এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আইন ভাঙছে তৃণমূল, কড়া পদক্ষেপেই ভয়েই কি নাটক বন্ধ করলেন ভাইপো ? চোখা প্রশ্ন বিজেপির !

আইন ভাঙছে তৃণমূল, কড়া পদক্ষেপেই ভয়েই কি নাটক বন্ধ করলেন ভাইপো ? চোখা প্রশ্ন বিজেপির !


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পাঁচদিনের ধর্নার নামে নাটক করার পর অবশেষে সেই নাটক বন্ধ করলেন বাংলার যুবরাজ। এতদিন রাস্তা আটকে রাজভবনের অদূরে 144 ধারা থাকা সত্ত্বেও নিয়ম ভঙ্গ করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কি করে মানুষের টাকা আত্মসাৎ করে তৃণমূল এই ধরনের ধর্না করতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা। এমনকি বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী এই ব্যাপারে রাজ্যপাল কোনো কড়া পদক্ষেপ না নিলে রাজভবন অভিযানের হুশিয়ারি পর্যন্ত দিয়েছিলেন। আর শেষ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ভয়ংকর আকার ধারণ করছে এবং ভবিষ্যতে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে রাজভবন, তা বুঝেই অবশেষে সেই ধর্ণা বন্ধ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা ঘটনা পরম্পরা দেখে তেমনটাই বলছে বিরোধী শিবির।

প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর বাইরে বেরিয়ে এসে ধর্না মঞ্চ থেকে অভিষেকবাবু ঘোষণা করেন যে, এবার তারা এই ধর্ণা তুলে নিচ্ছেন। কারণ, রাজ্যপাল সৌজন্যতা দেখিয়েছেন। তাই তারাও সৌজন্যতা দেখিয়ে এই ধর্ণা তুলে নিচ্ছেন। তবে অনেকে বলছেন, তৃণমূল যে আইন ভাঙছে, সেটা তারা নিজেরাও বুঝতে পেরেছে। গোটা রাজ্যজুড়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে যে, শাসকদল বলেই কি তৃণমূল এই বাড়তি সুবিধা পাবে? কেন রাজভবন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে তাদেরকে সেখান থেকে তুলে দিচ্ছে না! ফলে আর একদিন দেরি করলে তৃণমূলকে হয়ত সেখান থেকে তুলেই দিত রাজভবন। তাই এখন নাটক করে হলেও শেষ পর্যন্ত সেই ধর্না তুলে নিয়ে বিপদ থেকে বাঁচার চেষ্টা করলেন বাংলার যুবরাজ বলেই দাবি একাংশের।

বিজেপির দাবি, রাজভবনের সামনে বা যতদূর পর্যন্ত 144 ধারা রয়েছে, সেই রাস্তা দিয়ে মিছিল যেতে পারে। কিন্তু কোনো ধর্না হতে পারে না। কিন্তু তৃণমূল নিজেদের পুলিশকে দিয়ে এখানে ধর্না করিয়ে কার্যত নিয়ম ভেঙ্গেছে। তবে তারপরেও রাজ্যপালের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে আর একদিন তৃণমূল যদি এখানে ধর্না করত, তাহলে চরম পদক্ষেপ নিতেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাই রাজ্যপাল আলোচনা করেছেন বলে এমন একটা ভাব দেখানোর চেষ্টা করলেন বাংলার যুবরাজ যে, তাদের দাবি পূরণ হয়েছে। তাই তারা এই ধর্না তুলে নিচ্ছেন। কিন্তু মোটেই সেই রকম কোনো বিষয় নয়। আইন ভাঙ্গার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারত। তাই আগেভাগেই ধর্না তুলতে বাধ্য হলেন বড় বড় ডায়লগ দেওয়া সর্বভারতীয় ভাইপো বলেই কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল ভেবে নিয়েছিল, এই রাজ্যের পুলিশ তাদের হাতে রয়েছে, তাই সবকিছু তাদের খেয়াল খুশি মতই চলবে। কিন্তু রাজভবনের অদূরে ধর্না নিয়ে প্রথম থেকেই নানা মহলে আওয়াজ উঠতে শুরু করেছিল। কেন আইন শুধুমাত্র বিরোধীদের জন্য! কেন সেখানে শাসক দল নিয়ম ভেঙ্গে এই ধরনের ধর্না করবে! আর কেনই বা তাতে কড়া পদক্ষেপ নিয়ে তাদের তুলে দেবে না রাজভবন? আর যখন সেই আওয়াজ ক্রমশ জোরালো হয়ে উঠেছিল, তখন বাধ্য হয়েই নাটক হয়ে রাজভবন চত্বর ত্যাগ করে পলায়ন করলেন আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!