এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে গোর্খাল্যান্ড নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ কেন্দ্রের

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে গোর্খাল্যান্ড নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ কেন্দ্রের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গোর্খাল্যান্ড ইস্যুটি আজকের নয়, দীর্ঘদিনের। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে উত্তরবঙ্গে গোর্খাল্যান্ডকে হাতিয়ার করেই নির্বাচন জেতে গেরুয়া শিবির বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু লোকসভা নির্বাচন পেরিয়ে একুশের বিধানসভার নির্বাচন আসতে চলেছে। গোর্খাল্যান্ড নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এবার নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। তাই আগামী 27 সেপ্টেম্বর দিল্লিতে গোর্খাল্যান্ড সংক্রান্ত একটি বৈঠক ডাকল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

এই সূত্রে ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার এবং জিজেএমকে কেন্দ্রে তরফ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নর্থ ব্লকের অফিসে এই বৈঠক হবে বলে জানা গেছে। বৈঠকে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব এবং দার্জিলিংয়ের জেলাশাসককে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে এই বৈঠকের কারণে ইতিমধ্যেই ক্ষুব্ধ হয়েছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার এবং জিজেএম এর বিনয় তামাং গোষ্ঠী, যারা বর্তমানে জিটিএ এর দায়িত্বে রয়েছেন। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের পর্যটন মন্ত্রী এবং তৃণমূল বিধায়ক গৌতম দেব গেরুয়া শিবিরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে জানিয়েছেন, গোর্খাল্যান্ড ইস্যু নিয়ে বিজেপি নতুন করে পাহাড়ে অশান্তি বাধাতে চাইছে।

অন্যদিকে জেলা প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অনীত থাপা অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার গোর্খাদের বোকা বানাচ্ছে। প্রত্যেকবার তাঁরা বৈঠক ডাকে ভোটের সময়। গতবারেও তাই হয়েছে। তবে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এদিকে জিজেএম সভাপতিকে এবং ঠিকানা দেওয়া হয়েছে দার্জিলিংয়ের বিমল গুরুংয়ের অফিসের। এ প্রসঙ্গে অনিল থাপা জানিয়েছেন, আদালতের রায়ে বিমল গুরুং এবং বিনয় তামাং দুজনেই জিজেএম এর সভাপতি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাহলে শুধুমাত্র বিমল গুরুংকে কি করে ডাকা হচ্ছে! এই বৈঠকে প্রসঙ্গত 2009 থেকে দার্জিলিং লোকসভা আসনটি তিনবার জিজেএম এর সমর্থনে জিতে এসেছে বিজেপি। 2019 এও একইভাবে জোট করে পাহাড়ে ভোট জিতেছে বিজেপি। অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু মন্তব্য করেছেন, পাহাড়ের মানুষের সমস্যার কথা এবং তাদের দাবি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল কেন্দ্র। বৈঠকে তাই নিয়েই কথা হতে চলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনেই একুশের বিধানসভা নির্বাচন, আর তাই এই সময় পশ্চিমবঙ্গ ভাগ করে গোর্খাল্যান্ডের কথা বললে তার খেসারত কিন্তু গেরুয়া শিবিরকে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে পাহাড়কে কাছে পেতে বারংবার বিজেপি নেতারা গোর্খাল্যান্ড নিয়ে আশ্বাস দেন। তবে গোর্খাল্যান্ড সমস্যা যে এত সহজে মেটার নয়, সে ব্যাপারে ওয়াকিবহাল গেরুয়া শিবিরের নেতারা। গোর্খাল্যান্ড যদি ভাগ হয়, তাহলে ভারতে এমন বেশ কিছু জনজাতি আছে যারা নিজেদের রাজ্যের দাবি তুলবে। সে ক্ষেত্রে ভারত ভাগ হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। সব দিক বিচার করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বৈঠকে গোর্খাল্যান্ড নিয়ে কি সিদ্ধান্ত হয়, সেদিকেই এখন নজর ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!