এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > দিল্লি উড়ে গেলেন রাজ্যপাল, দুঃসময়ের জন্য তৈরি থাকুন অভিষেক ! সতর্ক করছে বিজেপি !

দিল্লি উড়ে গেলেন রাজ্যপাল, দুঃসময়ের জন্য তৈরি থাকুন অভিষেক ! সতর্ক করছে বিজেপি !


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এতদিন কেন্দ্র একশো দিনের কাজের টাকা না দিয়ে তাদের বঞ্চিত করছে, এইরকম নানা অভিযোগে রাজভবনের অদূরে ধর্নার নামে নাটক করেছেন তৃণমূলের যুবরাজ। তেমনটাই অভিযোগ ছিল বিরোধীদের। যুবরাজের একটাই দাবি ছিল, রাজ্যপালকে তাদের সঙ্গে দেখা করতে হবে। অবশেষে তাদের সঙ্গে কথা বলার পরেই দিল্লি উড়ে গেলেন পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধান। আর তৃণমূলের সঙ্গে ২০ মিনিট বৈঠকের পর হঠাৎ করেই রাজ্যপাল কেন দিল্লি পৌঁছে গেলেন, তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। তৃণমূল অবশ্য বলছে, তাদের দাবি কেন্দ্রের কাছে পৌঁছে দিতেই রাজ্যপাল দিল্লিতে গিয়েছেন‌। আশা করা যায়, তাদের আন্দোলনের জয় হবে। কিন্তু তৃণমূল যদি এই ভাবনায় মশগুল হয়ে খুশিতে ডগমগ হয়ে নাচতে শুরু করে, তাহলে তারা ভুল করবে। কারণ রাজ্যপাল দিল্লি গিয়েছেন। আর সেটা যে তৃণমূলের কথা তুলে ধরতেই গিয়েছেন, এটা কেন ভাবছেন যে শাসক দলের নেতারা? এটাও তো হতে পারে যে, রাজ্যপাল তৃণমূলের এই চুরির বিষয়টি ধরে ফেলেছেন। তাই তা নিয়ে কেন্দ্রের কাছে নতুন করে রিপোর্ট জমা দিতে গিয়েছেন। তাই তৃণমূলকে এখন থেকেই আনন্দে উৎফুল্লিত না হয়ে সতর্ক করতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির।

প্রসঙ্গত, এদিন বিকেল চারটের সময় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। তাদের সমস্ত দাবিদাওয়া শোনেন তিনি। আর তারপরেই দিল্লি উড়ে যান। যা দেখে তৃণমূলের যুবরাজও দাবি করেছেন যে, রাজ্যপাল নিশ্চয়ই তাদের কথা তুলে ধরতেই এবং কেন্দ্রের কাছ থেকে বাংলার বঞ্চনার জন্য যে টাকা দেওয়া হচ্ছে না, সেই টাকা নিয়ে আসতেই দিল্লি গিয়েছে। কিন্তু একাংশ বলছেন, রাজভবনের অদূরে এইভাবে কোনোমতেই ধর্না করা যায় না। তাতে 144 ধারার ওপর কিভাবে তৃণমূল এতদিন ধরে ধর্না করেছে, তা নিয়ে মুখ্যসচিবের কাছে ইতিমধ্যে জবাবদিহি তলব করেছে রাজভবন। কিন্তু নবান্নের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। তাহলে কি সেই বিষয় নিয়ে বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের কাছে কোনো অভিযোগ জানিয়েছে? তাই কি শেষমেশ গোটা বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হলেন পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধান? নাকি তৃণমূল যেটা বলছে, সেটাই সত্যি! তাদের যে বক্তব্য ছিল, একশো দিনের কাজে বঞ্চনা হচ্ছে, তা নিয়েই দিল্লি গেলেন সিভি আনন্দ বোস?

বিজেপির দাবি, রাজ্যপালের দিল্লি সফর অনেক কারণে হতে পারে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কার্যত ভেঙে পড়েছে। তৃণমূল এখন ভাবছে যে, তাদের বকেয়া দাবি নিয়েই রাজ্যপাল দিল্লিতে গিয়েছেন‌। কিন্তু এমনটাও তো হতে পারে, 144 ধারার মধ্যে তাদের ধর্না হয়েছে। তারপরেও রাজ্যপাল কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তা নিয়েই কেন্দ্রীয় সরকার তাকে ডেকে পাঠিয়েছে। আর যদি তাই হয়, তাহলে আনন্দে ডগমগ না হয়ে যুবরাজের সতর্ক থাকা উচিত। পাশাপাশি একশো দিনের কাজে যে পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতি হয়েছে, এটা তো কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীও রাজ্যে এসে স্পষ্ট করেছেন। হিসাব না দিলে রাজ্যকে যে টাকা দেওয়া হবে না, তা জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তারপরেও নির্লজ্জের মত টাকা চাই, টাকা চাই বলে তৃণমূল যে আন্দোলন করছে, সেটা নাটক ছাড়া কিছুই নয়। তাই রাজ্যপাল যদি কেন্দ্রের কাছে গিয়ে তৃণমূলের এই কথা তুলেও ধরে, তাহলে কেন্দ্রও তাকে পাল্টা জবাব দিয়ে বলতে পারে, আগে তৃণমূলকে হিসাব দিতে বলুন, তারপরেই টাকা দেওয়া হবে। মানুষের টাকা কোনো মতেই নয়ছয় করতে দেওয়া হবে না বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের দাবি, রাজ্যপাল যে কারণেই দিল্লি যাক না কেন, সেটা অন্তত তৃণমূলের কাছে সুখের খবর বয়ে আনবে না। দিনের শেষে একটা জিনিস কেন্দ্র স্পষ্ট করে দেবে যে, এই রাজ্যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। তাই টাকা দেওয়া হচ্ছে না। ফলে যদি কেন্দ্রের কাছ থেকে সেই রিপোর্ট পান রাজ্যপাল, তাহলে তিনি বাংলায় ফিরে এই শাসক দলের মুখে ঝামা ঘষে দিতে পারেন। যুবরাজের এত বড় বড় ডায়লগ, এত বড় বড় সততার কথা, তখন সব বিশবাও জলে পড়ে যাবে। তাই রাজ্যপালের দিল্লি সফর নিয়ে আনন্দিত না হয়ে সতর্ক থাকা উচিত তৃণমূলের যুবরাজের। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!