এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > চুরি করবে তৃণমূল, আর টাকা চাইবেন রাজ্যপাল ? আজব দাবি যুবরাজের ! সরব বিরোধীরা !

চুরি করবে তৃণমূল, আর টাকা চাইবেন রাজ্যপাল ? আজব দাবি যুবরাজের ! সরব বিরোধীরা !

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-একশো দিনের কাজের টাকা নাকি কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে না। সেই জন্য এতদিন ধরে রাজভবনের অদূরে রীতিমতো মঞ্চ করে ঢাকঢোল পিটিয়ে কেন্দ্রকে গালিগালাজ করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের যুবরাজকে। আর এখানেই বিরোধীরা বলছেন, তৃণমূল নিজেরা চুরি করে কেন টাকা চাইছে? কেন্দ্র তো এর আগেও টাকা দিয়েছে। সেই টাকায় তো কাজ করেছেন শ্রমিকরা। কিন্তু এবার যখন কেন্দ্রীয় সরকার টাকা বন্ধ রেখেছে, তখন তার নিশ্চয়ই কোনো কারণ রয়েছে। দিনের শেষে একটা জিনিস স্পষ্ট যে, এই রাজ্যে দুর্নীতি হয়েছে। সেই কারণেই কেন্দ্র অর্থ বরাদ্দ বন্ধ রেখেছে। কিন্তু এবার কোনোভাবেই কেন্দ্র অর্থ দিচ্ছে না দেখে রাজ্যপালের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল নেতারা। যা দেখে বিরোধীরা বলছেন, তৃণমূল চুরি করবে, আর কেন্দ্রের কাছে টাকা চাইবেন রাজ্যপাল! সত্যিই আজব দল এই তৃণমূল কংগ্রেস বলেই কটাক্ষ একাংশের।

প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর ধর্ণা মঞ্চ থেকে আবার বড় বড় ডায়লগ দিতে দেখা যায় তৃণমূলের যুবরাজকে। তিনি বলেন, “আমরা রাজ্যপালকে বলেছি যে, কেন্দ্রীয় সরকার কেন টাকা বন্ধ রেখেছে, তা আপনি কেন্দ্রের কাছে জানতে চান। রাজ্যের শ্রমিকরা কাজ করেও, কেন টাকা পাচ্ছে না! এই ব্যাপারে আপনি কেন্দ্রের কাছে আবেদন করুন।” শুধু তাই নয়, সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে এটা রাজ্যপালের কর্তব্য এবং দায়িত্বের মধ্যেও পড়ে বলে দাবি করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এখানেই অনেকে বলছেন, কোথায় ছিল তৃণমূল নেতার এত বড় বড় বুলি? যখন এই রাজ্যপালকে বেলাগাম আক্রমণ করতেন একের পর এক তৃণমূল নেতা, তখন কেন তার হয়ে ব্যাটিং করতে দেখা যায়নি বাংলার যুবরাজকে? শিক্ষা নিয়ে সংঘাতের জেরে রাজ্যপালকে কত কথাই না শুনিয়েছে শাসক দল। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীও তাকে আক্রমণ করেছেন। সেই সময় তো যুবরাজ চুপচাপ ছিলেন। আজকে ঠেলায় পড়েছেন বলে রাজ্যপালের দায়িত্ব এবং দায়বদ্ধতা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বড় বড় কথা শোনা যাচ্ছে তার মুখে। কিন্তু চুরি করতে কি তৃণমূল নেতাদের রাজ্যপাল বা কেন্দ্রীয় সরকার বলেছিল? যখন তা কেউ বলেনি, তখন কেন কি হয়েছে, সেই ব্যাপারে কেন্দ্রের কাছে তৃণমূল নেতাদের গিয়েই আলোচনার টেবিলে বসা উচিত। কিন্তু তা না করে রাজ্যপালকে এগিয়ে দিয়ে ব্যাকসাইডে যুবরাজের এই লাফালাফি মোটেই কাম্য নয় বলেই দাবি বিরোধীদের।

বিরোধীদের দাবি, যুবরাজ তো অনেক বড় বড় গলায় বলেন যে, কেন্দ্রের মুখোমুখি হতে তারা রাজি। রাজ্যের প্রাপ্য নাকি কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে না। তাহলে রাজ্যপাল কেন তা জিজ্ঞেস করবেন? কেন তাদের অসুবিধে তারা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বলতে পারছেন না! দিল্লিতে গিয়ে তো কতই নাটক করে এলেন! কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তো জানিয়ে দিয়েছেন যে, তৃণমূল নেতাদের দেখা করার মত সৎ সাহস নেই। কারণ দেখা করলেই তাদের চুরির যে পর্দা, তা ফাঁস হয়ে যাবে। আর সেই কারণেই কি এবার নিজেদের প্রেস্টিজ রক্ষা করতে রাজ্যপালকে দিয়ে কেন্দ্রের কাছে দরবার করছেন তৃণমূল নেতা? মান, সম্মান সব ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে যুবরাজের এই বীরপুরুষ সাজার নাটক সাধারণ মানুষ ধরে ফেলেছে। তাই চুরি করে টাকা চাওয়া অবিলম্বে বন্ধ করুন বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কেন্দ্রের কাছে তৃণমূল নেতারা কোনোমতেই মুখ দেখাতে পারবেন না। কারণ কেন্দ্রও খুব ভালো মতো জানে যে, এই রাজ্যে দুর্নীতি হয়েছে। আর তৃণমূল নেতারাও খুব ভালো মতো জানেন যে, কেন্দ্রের টেবিলে তারা গেলে তাদের দুর্নীতির পর্দা সামনে চলে আসবে। সাধারণ মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে যাবে, কেন্দ্রীয় সরকার কেন রাজ্যকে টাকা দিচ্ছে না! তাই যখন কোনোভাবেই কিছু করা যাচ্ছে না, তখন রাজ্যপালকে সামনে এগিয়ে দিয়ে অর্থ পাওয়ার মরিয়া চেষ্টা করছেন বড় বড় ভাষণ দেওয়া বাংলার নাটকে যুবরাজ। কিন্তু চুরি যখন তৃণমূল করেছে, তখন রাজ্যপাল নয়, তাদেরই সেই চুরির হিসাব দিয়ে কেন্দ্রের থেকে বকেয়া নিয়ে আসতে হবে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!