এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নন্দীগ্রাম মামলা শুরুতেই বড়সড় অস্বস্তিতে মমতা, বিচারপতির প্রশ্নে অস্বস্তি শাসকদলের!

নন্দীগ্রাম মামলা শুরুতেই বড়সড় অস্বস্তিতে মমতা, বিচারপতির প্রশ্নে অস্বস্তি শাসকদলের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে শুরু হয়েছে নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি। তবে এই মামলার বিচারপতিকে নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। যেখানে বিচারপতি একটি রাজনৈতিক দলের দ্বারা প্রভাবিত বলে দাবি করতে শুরু করেছিল শাসকদল যার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার অনলাইনে কোন বিচারপতির এজলাসে নন্দীগ্রাম মামলা বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে, তা দেখার পরেই বিচারপতি কৌশিক চন্দকে নিয়ে তৃণমূলের আপত্তি ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।

স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে বিচার ব্যবস্থা নিয়ে এবং বিচারপতি সম্পর্কের তৃনমূলের বক্তব্য ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। বিরোধীরা তৃণমূলের আপত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে। তবে ভেতরে যখন মামলার শুনানি হচ্ছে, ঠিক তখনই বার কাউন্সিলের আইনজীবীরা কৌশিক চন্দ্রের এজলাসে এই মামলা শুরু হওয়ায় “সেফ জুডিশিয়ারি” বলে ব্যানার লিখে তাদের প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন।

আর এই সমস্ত কিছু নজরে আসার পরেই নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি চলাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। যাকে কেন্দ্র করে নন্দীগ্রাম মামলার শুরুতেই যথেষ্ট চাপে পড়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল তৃণমূল কংগ্রেস বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বস্তুত, নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি কোন বিচারপতির এজলাস হবে, তা প্রথম থেকেই লক্ষণীয় বিষয় ছিল। অবশেষে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে বিচারপতিকে নিয়ে আপত্তি তোলা হয়েছিল, সেই কৌশিক চন্দ্রের এজলাসেই এদিন নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি শুরু হয়। যেখানে ভার্চুয়ালি এই শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই শুনানির শুরুতেই বিচার ব্যবস্থা নিয়ে যে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, মামলাকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে সেই বিষয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলে দেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “প্রধান বিচারপতির এজলাস এর মামলা নির্ধারিত করেছেন। তাহলে যেটা হল, সেটা বিচার ব্যবস্থা নিয়ে মানুষের কাছে কি বার্তা যায়! 18 জুন এই মামলার শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি আমার কাছে পাঠিয়েছেন। সারা পৃথিবীতে এরকমই হয় বিচারব্যবস্থা। তাহলে এমন কি ঘটল যে, মামলার শুনানি সম্পন্ন না করেই আপনাদের মনে হল, আপনার সুবিচার পাবেন না! এটা কলকাতা হাইকোর্টের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত আপনারা মান্যতা দিচ্ছেন না। তাহলে সাধারন মানুষের বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা কি করে থাকবে! তাহলে তো সকলেই এটা করতে পারেন। তাহলে বিচারব্যবস্থা কি প্রশ্নের মুখে পড়বে না, কি করবেন এই এজলাসে, আপনারা কি শুনানি করবেন, জানান।”

আর বিচারপতি কৌশিক চন্দের এই প্রশ্নের উত্তরে তারা এই মামলার শুনানি চালিয়ে যেতে চান বলে জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। অর্থাৎ প্রথমেই বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা নেই এমন মন্তব্য করে মামলাকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার আইনজীবীকে যথেষ্ট চাপে বিচারপতি কৌশিক চন্দ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার জেরে নন্দীগ্রাম মামলার শুরুতেই যথেষ্ট হোঁচট খেলেন তৃণমূল নেত্রী বলে দাবি একাংশের।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথম থেকেই নন্দীগ্রাম মামলার বিচারপতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বিচারপতি কৌশিক চন্দের ছবি প্রকাশ করে নিরপেক্ষ নাও হতে পারে বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়। আর এরপরই বিচার ব্যবস্থা নিয়ে তৃণমূল কিভাবে সন্দেহ প্রকাশ করছে, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। আর নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি সেই কৌশিক চন্দের এজলাসে যেতেই মামলার প্রথমে এই ব্যাপারে বড় প্রশ্ন তুলে দিলেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ।

যার ফলে তৃণমূলের একাংশ বলছেন, এই মামলায় শেষ পর্যন্ত কতটা সাফল্য আসবে, তা এই ঘটনা থেকেই যথেষ্ট সন্দেহ তৈরি করে দিয়েছে। অর্থাৎ মামলা শুরু হওয়ার আগেই বিচারপতিকে নিয়ে তোলা তৃণমূলের প্রশ্ন এখন সবথেকে বেশি অস্বস্তিতে ফেলে দিল তৃণমূল কংগ্রেস এবং মামলাকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, তা বলাই যায়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!