এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃনমূলের জন্যই বড়সড় বিপদে জনতা, নয়া বানে জর্জরিত অভিষেক! প্রবল খোঁচা বিজেপির!

তৃনমূলের জন্যই বড়সড় বিপদে জনতা, নয়া বানে জর্জরিত অভিষেক! প্রবল খোঁচা বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-রাজ্যে একশো দিনের কাজের টাকা নাকি বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এতদিন ধরে রাজভবনের সামনে ধর্নার নাটক করেছেন যুবরাজ। রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর বক্তব্য রাখতে গিয়ে বড় বড় গলায় সেই যুবরাজ দাবি করেছেন, কাজ করিয়েও কেন টাকা দেওয়া হয়নি? আর এখানেই বিরোধীরা প্রশ্ন করছে, মানুষ কাজ করেছেন ঠিকই। কিন্তু তার আগে থেকে রাজ্যের দুর্নীতির সামনে এসেছে। তাই তৃণমূলের যে সমস্ত নেতারা দুর্নীতি করেছে, তার কুফল ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। যদি তৃণমূল নেতারা দুর্নীতি না করতেন, তাহলে আজকে সাধারণ মানুষ ১০০ দিনের কাজের টাকা পেয়ে যেতেন। তাই নিজেরা দুর্নীতি করে এখন মানব দরদী কথা না বলাই ভালো বলেই দাবি একাংশের।

প্রসঙ্গত, এদিন ধর্না কর্মসূচির একেবারে শেষ দিন ছিল। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেই একই বস্তা পচা ডায়লগ দিতে দেখা যায় বাংলার যুবরাজকে। তিনি বলেন, “আমার একটাই প্রশ্ন, 21 লক্ষ মানুষ কাজ করেছে কি করেনি? যদি কাজ করে থাকে, তাহলে কোন আইনে আপনারা তার টাকা বন্ধ রেখেছেন?” একাংশের প্রশ্ন, কোন মুখে এত বড় বড় কথা বলেন এই তৃণমূল নেতা! টাকা এমনি এমনি আটকানো হয়নি। দুর্নীতি হয়েছে, তাই সেই টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে। কারণ আবার যদি টাকা দেওয়া হয়, তাহলে তৃণমূল নেতারা নিজেদের পকেটে সেই টাকা ঢোকাতে শুরু করবেন। তাই মানুষ যাতে অর্থ পান, সেই কারণেই কেন্দ্র রাজ্যের কাছ থেকে হিসাব চেয়েছে। কিন্তু সেই হিসাব না দিয়ে গরিবের নেতা বলে নিজেকে প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছেন বাংলার যুবরাজ। কিন্তু মানুষ তার চালাকি ধরে ফেলেছে। এভাবে আর মানুষের পক্ষ অবলম্বন করে নিজেদের চুরি ঢাকতে পারবেন না বলেই কটাক্ষ সমালোচকদের।

ইতিমধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বড় বড় দাবি নিয়ে তাকে খোঁচা দিতে শুরু করেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপিও। তাদের দাবি, এতই যদি মানুষের প্রতি দরদ থাকে, তাহলে আগে নিজের পিসিকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে হিসাবটা দিতে বলুন। এতদিন তো বলতেন, আপনাদের কোনো টাকার দরকার নেই। আপনারা নিজেরাই চালিয়ে নেবেন। এখন আবার সেই টাকার প্রয়োজন হচ্ছে কেন? চুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে জন্য এখন চাপে পড়ে গিয়েছে তৃণমূল নেতারা। হিসেব না দিলে কোনো মতেই টাকা দেবে না কেন্দ্রীয় সরকার। আপনি রাজভবনে যেতে পারেন বা আপনি মক্কা, মদিনা যেতে পারেন। শর্ত একটাই, হিসেব দিতেই হবে তৃণমূল সরকারকে। আর যদি সেই হিসেবে কোনো গরমিল না থাকে, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার সমস্ত টাকা শোধ করে দেবে রাজ্য সরকারকে। কিন্তু এই ক্ষমতা কি পিসি এবং ভাইপোর রয়েছে? কারণ, যদি তারা হিসাব দেন, তাহলে তাদের চুরি ধরা পড়ে যাবে বলেই কটাক্ষ বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, একশো দিনের কাজ হয়তো কিছু মানুষ ঠিকমতো করেছেন। যারা টাকা পাচ্ছেন না, হয়তো তাদের অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু সিংহভাগ মানুষের টাকা নিয়ে এই তৃণমূল নেতারা নয়ছয় করেছেন জন্যই সেই টাকা বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে যারা কাজ করেছেন, যারা টাকা পাননি, তাদের অসুবিধে হচ্ছে এই তৃণমূলের চুরির জন্যেই। মোটের ওপর তৃণমূলের কুকীর্তির কারণেই পশ্চিমবঙ্গের প্রকৃত একশো দিনের শ্রমিকরা কার্যত সমস্যার মুখে। তাই মুখে বড় বড় ডায়লগ না দিয়ে যে বিপদ তারা সাধারণ মানুষের জন্য ডেকে এনেছেন, তা নিরসনের চেষ্টা করুন। কেন্দ্রকে হিসাব দিয়ে এই মানুষগুলোর টাকা তাদের হাতে তুলে দিন। চুরি করে পশ্চিমবঙ্গকে যে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে দিচ্ছেন, তা থেকে বিরত থাকুক তৃনমূল। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!