এবার খোদ কলকাতার বুকে 100 দিনের কাজে বড় সড় দুর্নীতির অভিযোগ তুললো খোদ পুরসভা রাজ্য December 26, 2017 এবার খোদ কলকাতার বুকে 100 দিনের কাজে বড়সড় দুর্নীতি । কলকাতায় টালিনালা সংস্কারের জন্য ১০০ দিনের কাজে কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল। আর সেখানেই বড়সড় দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে ১৮ এপ্রিল মেয়র পরিষদের বৈঠকে প্রস্তাব গৃহীত এবং পাশ হওয়ার পর ৮৮, ৮৩,৭১ এবং ৮২ চারটি ওয়ার্ডের অন্তর্গত টালিনালা অংশে সংস্কার শুরু হয়।জানা গেছে ১০০ দিনের প্রকল্পের জন্য ৮৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রথমে ৮৮ জন কর্মী, ১০ জন সুপারভাইজার এবং দু’জন স্কিল ইনচার্জ,মোট ১০০ জন কর্মী নিয়োগ করা হয়।কিন্তু কিছুদিন পরএকটি তালিকা প্রকাশ করা হয় যেখানে বলা হয় ১২ জন নেই ফলে ৮৮ জনই কাজ করছেন বলে খাতায় কলমে উল্লেখ করা হয়েছিল। এরপর গত ১০ নভেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। যাতে বলা হয়, ওভারসিয়ার পবন সর্দারকে ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডের জঞ্জাল ব্যবস্থাপনা বিভাগের হাজিরা খাতার নজরদার হিসেবে বসানো হচ্ছে। যেখানে ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডে তার সামনেই কর্মীরা খাতায় সই করবেন। গত এক মাস কাজ হওয়ার পর দেখা গিয়েছে, ১৬ জন কর্মী এবং ১ জন সুপারভাইজার সই করেছেন। সেটি বিল আকারে অর্থ বিভাগের কাছে জমা পড়েছিল। এক শীর্ষকর্তার কথায়, বিল জমা পড়তেই চক্ষু ছানাবড়া প্রশাসনিক কর্তাদের। কারণ হঠাৎ করে দেখা যায় সেখানে ৭১ জন উধাও। জানা গিয়েছে, এই ৭১ জনের নামে অ্যাকাউন্ট ছিল আর সেখানেই মজুরির ঢাকা জমা পড়তো আর তা সময়মত তুলেও আনা হতো তাহলে এতদিন কারা সই করতেন? সেটাই খুঁজছেন পুরসভা। প্রকল্পের মাসপিছু ৮৮ জনের মজুরিবাবদ ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। গত সাড়ে চার বছর ধরে এভাবে প্রতিমাসে খাতায় কলমের হিসেব অনুযায়ী টাকা পাচ্ছিলেন কর্মীরা। গত অক্টোবর মাস পর্যন্ত এভাবেই চলেছে। এমনকী, অজ্ঞাত একটি স্থানে খাতায় সই হওয়ার পর সেটি সুপারভাইজার খতিয়ে দেখে স্কিল ইনচার্জের কাছে পাঠাতেন। তিনি ওই নথিকে বিল আকারে তৈরি করে সরাসরি জঞ্জাল ব্যবস্থাপনা বিভাগে পাঠাতেন। এরপর তা চলে যেত অর্থ বিভাগে। পশ্চিমবঙ্গ শহুরে রোজগার যোজনা প্রকল্পের মেয়র পরিষদ সদস্য রাম প্যায়ারে রামও যে রিপোর্ট দিয়েছেন, তাতেও লেখা রয়েছে ওই চারটি ওয়ার্ডে মোট ১৭ জন কাজ করছেন। তিনি বললেন, তার কাছে নথি অনুযায়ী, ১৭ জন কাজ করেন টালিনালার ওই অংশের সংস্কারে। বাকিরা কে, তা তিনি জানেন না। এমন ঘটনা চোখের সামনে দিনের পর দিন ঘটলেও কেন তাকানো হয়নি তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে পুরসভার অন্দরেই। পুর কর্তাদের কথা অনুসারে শাসক দলের এক নেতার দ্বারা পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রিত হয়। তার লোকজনই দিনের পর দিন এই কাণ্ড ঘটিয়ে গিয়েছেন। কিন্তুটাকা যে রীতিমতো নয়ছয় হয়েছে এবং তা যে বেনামে কারও কারও পকেটে চলে গিয়েছে, তা এতদিনে বুঝতে পারছেন পুরকর্তারা। কারও কিছু বলার ছিল না। যদিও এখনো এই বিষয়ে মেয়রের তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আপনার মতামত জানান -