এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বকেয়া আদায়ে শেষমেষ হিংসার পথে ভাইপো? চুরির হাত পাকা করছে তৃনমূল, কটাক্ষ বিরোধীদের!

বকেয়া আদায়ে শেষমেষ হিংসার পথে ভাইপো? চুরির হাত পাকা করছে তৃনমূল, কটাক্ষ বিরোধীদের!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- দিল্লিতে যাবতীয় নাটক করার পর বাংলায় এসে রাজ্যপালের রাজভবনের সামনে মঞ্চ করে ধর্না করছেন বাংলার যুবরাজ। তার একটাই দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারকে বাংলার প্রাপ্য টাকা দিতে হবে। রাজভবনের সামনে সম্পূর্ণ নিয়ম ভেঙে কি করে 144 ধারার মধ্যে তৃণমূল এই কর্মসূচি করতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে বিরোধীরাও। কিন্তু কোনোভাবেই কাজ হচ্ছে না দেখে এবার কি শেষমেষ হিংসার পথে পা বাড়াচ্ছেন তৃণমূলের যুবরাজ? টাকা যে তিনি পাবেন না, কেন্দ্র যে এখনই রাজ্য সরকারকে কোনোভাবেই অর্থ দেবে না, তা তাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কারণ তারা হিসাব দিচ্ছে না। ফলে সব দিক থেকে চাপে পড়েই এখন ধর্ণা মঞ্চ থেকে হুংকার ছাড়তে দেখা গেল বাংলার যুবরাজকে। যা দেখে তীব্র কটাক্ষ করছে বিরোধীরা।

প্রসঙ্গত, এদিন ধর্না মঞ্চ থেকে আবার বড় বড় গলায় অনেক কথা বলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এতদিন অনেক সৌজন্যতা দেখিয়েছি। টাকা তো আপনাকে ছাড়তেই হবে। এটা বাংলা টাকা।” আর এখানেই প্রশ্ন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কি এবার সৌজন্যতা ছেড়ে অন্য পথে হাঁটবেন? সেই কথাই তিনি বোঝাতে চাইলেন। কিন্তু তিনি যেন মাথায় রাখেন, সবটা তার মামার বাড়ির আবদার নয়। রাজ্যটাকে তিনি এবং তার পিসি মিলে গোল্লায় পাঠিয়েছেন। কিন্তু দেশে নিয়ম-শৃঙ্খলা বলে একটা বিষয় রয়েছে। তাই যা খুশি, তা করতে পারবেন না ভাইপো। কেন্দ্র টাকা দেবে, আর তারা সেই টাকা নয়ছয় করবে, দুটো একসাথে হতে পারে না। তাই হিসাব দিয়েই রাজ্যকে টাকা নিতে হবে বলেই পাল্টা দাবি গেরুয়া শিবিরের।

বিজেপির পক্ষ থেকে আরও বলা হচ্ছে, আসলে চুরিতে হাত পাকাতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেতারা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও জানেন, তার দলের প্রচুর নেতা এই একশো দিনের কাজের টাকায় বড়লোক হয়েছেন। মানুষের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তাই হিসেব দেওয়ার মতো সাহস তাদের নেই। কিন্তু কোনোভাবেই টাকা পাওয়া যাবে না বুঝে এখন হিংসার পথে পা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন বাংলার যুবরাজ। বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে, তিনি বিরাট কিছু একটা করে দেবেন। কিন্তু তার কোনো কিছু করে দেওয়াতেই কেন্দ্রের কিছু যায় আসে না। তিনি যা খুশি, তাই করতে পারেন। দিনের পর দিন নাটক করে ধর্না করতে পারেন, বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারেন। কিন্তু দিনের শেষে হিসাব দিতে হবে এবং তারপরেই টাকা নিতে হবে বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, আঞ্চলিক দল তৃণমূলের সর্বভারতীয় ভাইপো আর এই ধর্ণা মঞ্চে বসে থাকতে পারছেন না। কারণ তিনি তো এই সমস্ত আন্দোলন করে অভ্যস্ত নন। তাই তিনি এখন ভাবছেন যে, কেন্দ্র টাকা দিয়ে দিলেই তো তিনি উঠে যেতে পারেন। কেন কেন্দ্র টাকা দেবে না! যেন সবটাই তার মগের মুলুক। তাই শেষ পর্যন্ত অধৈর্য হয়ে এতদিন সৌজন্যতা দেখিয়েছি বলে গরম গরম বক্তব্য রাখার চেষ্টা করলেন বাংলার যুবরাজ। কিন্তু এসব করে তিনি আরও নিজের বিপদ নিজেই বাড়াচ্ছেন। একদিকে তার অধৈর্য ভাব যেমন প্রকাশ্যে চলে আসছে, ঠিক তেমনই একজন নেতার মুখ থেকে এই ধরনের বক্তব্য সাধারণ মানুষ খুব একটা ভালোভাবে গ্রহণ করছেন না। তাই হিরো সাজতে দিয়ে জিরো হয়ে যাচ্ছেন বাংলার যুবরাজ। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!