এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মেদিনীপুরের পর এবার কি হাওড়া দিয়ে শুরু হবে তৃণমূলের ভাঙ্গন? বাড়ছে জল্পনা!

মেদিনীপুরের পর এবার কি হাওড়া দিয়ে শুরু হবে তৃণমূলের ভাঙ্গন? বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পূর্ব মেদিনীপুরের অধিকারী গড়ের সম্রাট শুভেন্দু অধিকারীকে কিছুদিন আগেই নিজেদের দলে টেনেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তার হাত ধরে তৃণমূলে ব্যাপক ভাঙ্গন ধরবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। যদিও বা তাকে গুরুত্ব দিতে রাজি হয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু ধীরে ধীরে হাওড়া জেলায় যেভাবে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা থেকে শুরু করে মন্ত্রীদের বিরূপ মন্তব্য শুরু হয়েছে, তাতে ব্যাপক অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির।

একাংশ বলছেন, তাহলে কি এবার মেদিনীপুরের পর ভাঙ্গন ধরবে হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরমহলে! বস্তুত, ইতিমধ্যেই দলের কর্মীদের পক্ষ অবলম্বন করে শীর্ষ নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে বেশকিছু বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা হাওড়া জেলা তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, আজ জেলা তৃণমূল সভাপতি এবং মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। তাই এই পরিস্থিতিতে শাসকদলের অন্দরমহলে এখন চিন্তা শুরু হয়েছে হাওড়া জেলা নিয়ে।

অনেকে বলছেন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় একসময় তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতার কাছাকাছি এনে দিয়েছিল। নন্দীগ্রাম আন্দোলন থেকে শুরু করে নানা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সেই পূর্ব মেদিনীপুরের অন্যতম স্তম্ভ শুভেন্দুবাবু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সাথে সাথেই বিরোধীদের পাশাপাশি সমালোচক মহলের একাংশের দাবি করেছিল, এবার তৃণমূলের শেষের শুরু হতে শুরু করবে। তবে তৃণমূল দাবি করেছিল তাদের দলে শেষ কথা বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতক্ষণ আছেন, ততক্ষণ কোনো ক্ষতি হবে না।কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ করার পর নীচুতলায় নেতাকর্মীরা যেমন দল পরিবর্তন করতে শুরু করেছেন, ঠিক তেমনই এবার হাওড়া জেলায় লক্ষ্মীরতন শুক্লার মত হেভিওয়েট ব্যক্তিত্বের মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের বিরুদ্ধে বেসুরো মন্তব্য তাদের গেরুয়া শিবিরের দিকেই আগমনকে সীলমোহর দিচ্ছে বলে মত বিশ্লেষকদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই নানা মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে যে, জানুয়ারি মাসে রাজ্যে আসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর মেদিনীপুরের সভায় তিনি যেমন বড় মাত্রায় যোগদান পর্ব সম্পন্ন করেছিলেন, ঠিক একইভাবে হাওড়া জেলায় তৃণমূলের কোন বড় নেতাকে নিজেদের দিকে টেনে নিয়ে আসতে পারেন। আর এই বিষয় নিয়ে যখন জল্পনা বাড়ছে, ঠিক তখনই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং লক্ষ্মীরতন শুক্লার মন্তব্য এবং পদক্ষেপ বড় চিন্তায় ফেলে দিল ঘাসফুল শিবিরকে বলেই দাবি বিশ্লেষকদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা যেমন ভৌগলিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক সেরকমই হাওড়া জেলাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জঙ্গলমহলের হৃদস্পন্দন যেমন বলা হয় মেদিনীপুরকে, ঠিক তেমনই কলকাতার হৃদস্পন্দন বলা হয় হাওড়াকে। ফলে মেদিনীপুরে ভাঙ্গন ধরার সাথে সাথেই পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে হাওড়াতেও শাসকদলের অন্দর মহলে ব্যাপক ভাঙ্গন ধরতে পারে।

যদি এখন থেকেই তৃণমূল নেতৃত্ব রাশ না ধরেহ তাহলে পরিস্থিতি যে সম্পূর্ণরূপে তাদের হাতের বাইরে বেরিয়ে যাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। স্বাভাবিকভাবেই এমতাবস্তায় এবার তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা লক্ষ্মীরতন শুক্লা এবং বেসুরো মন্তব্য করা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মান ভাঙাতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!