শুভেন্দু বড় ফ্যাক্টর, বিজেপিতে যান বা নিজের দল করুন লাভ বিজেপিরই, ঘুম উড়ছে তৃণমূলের! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য December 3, 2020 আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে। আপনার মতামত জানান - প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যেন নাটকীয় মোড় তৈরি হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। দলের সঙ্গে দূরত্ব মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। আর তার মাঝেই হঠাৎ করে মঙ্গলবার রাতে সেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে দেখা যায় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে। যার পরবর্তীতে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় দাবি করেন, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যে সমস্যা ছিল, তা মিটিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বুধবার বেলা গড়াতে না গড়াতেই নতুন এক সমীকরণ সামনে আসতে শুরু করে। যেখানে শুভেন্দু অধিকারী সৌগত রায়কে একটি ম্যাসেজ করেন বলে বিশেষ সূত্রের খবর। আর সেই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, শুভেন্দু অধিকারী সৌগত রায়কে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি তাকে শ্রদ্ধা করলেও, এভাবে বৈঠকের খবর বাইরে আসা ঠিক হয়নি। পাশাপাশি ভবিষ্যতে আর তাদের সঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয় বলেও জানিয়ে দিয়েছেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক। আর তারপরেই রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে জল্পনা স্থাপিত হয়েছে। তাহলে এবার কি করবেন শুভেন্দু অধিকারী? নতুন কোনো দল গঠন করবেন! নাকি যোগ দেবেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে! যদি এই দুয়ের মধ্যে তিনি একটা কোনো সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কোন দলের সব থেকে বেশি লাভ আর কারাই বা ক্ষতির মুখে পড়বেন, এখন তা নিয়েই চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলের। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী যদি বিজেপিতে নাম লেখান, তাহলে ভারতীয় জনতা পার্টি অনেকটাই লাভবান হবেন। আর তিনি যদি অন্য দল গঠন করেন, তাহলেও লাভের মুখ দেখবে বিজেপি। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী যদি বিজেপিতে নাম না লিখিয়ে অন্য কোনো দল গঠন করেন, তাহলে কিভাবে লাভবান হবে বিজেপি! এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক জদ মেহমুদ বলেন, “এই ধরনের পরিস্থিতি আগে ফেস করেননি মমতা। ব্যক্তিকেন্দ্রিক দলে এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়। স্বাভাবিক ভাবেই শুভেন্দু যদি বিজেপিতে যায়, বিজেপির লাভ। আর যদি আলাদা লড়েন, তাহলেও বিজেপির লাভ। যখন ইন্দিরা গান্ধি মারা গিয়েছিলেন, তখন রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হন। আর সেই সময় একই কাজ করেছিলেন প্রনব। যেমন করছেন শুভেন্দু।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অমল মুখোপাধ্যায় বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী যদি নিজে দল করেন, সেক্ষেত্রে বিজেপির লাভ। যদি শুভেন্দু দল গড়ে বিজেপি ভালো জায়গায় আছে, তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। শুভেন্দু তৃণমূলের ভোট কাটবে। ত্রিশঙ্কু বিধানসভা তৈরি হলে শুভেন্দু অধিকারীর ডিসাইডিং ফ্যাক্টর হতে পারেন।” এদিকে এই ব্যাপারে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ঈশানি নস্কর বলেন, “এখনই বিজেপির লাভ হবে বলা যাচ্ছে না। সাদা কালো রাজনীতি করলে চলবে না। তৃণমূলের ক্ষতি তো হবেই।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের শুরু করে অভিজ্ঞ ব্যক্তিত্বরা প্রায় সকলেই নিশ্চিত, শুভেন্দু অধিকারী যদি তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করেন বা অন্য কোনো দল গঠন করেন, তাহলে ক্ষতির মুখ দেখতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসকে। এক্ষেত্রে বিজেপির কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই দাবি করছেন তারা। কেননা শুভেন্দু অধিকারী পৃথক দল গঠন করলে সবথেকে বেশি চাপে রাখবে তৃণমূল কংগ্রেসকে। সেক্ষেত্রে বিধানসভার ফলাফল বেরোলে যদি ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে শুভেন্দু অধিকারী নির্নায়ক হয়ে উঠতে পারেন বলে দাবি করছেন পর্যবেক্ষকরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রীপদ ত্যাগ করার পর বিজেপির পক্ষ থেকে আশা করা হয়েছিল, তিনি ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেবেন। কিন্তু তারপর হঠাৎ করেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর বৈঠকের পর গেরুয়া শিবির কিছুটা হলেও হতাশ হয়। কিন্তু তৃণমূলের পক্ষ থেকে শুভেন্দু অধিকারী মান ভাঙানোর চেষ্টা করা হলেও, দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে কৈলাস বিজয়বর্গীয় প্রত্যেকেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে এলে তাকে স্বাগত জানানো হবে। কিন্তু তিনি যদি বিজেপিতে নাও আসেন, তাহলেও সরকার গঠন করবে ভারতীয় জনতা পার্টি। সেক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীকে আহ্বান জানানোর দরজা খোলা রেখে কার্যত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল বিজেপি নেতাদের। আর এর কিছু সময় কাটতে না কাটতেই সেই বৈঠকের খবর বাইরে আসায় কার্যত অসন্তোষ প্রকাশ করেন শুভেন্দু অধিকারী। স্বাভাবিকভাবে এখন শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক ছিন্ন হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করে শুভেন্দু অধিকারী যদি বিজেপিতে যোগদান না করে অন্য কোনো দল গঠন করেন, তাহলে কারা সবথেকে বেশি লাভবান হবেন, তা চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল বাংলার রাজনৈতিক মহলে। অবশেষে সেই বিষয়ে কিছুটা আভাস দিল রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যেখানে প্রত্যেকের গলাতেই শোনা গেল শুভেন্দু অধিকারী যদি তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করেন, তাহলে সমস্যার মুখে পড়তে হবে রাজ্যের বর্তমান শাসকদলকে। তবে এক্ষেত্রে বিজেপির ক্ষতির কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন তারা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, কি করেন শুভেন্দু অধিকারী, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – # মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল – # উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল – # জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল – # কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল – আপনার মতামত জানান - আপনার মতামত জানান -