এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃনমূলের ধর্না তুলতে কেন্দ্রীয় বাহিনী! অ্যাকশন শুরু রাজ্যপালের? আওয়াজ তুললেন শুভেন্দু!

তৃনমূলের ধর্না তুলতে কেন্দ্রীয় বাহিনী! অ্যাকশন শুরু রাজ্যপালের? আওয়াজ তুললেন শুভেন্দু!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজভবনের অদূরে রীতিমত মঞ্চ বেঁধে তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের রাজনৈতিক কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে ধর্না কর্মসূচি করছে। প্রথম থেকেই এই কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি এবং তাদের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে 144 ধারা জারি থাকে, সেখানে কেন রাজ্যপাল এই ধরনের পরেও তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। আর এই পরিস্থিতিতে রাজভবনের পক্ষ থেকে মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে, কিভাবে এই ধর্না করছে তৃণমূল কংগ্রেস? যার জেরে রীতিমতো চাপে রয়েছেন তৃণমূলের যুবরাজ। আর এই পরিস্থিতিতে এবার রাজ্যপালের ওপর চাপ সৃষ্টি করে মোক্ষম বান প্রয়োগ করলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এবার দাবি করলেন যে, যদি এই ধর্না তৃণমূল না ওঠায়, তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পিটিয়ে তাদের তুলে দেওয়া উচিত। অবিলম্বে রাজ্যপালের এই কাজ করা উচিত।

একাংশের বক্তব্য, একদম সঠিক কথাই বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যে বিরোধীদের সভা করতে দেয় না এই পুলিশ প্রশাসন। অথচ রাজভবনের সামনে তারা তৃণমূলকে ধর্না কর্মসূচি করার অনুমতি দিল। নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সব জায়গায় আইনশৃঙ্খলাকে ধ্বংস করছেন তৃণমূলের যুবরাজ। তারপরেও পুলিশ প্রশাসন যেমন চুপ, ঠিক তেমনই নীরব রাজভবন। রাজনৈতিক জ্ঞান না নিয়ে তৃণমূলের যুবরাজ আবার বড় বড় গলায় দাবি করছেন, বিজেপি কেন মিছিল করে রাজভবনে গিয়েছে! কিন্তু যুবরাজের মাথায় রাখা উচিত, মিছিল করে রাজভবনে মানুষ তাদের দাবি নিয়ে যেতেই পারে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু সেটার সঙ্গে ধর্নার আকাশ পাতাল পার্থক্য রয়েছে। এভাবে 144 ধারা জারির মধ্যে ধর্না কোনোভাবেই করা যায় না। ফলে আইনের রক্ষক হয়ে তৃণমূল নিজেরাই আইন ভাঙছে বলেই দাবি সমালোচকদের।

বিজেপির দাবি, আইন কিভাবে ভাঙতে হয়, তা খুব ভালো মতোই শিখেছেন রাজ্যের শাসক দল। কিন্তু সব জায়গায় যুবরাজের মাতব্বরি চলবে না। তিনি পুলিশ দিয়ে আইন ভাঙ্গার কাজ করবেন, এটা রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দল অন্তত মেনে নেবে না। তাই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবার রাজ্যপালের উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করলেন। স্পষ্ট জানালেন, তৃণমূলকে সরানোর জন্য এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী নামান। তুলে দিন তৃণমূলের এই অবৈধ, নিয়ম কানুন না মানা ধর্নাকে। তৃণমূল একশো দিনের কাজের টাকা চুরি করবে, তারপর তাদের কাছে হিসেব চাওয়া হবে, আর তখন তারা হিসেব না দিয়ে ধর্না করবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাই তাদের এই ধর্না অবৈধ। আর এইভাবে রাজভবনের মতো জায়গায় কোনো ন্যায্য দাবি নিয়েও দীর্ঘদিন বসে থাকা মানে নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখানো। তাই কড়া পদক্ষেপ রাজ্যপালকে নিতে হবে বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষণদের মতে, শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর এবার কি করেন রাজ্যপাল, তা অবশ্যই নজর রাখার মত বিষয়। যদি তিনি সত্যিই আইনকে লালন এবং পালন করেন, তাহলে অবশ্যই কড়া পদক্ষেপ নেবেন। আর যদি তিনি তৃণমূলকে এভাবেই প্রশ্রয় দিতে থাকেন, তাহলে রাজ্যের গণতন্ত্র আরও সর্বনাশের দিকে চলে যাবে‌। স্পষ্ট হয়ে যাবে, এই রাজ্যপাল তৃণমূলের সঙ্গে তাল মিলিয়েই কাজ করেই চলেছেন। মুখেই তিনি বড় বড় কথা বলেন। কিন্তু কাজের বেলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে কড়া অ্যাকশান নেওয়ার সময় তার কোনো চেষ্টা চোখে পড়ে না। তাই কোনো দিক না দেখে, কোনো চিন্তাভাবনা না করে তার ভবনের সামনে যেহেতু তৃণমূল ধর্নায় বসেছে, তাই তাদেরকে তুলে দিতে এবার অ্যাকশন শুরু করা উচিত সি ভি আনন্দ বোসের‌। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!