এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মহারাষ্ট্র থেকে পায়ে হেঁটে ফিরলেন তৃণমূল নেত্রীর স্বামী, পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কি বিরোধীদের দাবি সত্যি? বাড়ছে জল্পনা!

মহারাষ্ট্র থেকে পায়ে হেঁটে ফিরলেন তৃণমূল নেত্রীর স্বামী, পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কি বিরোধীদের দাবি সত্যি? বাড়ছে জল্পনা!


করোনা আবহের প্রথমেই শুরু হয়েছিল দেশজুড়ে লকডাউন। সেই সময় সব থেকে বেশি মুশকিলে পড়ে ছিলেন ভিন রাজ্যে কর্মসূত্রে থাকা শ্রমিকরা। কারণ তাদের হাতে ছিল না কোন কাজ। খাবারের যোগান হয়ে উঠছিল ক্রমশ মুশকিল। অবস্থা বেগতিক দেখে তাঁরা বিভিন্নভাবে বাড়ি ফিরে যাওয়ার চেষ্টা চালান। কিন্তু সেখানেও বিপত্তি। তাঁরা কোনরকম সাহায্য না পেয়ে শেষমেষ পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথ ধরেন। তাই নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। রাজ্যের মনোভাব নিয়েও প্রশ্ন উঠছিলো।

ইতিমধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দ্ব বেধেছে। রাজ্য ও কেন্দ্রের বিরোধীদল একযোগে রাজ্যের শাসক দলের প্রতি অভিযোগ জানাচ্ছেন যে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরাতে রাজ্য সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এমন কি ঘরে ফিরতে শ্রমিকদেরই ট্রেনের ভাড়া মেটাতে হচ্ছে। এরপর এই রাজ্যের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জানা যায়, এবার থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেনের ভাড়ার দায়িত্ব নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।

কিন্তু তাতেও শান্তি নেই বিরোধীদের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে এসবই লোকদেখানো আদতে মুখমন্ত্রী পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা ভাবছেন না। ইতিমধ্যেই অনেক শ্রমিকদের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে তাদের তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে যে রাজ্যের চালু করা হেল্পলাইন থেকেও কোনো সাজাহহ পাচ্ছেন না , এর মধ্যেই চাপ বাড়িয়ে টানা 29 দিন মহারাষ্ট্র থেকে রাস্তা হেটে বাড়ি ফিরেছেন ময়ূরহাট 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেনালি এলাকার পঞ্চায়েতের সদস্যা তৃণমূলের খুকুমণি বৈদ্যরায়ের স্বামী নারায়ন বৈদ্য। কলকাতা পর্যন্ত প্রায় অনেকটা রাস্তা হেঁটে এসেছেন তিনি। তবে ওড়িষ্যা বর্ডার এলাকায় একটি লরিতে কিছুক্ষণের জন্য উঠতে পেরেছিলেন তৃণমূল নেত্রীর স্বামী। তবে কলকাতায় ফেরার পর এক সংস্থার উদ্যোগে তাঁকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এখনই বিরোধীরা ফের সুর চড়াতে শুরু করেছে যে যদি স্বয়ং তৃণমূলের নেতা নেত্রীদেরকেই এমনভাবে রাজ্যের বাইরে থেকে হেঁটে আস্তে হয় তবে বাকিদের অবস্থা তো আরো শোচনীয়। কি ব্যাবস্থা করছেন মুখমন্ত্রী ? যে হিসাব দেওয়া হচ্ছে এত লোক ফিরেছে আরো এত লোক ফিরছে তাহলে কি সবিই মিথ্যা।

যদিও তৃণমূলের তরফে এখনো পর্যন্ত এই নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। শুধু বলা হচ্ছে সবাইকে আনা হচ্ছে হবে , দিদি নিজের দলকে আলাদা করে প্রাধান্য দেননা তাই ওনার আলাদা করে কিছু ব্যাবস্থা করা হয়নি। সবার সাথেই সবাই ফিরবে। বিরোধীরা শুধু এই নিয়ে রাজনীতি করছে।

যদিও রাজনৈতিকমহলের মতে, এর ফলে যে বিরোধীরা একটা বড় অস্ত্র পেয়ে গেলো, যা তারা কাজে লাগাবে। তবে এখন সেই পরিস্থিতিকে কিভাবে মাত দে শাসকশিবির তাই দেখার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!