এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > “মওকা” মিলতেই রবীন্দ্রনাথকে কোণঠাসা করতে চলেছেন পার্থ? তীব্র জল্পনা শাসকদলের অন্দরে

“মওকা” মিলতেই রবীন্দ্রনাথকে কোণঠাসা করতে চলেছেন পার্থ? তীব্র জল্পনা শাসকদলের অন্দরে


কাকা বনাম ভাইপোর লড়াইয়ে বারেবারেই উত্তপ্ত হয়েছে কোচবিহার জেলা রাজনীতি। এই জেলারই সদ্য প্রাক্তন তৃণমূলের সভাপতি তথা মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের হাত ধরেই রাজনীতিতে উত্থান ঘটেছিল কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা বর্তমান কোচবিহার জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি তথা কোচবিহার জেলা তৃনমূলের কার্যকরী সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের।

কাকা ভাইপোর লড়াইয়েই এবার সেই কোচবিহার জেলায় টিকিট পাননি পার্থবাবু। তবে শেষ পর্যন্ত কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী পরেশ অধিকারীকে জেতানোর দায়িত্ব নিলেও তা তার পক্ষে সম্ভব হয়নি। এদিকে জেলায় তৃণমূলের এই ভরাডুবির পরই জেলা তৃণমূলের সভাপতি পদ থেকে রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে ছেটে সেখানে বিনয় কৃষ্ণ বর্মন এবং কার্যকরী সভাপতি পদে সেই রবীন্দ্রনাথ ঘোষেরই অন্যতম বিরোধী বলে পরিচিত পার্থপ্রতিম রায়কে কার্যকরী সভাপতি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর দায়িত্বে থাকার সময় পার্থ প্রতিম রায় এবং তার অনুগামীদের ঠিক যেভাবে পিছনের সারিতে রেখে কাজ করছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, ঠিক একইভাবে দায়িত্ব পেয়ে এবার সেই রবীন্দ্রনাথ ঘোষের অনুগামীদের ডানা ছাটতে শুরু করলেন পার্থপ্রতিম রায়। তবে দলের এই দুর্দিনে এখন তৃণমূলের এই দুই নেতার লড়াই আদৌ কতটা সুখকর হবে তা নিয়ে কিন্তু একটা চিন্তা থেকেই যাচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তৃনমূলের একাংশ বলছেন, জেলার কার্যকরী সভাপতি পদে পার্থপ্রতিম রায়কে বসানো হলেও তিনিই বকলমে পুরো জেলাটি চালাবেন। আর দায়িত্ব নিয়ে যেভাবে টানা এই কোচবিহার জেলা সভাপতি পদে থাকা তারই বিরোধী গোষ্ঠি তথা কাকা রবীন্দ্রনাথ ঘোষের অনুগামীদের ডানা ছাড়তে শুরু করলেন পার্থপ্রতিম রায়, তাতে কোচবিহার জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে আরও অনেকাংশেই বাড়বে সেই ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।

তবে এদিন এই প্রসঙ্গে পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “কাউকে কোণঠাসা করার কোনো প্রশ্ন নেই। রবীন্দ্রনাথবাবুর পরামর্শে, তার সুযোগ্য নেতৃত্বে দল পরিচালিত হবে। আমাদের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই।” এদিকে এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলার প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি তথা বর্তমান মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “দল আবার ঘুরে দাঁড়াবে। আমরা সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছি।” তবে পার্থবাবু এবং রবিবাবু যে যাই বলুন না কেন, কাকা এবং ভাইপোর সম্পর্কের করুণ পরিণতি রাজনীতির রনাঙ্গনে যে অনেকটাই অস্বস্তির আকার নেবে, সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!