এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপি বিধায়কের বাড়িতেও সিবিআই! প্রমানিত কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিরপেক্ষ, এবার কি বলবেন মমতা? সোচ্চার বিজেপি!

বিজেপি বিধায়কের বাড়িতেও সিবিআই! প্রমানিত কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিরপেক্ষ, এবার কি বলবেন মমতা? সোচ্চার বিজেপি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বর্তমানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা পৌর নিয়োগ দুর্নীতির রহস্য ভেদ করতে তৃণমূলের একের পর এক নেতা, মন্ত্রীদের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি শুরু করেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূলের যুবরাজ বলছেন যে, এটা নাকি প্রতিহিংসা পরায়ন আচরণ। তৃণমূলকে আটকানো যাচ্ছে না। সেই কারণেই নাকি কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করছে বিজেপি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং গোটা তৃণমূল দলের এই বক্তব্য যে সম্পূর্ণ মিথ্যে, তা এবার প্রমাণ হয়ে গেল। স্পষ্ট হয়ে গেল, কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থা। তারা কোনো দল বা কোনো নেতার কথায় চলে না‌। তারা চলে নিজস্ব গতিপ্রকৃতি অনুযায়ী। যেখানে আজ রাজ্যের বিজেপি বিধায়কের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে সিবিআইয়ের আট সদস্যের প্রতিনিধি দল। আর এই ঘটনার পরেই রীতিমতো তৃণমূল এতদিন ধরে যে অভিযোগ করেছিল, সেই অভিযোগে জল পড়ে গেল বলেই মনে করছেন একাংশ।

সূত্রের খবর, আজ সকালে সিবিআইয়ের একটি টিম রানাঘাট উত্তর-পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছে যায়। বাইরে মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। জানা গিয়েছে, রানাঘাট পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন এই পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়। বিগত 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের সময় তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়ে বিজেপির বিধায়ক হয়েছেন। তবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি অবশ্য বিজেপির তৃণমূল দেখে তদন্ত করে না, তা এই ঘটনায় আবার প্রমাণিত। এখনও পর্যন্ত সেই বিজেপি বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি চলছে এবং তাকে জেরা করা হচ্ছে বলে খবর। আর এখানেই একাংশ প্রশ্ন করছেন, তাহলে তৃণমূল এতদিন যে অভিযোগ করত, এবার তারা সেই নিয়ে কি বলবে? বড় বড় গলায় তো তাদের নেতা নেত্রীরা দাবি করতেন যে, কেন্দ্রীয় এজেন্সি চলছে বিজেপির কথায়। যদি সত্যিই বিজেপি কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে পরিচালিত করত, তাহলে তদন্তের গতি প্রকৃতি অন্যভাবে চলত। সিবিআই বেছে বেছে তৃণমূল নেতাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে জেলে পুড়তেন। কিন্তু সেরকম কিছুই দেখা যায়নি। উল্টে বিজেপি বিধায়কের বাড়িতেও পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাই এবার তৃণমূল তাদের এতদিন ধরে যে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে এসেছে, তার জন্য মানুষের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুক বলেই দাবি বিরোধীদের।

বিজেপির দাবি, তৃণমূল নেতারা দুর্নীতি করেছেন। তাই তারা ভয় রয়েছেন। আর যাদের যাদের বিরুদ্ধে এই পৌরসভার নিয়োগের দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, তাদের বাড়িতেই যাচ্ছে সিবিআই। বিজেপি বিধায়কের বাড়িতেও তারা পৌঁছে গিয়েছে। আর এ নিয়ে বিজেপির কোনো আপত্তি নেই। যদি সত্যিই তিনি দোষ করে থাকেন, তাহলে আইন অনুযায়ী তার সাজা হওয়া উচিত। কিন্তু তৃণমূল এতদিন অনেক কথা বলেছিল। বলেছিল, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নাকি বিজেপি পরিচালনা করছে। কিন্তু এই ঘটনায় তো তৃণমূলের সেই কথা মিথ্যা বলে প্রমাণ হল। এবার অন্তত মানুষের কাছে মিথ্যা কথা বলার জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু তৃণমূল নেত্রীর অবশ্য এই মিথ্যাচার করাই স্বভাব। তা না হলে তো তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না। তাই তার কাছ থেকে এই ধরনের বক্তব্য আশা করা যায় না বলেই খোঁচা গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের দাবি, তৃণমূল বুঝতে পেরেছে যে, দ্রুতগতিতে সিবিআই এবং ইডি তদন্ত করছে, তাতে তাদের অনেক নেতার জেলযাত্রা নিশ্চিত। তাই এখন যে করেই হোক, কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। তাই তারা লাগাতার মুখ বন্ধ করার জন্য বিজেপি ব্যবহার করছে বলে সরব হচ্ছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের এই অভিযোগকেও মিথ্যা বলে প্রমাণ করে দিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সত্যিই যদি বিজেপি বিধায়ক দুর্নীতি করে থাকেন, তাহলে তিনি শাস্তি পাক। কিন্তু সাথে সাথে তৃণমূলের যারা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, তাদেরকেও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করুক কেন্দ্রীয় সংস্থা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!