এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কামদুনির রায়ে চরম বিড়ম্বনায় মমতা! পুলিশের ব্যার্থতাই দায়ী, সোচ্চার বিরোধীরা! ব্যাপক চাপে নবান্ন!

কামদুনির রায়ে চরম বিড়ম্বনায় মমতা! পুলিশের ব্যার্থতাই দায়ী, সোচ্চার বিরোধীরা! ব্যাপক চাপে নবান্ন!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- প্রায় 10 বছর আগে রাজ্যের বুকে ঘটে গিয়েছিল কামদুনির নৃশংস ধর্ষণের ঘটনা। তারপর থেকেই সুবিচারের দাবিতে রাজ্যজুড়ে উঠেছিল আওয়াজ। নিম্ন আদালতের পক্ষ থেকে দোষীদের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু আজ হাইকোর্টের রায়ের দিকে নজর ছিল সকলের। মৃতার পরিবার থেকে শুরু করে প্রতিবাদীরা সকলেই ভেবেছিলেন, দোষীদের কঠোর সাজা হবে‌। নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখবে কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই রায়ে ভেঙে পড়েছেন সকলে। যেখানে আদালতের পক্ষ থেকে দোষীদের ফাঁসির সাজা রদ করা হয়েছে। তার বদলে তাদের আমৃত্যু কারাদণ্ডের কথা ঘোষণা করেছে বিচারপতি। আর এরপর থেকেই সরকারি আইনজীবী থেকে শুরু করে রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। আর এবার সেই ব্যাপারেই রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।

প্রসঙ্গত, এদিন কলকাতা হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পরেই কার্যত ভেঙে পড়েন মৃতার পরিবার থেকে শুরু করে মৌসুমী কয়াল এবং টুম্পা কয়ালরা। তারা দাবি করছেন, এবার তারা সুপ্রিম কোর্টের দারস্ত হবেন। আর তার মাঝেই রাজ্যকে বিড়ম্বনায় ফেলে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এদিন এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের অনেকে জড়িত রয়েছে। তাই পুলিশ সঠিক তথ্য প্রমাণ দেয়নি। আদালতও সেই কথা বলেছে যে, সঠিক তথ্য প্রমাণের অভাবে এদের সাজা দেওয়া গেল না। আজকে এই ধরনের ঘটনার জন্য পুলিশের ব্যর্থতা দায়ী।” আর বিজেপির রাজ্য সভাপতি এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত হতে দেখা যাচ্ছে প্রতিবাদীদের একাংশকেও। তারা বলছেন, যদি সরকারি আইনজীবী এবং পুলিশ মিলে এই দোষীদের বিরুদ্ধে সঠিক তথ্য প্রমাণ দিত, তাহলে হয়ত আদালত এই ধরনের রায় দিত না।

বিরোধীদের দাবি, এই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের মেরুদন্ড সম্পূর্ণরূপে ভেঙে গিয়েছে। কামদুনির ঘটনার মধ্যে দিয়ে তা আবার প্রমাণিত। আদালত তার নিজের মতো করে রায় দিয়েছে। কিন্তু আদালতের রায় তো এমনি এমনি পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে তো সঠিক তথ্য প্রমাণ দিতে হয়। কেন পুলিশের সেই সদর্থক ভূমিকা দেখতে পাওয়া গেল না? তাহলে কি পুলিশ প্রশাসন কাউকে আড়াল করতে চাইছে! এত বড় ঘটনার পরেও কেন প্রশাসনের এই নির্লজ্জতা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

পর্যবেক্ষকদের দাবি, কামদুনির সকলেই আশা করেছিলেন যে, একটা সুবিচার তারা পাবেন। একটা মেয়েকে ধর্ষণ করে যেভাবে মৃত্যু মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল, তাতে তার পরিবার শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের ওপর ভরসা রেখেছিলেন। কিন্তু আদালতের রায়ে সকলেই ভেঙে পড়েছেন। গোটা রাজ্যের মানুষ কার্যত হতাশ। মুখ্যমন্ত্রী তো এই ঘটনার পর অনেক বড় বড় কথা বলেছিলেন। আজকে কোথায় সুবিচার পেলেন মৃতার পরিবার! কোথায় সুবিচার পেল কামদুনি? ঘটনার দশ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও আজ মেয়েটা শান্তি পেল না। যার জন্য একমাত্র পুলিশের অপদার্থতাই দায়ী। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!