এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > হাইকোর্টের রায়ে অথৈ জলে টেট পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ, কি করবেন তাঁরা?

হাইকোর্টের রায়ে অথৈ জলে টেট পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ, কি করবেন তাঁরা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – টেট পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক যেন আর শেষ হচ্ছেনা। দীর্ঘদিন ধরেই প্রাথমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক চাকুরী প্রার্থীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের একটা বিরোধ চলছিল টেট পরীক্ষার সমস্ত কার্যবিধির সমাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও গত 7 বছর ধরে নিয়োগ আটকে। আর এই নিয়ে চলছিল আইনি লড়াই।

সম্প্রতি রাজ্য সরকার নতুন করে টেট পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা করে। সেক্ষেত্রে পুরনো টেট পরীক্ষার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সে সময় হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ রায় দিয়েছিল, প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় মামলাকারীরা বসতে পারবেন। সেই মত পরীক্ষাও দিয়েছিলেন মামলাকারীর 269 জন পরীক্ষার্থী।

কিন্তু সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্য সরকার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায়। আর সেখানেই 269 জন পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অথৈ জলে বলে মনে করা হচ্ছে। তার কারণ, ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় খারিজ করে দিয়ে রাজ্য সরকারের আবেদনটি মেনে নিয়েছে বলে জানা গেছে। গত 31 জানুয়ারি প্রাথমিক টেট পরীক্ষা হয়েছে রাজ্যজুড়ে। 

269 জন পরীক্ষার্থীও এই পরীক্ষায় বসার আবেদন জানিয়েছিল হাইকোর্টে। হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের পক্ষ থেকে তাঁদেরকে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানায় রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি ঘোষণা করেন বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, 2017 সালে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছিল যারা d.el.ed প্রশিক্ষণ নিয়েছে শুধুমাত্র তাঁরাই টেট পরীক্ষায় বসতে পারবেন। রাজ্য সরকারের আইনজীবীরা আরও জানান, 2017 সালে যখন এই বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল তখন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল 2017 সালের পরে যদি কেউ d.el.ed প্রশিক্ষণও নেন, তাহলেও তাঁরা পরীক্ষায় বসার অনুমতি পাবেন না। কিন্তু তা সত্বেও 2017 সালের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পরে 269 জন পরীক্ষায় বসার আবেদন করেছিলেন।

এদিন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারের সমস্ত বক্তব্য খতিয়ে দেখে খারিজ করে দেয় সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়। যথারীতি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এর রায়ে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ল 269 জন পরীক্ষার্থীর। যথারীতি ভোটের মুখে এহেন রায় বিরোধী শিবিরের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার সামিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই রায়কে বিরোধিতার অস্ত্র হিসেবে প্রয়োগ করতে চলেছে বিরোধীরা। পাশাপাশি অনিশ্চিত পরীক্ষার্থীদের প্রশাসনের বিরুদ্ধে কাজে লাগানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!