এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পুর নিয়োগে দুর্নীতি স্পষ্ট, মমতার মন্ত্রীর কপালে চরম দুর্ভোগ! মোক্ষম চ্যালেঞ্জ বিজেপির!

পুর নিয়োগে দুর্নীতি স্পষ্ট, মমতার মন্ত্রীর কপালে চরম দুর্ভোগ! মোক্ষম চ্যালেঞ্জ বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পৌর নিয়োগে দুর্নীতির জন্য রবিবার প্রায় নয় ঘন্টা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। আর এরপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি অনেক বড় বড় কথা বলেছেন রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী। কাঁপা কাঁপা গলায় তিনি দাবি করেছেন, তিনি কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন। বৃথা তাকে হেনস্থা করা হচ্ছে। তিনি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, এটা যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে, তাহলে তিনি নাকি মন্ত্রীপদ থেকেও ইস্তফা দেবেন। কিন্তু মন্ত্রী এত বড় কথা বলার পরেও, তার বিরুদ্ধে উঠছে ভয়ংকর অভিযোগ। পৌর নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, তার জন্যই কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্ত করছে। আর সেই অনিয়মে ভরা দুর্নীতির ফাইলে সই করে অনুমোদন দিয়েছেন রাজ্যের পৌরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ইতিমধ্যেই সেই অভিযোগ করে বঙ্গ রাজনীতিতে ভূমিকম্প ধরিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই এই পৌর নিয়োগ নিয়ে যে তল্লাশি হচ্ছে, তা নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া দেন তিনি। কার্যত সকলকে চমকে দিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, “আমি অন রেকর্ড বলছি, উনি বেআইনি নিয়োগে সই করে অনুমোদন দিয়েছেন, অন রেকর্ড আছে। এবার কি নিয়েছেন, কি নেননি, সেটা তো তদন্তকারী সংস্থার ব্যাপার। তারা ঠিক করবে। কারণ সবটা জানার সুযোগ আমার নেই।” আর মন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করে এজেন্সির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করলেও, তার পাল্টা শুভেন্দু অধিকারী যে কথা বললেন, তাতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

একাংশ বলছেন, ফিরহাদ হাকিমের যে অবস্থা, তাতে তিনি বোঝাতে চাইছেন যে, তিনি দুর্নীতি করেননি। এমনকি প্রয়োজনে তার বিরুদ্ধে কেউ দুর্নীতির অভিযোগ করলে শেষ পর্যন্ত তাকে দেখে নিতেও রাজি, এইরকম কথাও বুঝিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের এই মন্ত্রী। কিন্তু তারপরেও তো শুভেন্দু অধিকারী তার বিরুদ্ধে এত বড় ভয়ংকর অভিযোগ করলেন। বিরোধী দলনেতা তো বললেন যে, বেআইনি নিয়োগে সই করেছেন রাজ্যের এই মন্ত্রী। ফলে এবার কি চুপ করেই বসে থাকবেন ববি হাকিম! নাকি বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার মতো সাহস দেখাবেন তিনি! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে তৃণমূলের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে বিজেপি। তারা বলছে, মন্ত্রী তো বড় বড় গলায় অনেক কথা বললেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী যা বললেন, তাতে কি এবার ববি হাকিম চ্যালেঞ্জ করবেন তাকে? যদি সত্যিই তিনি দুর্নীতি না করে থাকেন, তাহলে শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যের পর তো তার আইনি পথে হাঁটা উচিত। কিন্তু ববি হাকিম সেই চ্যালেঞ্জিং পথে পা বাড়াতে পারবেন না। কারণ তিনি নিজেও জানেন, তার দল এবং সরকার কিভাবে এই পৌর নিয়োগের দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। আর তার বিষয়টিও যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছে, এবং সেই কারণেই যে তার বাড়িতে এজেন্সি এসেছিল, তা তো স্পষ্ট। ফলে এতকিছুর পরেও মন্ত্রীর এই বড় বড় ডায়লগ সাধারণ মানুষ গ্রহণ করবে না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের দাবি, দুর্নীতি না হলে তো এমনি এমনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কারও বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি করবে না। নিশ্চয়ই তার বিরুদ্ধে কোনো না কোনো অভিযোগ তাদের কাছে রয়েছে। কিন্তু তদন্তে সহযোগিতা না করে মন্ত্রীর বড় বড় কথা মানায় না। তবে এবার তার জারিজুড়ি সব ফাঁস করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। যদি তিনি দুর্নীতি নাই করে থাকবেন, তাহলে এবার শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করে পাল্টা বিবৃতি দিন। তাহলেই বোঝা যাবে, পৌরমন্ত্রীর দম রয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তিনি শুভেন্দু অধিকারীর পাল্টা বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। তাই দুর্নীতি হলে তার জন্য তদন্তকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করতেই হবে। মুখে বড় বড় কথা বলে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা যতই করুন মন্ত্রী সাহেব, দুর্নীতি হলে সাজা পেতেই হবে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!