এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ধর্না, মিছিলের পার্থক্যই বোঝেন না অভিষেক? এ নাকি আবার অল ইন্ডিয়া নেতা ! চাঁচাছোলা আক্রমণ বিজেপির !

ধর্না, মিছিলের পার্থক্যই বোঝেন না অভিষেক? এ নাকি আবার অল ইন্ডিয়া নেতা ! চাঁচাছোলা আক্রমণ বিজেপির !


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- আঞ্চলিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেকে হিরো সাজানোর জন্য নেতা হওয়ার জন্য এখন পিসির মতো ধর্না দিতে শুরু করেছেন। তিনি ভাবছেন, তাকে সবাই তাহলে মেনে নেবেন। কিন্তু তার পরিপক্কতা, তার রাজনৈতিক দূরেদর্শিতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে। আর এবার সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্না মঞ্চ থেকে এমন একটি কথা বললেন, যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। অনেকে বলছেন, এ নাকি সর্বভারতীয় নেতা! যে নেতা কোনটা ধর্না, আর কোনটা মিছিল, তাই জানে না, সে নাকি বিজেপিকে আটকাবে! কিন্তু হঠাৎ করে কেন এই কথা বলছে বিরোধীরা?

প্রসঙ্গত, আপনারা সকলেই জানেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একশো দিনের কাজের টাকার দাবিতে রাজভবনের সামনে ধর্না দিচ্ছেন। বিজেপি দাবি করছে, কোনো মতেই এই ধর্না হতে পারে না। কারণ রাজভবনের সামনে থাকে 147 ধারা। তাকে লংঘন করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি রাজভবনের পক্ষ থেকেও মুখ্যসচিবের কাছে চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন এই ধর্না করা হচ্ছে রাজভবনের সামনে? আর এতেই চাপে পড়ে গিয়েছেন বাংলার যুবরাজ। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে, রাজভবনের বিরুদ্ধে এবার তিনি এমন এক যুক্তি সামনে আনলেন, যা দেখে সদ্য যারা ছাত্র রাজনীতিতে পা রেখেছে, তারাও হাসি থামাতে পারছেন না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “2021 সাল থেকে 2023 সাল পর্যন্ত বিজেপির প্রতিনিধি দল ছয়বার মিছিল করে রাজভবন পর্যন্ত গিয়েছে। তাহলে রাজ্যপাল তাদের কেন চিঠি করেনি?” আর এখানেই একাংশ বলছেন, হায়রে আলালের ঘরের দুলাল! রাজ্যপাল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। তার কাছে তো বিরোধীরা কেন, সাধারণ বঞ্চিত মানুষরাও যারা রাস্তার ধারে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন, তারাও মিছিল করে যেতে পারে। কিন্তু রাজভবন আপত্তি জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে এই ধর্না নিয়ে। কারণ রাজভবনের সামনে এইভাবে সেই রাস্তায় দীর্ঘদিন ধরে বসে থাকা যায় না। এটা বিরোধীরাও কখনও করেনি। শাসকদলের কোনো নেতা-মন্ত্রীর সঙ্গে তো কথা বলতে পারে না বিরোধীরা। সেক্ষেত্রে সাংবিধানিক প্রধানের সঙ্গে তো তারা তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে যাবে, সেটাই তো স্বাভাবিক। শুধু বিরোধী কেন, তৃণমূলও তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে রাজভবনে মিছিল করে যেতেই পারে। কিন্তু এভাবে ধর্না করাটা সংবিধানকে অমান্য করা। নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানো। তাই এই সরল সত্য না বুঝে পুরো বিষয়টিকে ঘুরিয়ে দিয়ে রাজ্যপালের কাছে জবাবদিহি চাওয়ার মত সাহস একমাত্র ভাইপোই দেখাতে পারেন। কারণ তিনি নিয়ম শৃঙ্খলা কিছুই জানেন না বলেই কটাক্ষ সমালোচকদের।

বিজেপির দাবি, সাধারণ জ্ঞান থাকলে এই ধরনের কথা বলতেন না অভিষেকবাবু্। রাজনীতিটা আগে ভালো করে শিখুন। পিসির দয়ায় তো ক্ষমতা পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু কাকে বলে ধর্না, আর কাকে বলে মিছিল, কিভাবে কোন নিয়ম ভঙ্গ হয়, তা ভালো করে শিখে এসেই বড় বড় কথা বলা উচিত ভাইপোর। যে নেতা নিজেকে সর্বভারতীয় নেতা বলে, সে এতদিনে এটা শিখে উঠতে পারেনি যে, কোনটা ধর্না, আর কোনটা আন্দোলন! ক্ষমতা, পুলিশ, প্রশাসন এই সমস্ত কিছু উপভোগ করতে করতে দিকভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন তৃণমূলের যুবরাজ বলেই কটাক্ষ বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজনীতিতে কথা বলতে গেলে পরিপক্ক হতে হয়। কিছু নিয়ম কানুন শিখতে হয়। সব আমি পিসির দয়ায় করে নেব, আর বড় নেতা হয়ে যাব, এমনটা যদি ভেবে থাকেন আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় ভাইপো, তাহলে তিনি মস্ত বড় ভুল করছেন। রাজভবনের সামনে ধর্না কোনো বিরোধী দল করেনি। বিরোধী দল তাদের দাবি নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছে। সেটা যদি তৃণমূল করতো, তাহলে কোনো আপত্তিই থাকত না। কিন্তু রাজ্যপালকে না পেয়ে রাজভবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় দীর্ঘদিন ধরে বসে থেকে একদিকে আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েছেন এবং অপরদিকে রাজ্য অপমান করেছেন। তাই এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। এটা ভাইপোর বোঝা উচিত। যদি বিজেপিও এটা করতো, তাহলে সেই একই পদক্ষেপ নিত রাজভবন। তাই না বুঝে, না শুনে যে ধরনের কথা বলে দিলেন তৃণমূলের যুবরাজ, তাতে লজ্জায় পড়ছেন অনেক তৃণমূল নেতারাই। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!