এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সাক্ষাতে রাজি রাজ্যপাল, ফের নতুন নাটক শুরু অভিষেকের? চাঁচাছোলা আক্রমণ বিজেপির!

সাক্ষাতে রাজি রাজ্যপাল, ফের নতুন নাটক শুরু অভিষেকের? চাঁচাছোলা আক্রমণ বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-একশো দিনের কাজের টাকার দাবিতে রাজভবন চলো অভিযানের নাম করে যে নাটক শুরু করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তাকে ধিক্কার জানাচ্ছেন সকলেই। এতদিন তার দাবি ছিল, যতক্ষণ না রাজ্যপাল দেখা করবেন, ততক্ষণ তিনি এই ধর্না মঞ্চ ছাড়বেন না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজ্যপাল দেখা করতে রাজি হয়েছেন। তবে সেখানেও আবার নতুন নাটক শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলার যুবরাজের। সেখানে আবার তিনি দাবি করলেন যে, রাজ্যপালের সঙ্গে তাদের যে বৈঠক হবে, সেই বৈঠক যেন ভিডিও করা হয়। কিন্তু রাজভবন তাতে রাজি হয়নি। এমনকি মোবাইল ফোনও নিয়ে যেতে দেওয়া হবে না বলে দাবি অভিষেকবাবুর। আর একের পর এক বাচ্চার মত দাবি নিয়ে অভিষেক বাবুর এই নাছোড়বান্দা মনোভাব দেখে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা।

প্রসঙ্গত, আজ বিকেলে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করতে রাজি হন রাজ্যপাল। আর সেখানেও নতুন নাটক শুরু করে দেন বাংলার যুবরাজ। মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম, রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পুরোটা যেন ভিডিও করা হয়। কিন্তু সেখানে কোনো সাংবাদিকদের যেতে দেওয়া হবে না। এমনকি আমাদের মোবাইল নিয়ে যেতেও বারণ করা হয়েছে। ঠিক আছে, আমরা মোবাইল নিয়ে যাব না‌। কিন্তু যে চিঠিগুলো রয়েছে, সেগুলো তো আমরা সব নিয়ে যাবই।” একাংশের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীর দপ্তরে যান বা রাজ্যপালের কাছে। একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, তৃণমূল দুর্নীতি করেছে। তাই যে কোনো বৈঠকে যাওয়ার আগেই বিভিন্ন বাহানা দিয়ে তাকে কি করে আটকানো যায়, তার চেষ্টা করছেন তৃণমূলের নেতারাই। মুখে তারা বলছেন, তারা দেখা করবেন রাজ্যপালের সাথে। কিন্তু রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করতে গেলে কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়। তাই কেন ভিডিও করা হবে না, এখন এই ধরনের প্রশ্ন করে নতুন নাটক করতে চাইছেন বাংলার যুবরাজ বলেই দাবি বিরোধীদের।

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলকে চাচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে। গেরুয়া শিবিরের দাবি, আর কবে লজ্জা হবে বাংলার যুবরাজের! তিনি যে দল পরিচালনা করেন, সেই দল পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় রয়েছে। সেই দল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করে। আজকে তার জন্য বিরোধীরা রাজ্যের কোথাও সভা করার অনুমতি পায় না। পুলিশকে সম্পূর্ণরূপে পরিচালিত করছেন বাংলার যুবরাজ। কিন্তু সবকিছুই যখন তার কথা মতো চলছে, কেন রাজভবন তার কথা মতো চলবে না? তাই যুবরাজের ইচ্ছে, তার কথামতোই সমস্ত কিছু হোক। আসলে এসব কিছু না। বাহানা করে যাতে মুখোমুখি হতে না হয়, তার পটভূমিকা তৈরি করতে চেয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার নাটক ধরা পড়ে গেল। ভাইপোকে একটা জিনিস ভালো করে মাথায় ঢুকিয়ে নিতে হবে যে, সব তার পিসির রাজত্ব নয়। সবখানে তার পিসির মাতব্বরি চলবে না। রাজভবনে থাকেন সাংবিধানিক প্রধান। তাই সেখানে প্রবেশ করতে গেলে, রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তার নিয়মমতো সিস্টেম মাফিক চলতে হবে বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপির পক্ষ থেকে বারবার করে বলা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময়ও বিভিন্ন রকম নাটক করে শেষ পর্যন্ত যাতে দেখা না হয়, তার চেষ্টাই করেছিল তৃণমূল। পরবর্তীতে তাদের পুলিশ দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে তারা। এবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা হওয়ার আগেও তারা সেই একই নাটক করার চেষ্টা করলো‌। শুধুমাত্র এক্ষেত্রে দুই জায়গার স্ক্রিপটা আলাদা করে লিখেছিলেন তৃণমূল নেতারা। কিন্তু রাজ্যপাল তো অন্য জিনিস। তিনি যখন দেখা করবেন বলেছেন, তখন তো দেখা করবেনই। কারণ শেষ পর্যন্ত যদি তৃণমূলের সঙ্গে রাজ্যপালের দেখা না করতেন, তাহলে তারা এই বিষয় নিয়ে ইস্যু করে আবার রাজনৈতিক ফায়দা নিতে ময়দানে নেমে পড়ত। তাই হাজার নাটক করেও ভাইপো ব্যর্থ হয়ে গেলেন। শেষ পর্যন্ত রাজ্যপালের নিয়মই প্রাধান্য পেল। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!