তাই এবার সেখানেই তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে দেখা করে তাদের দাবিদাওয়া জানানোর কথা বললেন রাজ্যপাল।

সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি দেখার পরেই গতকাল দিল্লী পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তারপর সেখান থেকে আবার তিনি শনিবার উত্তরবঙ্গে যাবেন। আর তৃণমূল যখন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার জন্য চিৎকার চেঁচামেচি করে সমস্ত কিছু মাথায় তুলছে, তখন রাজ্যপাল জানিয়ে দিলেন, যদি দেখা করতে হয়, তাহলে উত্তরবঙ্গে এসে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল তার সঙ্গে দেখা করতেই পারে। জানা গিয়েছে, শেষ পর্যন্ত তাতে নাকি রাজি হয়েছে রাজ্যের শাসক দল। শনিবার দার্জিলিংয়ের রাজভবনে তৃণমূলের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। আর শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের এই সুর নরম হওয়া নিয়ে তাদের কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধী দল বিজেপি।

গেরুয়া শিবিরের দাবি, দ্যাখ কেমন লাগে! সব সময় ঔদ্ধত্য কাজ করে না। শেষ পর্যন্ত রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার জন্য তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে যেতে হচ্ছে দার্জিলিংয়ে। পুলিশ তাদের হতে পারে, প্রশাসন তাদের হতে পারে, তাদেরকে দিয়ে যা ইচ্ছে তাই করতে পারে এই তৃণমূল দল এবং তাদের সরকার‌। কিন্তু সব সময় তারা আইনের ঊর্ধ্বে উঠতে চাইলে তা সম্ভব নয়। রাজ্যপাল এবার তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে উত্তরবঙ্গে দেখা করার কথা বলে মোক্ষম টাইট দিলেন। যাদের এত দম্ভ, এত অহংকার, এই ঘটনার পর তাদের সবকিছু ধুলোয় মিশে গেল বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, যুবরাজ অবশ্য বলেছেন যে, তিনি নাকি রাজ্যপাল যতক্ষণ না রাজভবনে আসবেন এবং 50 লক্ষ চিঠি তার কাছে পৌঁছে দেবেন, ততক্ষণ নাকি ধরনা দেবেন। সে তিনি যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন। কিন্তু দিনের শেষে তো একটা জিনিস পরিষ্কার হয়ে গেল যে, রাজ্যপাল নিজের অবস্থানে অনড় থাকলেন। শেষ পর্যন্ত তার কাছেই পৌঁছতে উত্তরবঙ্গ যেতে হচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে। রাজ্যের মাটিতে যারা এত বড় বড় কথা বলেন, বড় বড় ডায়লগ ঝাড়েন, তারা রাজ্যপালের অনড় মনোভাবের কাছে কার্যত মাথানত করতে বাধ্য হলেন। এখন তৃণমূল নেতারা ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। বিষয়টিকে ঘুরিয়ে দিয়ে বলবেন, এটা তাদের নৈতিক জয়। কিন্তু বাংলার মানুষ বুঝে গিয়েছে যে, রাজ্যপালের সঠিক মনোভাব এবং পদক্ষেপ তৃণমূলকে কার্যত এই ইস্যুতে ব্যাকফুটে ফেলে দিয়েছে। আর সেই কারণেই নিজেদের দাবি তুলে ধরতে উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় নেতারা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!