এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কি ঔদ্ধত্য তৃনমূলের, চুরি করেও দাদাগিরি! কেন্দ্রকে চোখ রাঙানি ভাইপোর, কটাক্ষ বিজেপির!

কি ঔদ্ধত্য তৃনমূলের, চুরি করেও দাদাগিরি! কেন্দ্রকে চোখ রাঙানি ভাইপোর, কটাক্ষ বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-রাজভবনের অদূরে ধর্নার নামে যে নাটক করছিলেন যুবরাজ, অবশেষে তিনি তা শেষ করলেন। আর নাটক শেষ করার পরেও আবার নতুন নাটক শুরু করলেন বাংলার যুবরাজ। প্রথম থেকেই তিনি এমন একটা ভাব দেখাচ্ছিলেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার যেন ইচ্ছা করে পশ্চিমবঙ্গের টাকা বন্ধ রেখেছে। আসলে মানুষের উপর দোষ চাপিয়ে চালাকি করে চুরি করার অভ্যাস ভালোই রয়েছে তৃণমূল নেতাদের। বিরোধীরা কটাক্ষ করে এমন সবই বলছেন। কিন্তু ধরনা শেষ করার পর কেন্দ্রকে চোখ রাঙ্গানি দেখাতে শুরু করলেন আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তার বক্তব্য, যদি 31 অক্টোবরের মধ্যে কিছু না হয়, তাহলে তারা নাকি আবার ধর্নায় বসবে। আর এই বক্তব্য রাখার সময় এমন সব শব্দ প্রয়োগ করলেন তৃণমূল নেতা, যা দেখে বিরোধীরা বলছেন, চোরের মায়ের বড় গলা।

প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর সেই ঝর্ণা মঞ্চে বড় বড় গলায় আবার বক্তব্য রাখতে দেখা যায় বাংলার যুবরাজকে। যেখানে তিনি বলেন, “31 অক্টোবর পর্যন্ত কেন্দ্রকে সময় দিচ্ছি। এখন আর আপনারা সময় দেবেন না। আমরা সময় দেব। তারপর যদি সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে 1 তারিখ থেকে আবার ধরনায় বসব।” আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, কেন্দ্র তো ইচ্ছে করে টাকা বন্ধ রাখেনি। তারপরেও যুবরাজের এই ধরনের বড় বড় কথা কেন? হিসাব তো চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রেরও তো বলতে বলতে মুখ ব্যথা হয়ে গিয়েছে যে, আপনারা হিসাব দিয়ে দিন। রাজ্যকে টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। সেখানে হিসাব না দিয়ে টাকা চাওয়া হবে, আর কেন্দ্র টাকা না দিলে তাকে চোখ রাঙানি দেবেন বাংলার যুবরাজ, এটা কি এত সহজেই কেন্দ্রীয় সরকার মেনে নেবে? তিনি কি ভেবেছেন? তিনি এই ধরনের বড় বড় কথা বলবেন, আর কেন্দ্রীয় সরকার তাতে ভয় পেয়ে এক্ষুনি রাজ্যের সমস্ত টাকা পাঠিয়ে দেবে? যদি এই চিন্তা ভাবনা করে ছেলেবেলার ভয় দেখানো ছড়ার মত যুবরাজ কেন্দ্রকে ভয় দেখাতে চায়, তাহলে তিনি মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। এতে কেন্দ্রীয় সরকার এত সহজে গলবে না বলেই দাবি সমালোচকদের।

ইতিমধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, রাজনীতিতে চূড়ান্ত অপরিপক্ক বাংলার যুবরাজ। তিনি ভেবেছেন, সব তার মামার বাড়ির আবদার। তিনি যা বলবেন, সেভাবেই সবকিছু চলবে। কতটা ঔদ্ধত্য হলে এবার সময় আমরা বেঁধে দেব, এরকম বড় বড় গলায় দাবি করতে দেখা যায়। নিজেরা চুরি করেছেন, আবার সেই কথা স্বীকার না করে বড় বড় গলা ফাটাচ্ছেন। 31 তারিখ তো অনেক দূরের কথা, তারা আজকে হিসাব দিয়ে দিন। কেন্দ্রীয় সরকার কিছুদিনের মধ্যেই তাদের টাকা দিয়ে দেবে। কিন্তু এই সরল সত্যটা না বুঝে যুবরাজের এই দাদাগিরি আদতে চুরিকে ঢাকার চেষ্টা। তবে এই হুমকি, ধমকিতে কেন্দ্রীয় সরকার মাথা নত করবে না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এতদিন রাজভবনের সামনে ধর্নার নামে বহু নাটক চলেছে। তাদের সেই ধর্না চলাকালীন রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। তিনি দাবি করেছেন, যদি আলোচনার ইচ্ছে থাকে, তাহলে তার সঙ্গে দেখা করতে পারেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। কিন্তু দেখা না করে মঞ্চ থেকেই বড় বড় কথা বলতে দেখা গিয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আসলে তৃণমূল খুব ভালো মতো জানে, এই একশো দিনের কাজ নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। তাই হিসাব না দিয়ে উল্টে কেন্দ্রকে ভয় দেখিয়ে ধর্নার হুঁশিয়ারি দিয়ে আবার নতুন নাটক শুরু করতে চাইছেন বাংলার যুবরাজ। কিন্তু তার এই ছেলে খেলা মূলক বক্তব্য তাকে তো বটেই, তার দল এবং সরকারকেও আরও চাপের মুখে ফেলছে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!