এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মোদীর নামেও মিথ্যাচার! প্রমান দিতে পারবেন ভাইপো? বড় চ্যালেঞ্জ পদ্ম শিবিরের!

মোদীর নামেও মিথ্যাচার! প্রমান দিতে পারবেন ভাইপো? বড় চ্যালেঞ্জ পদ্ম শিবিরের!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- মিথ্যা বলতে বলতে রাজ্যের শাসক দল এবং তাদের নেতারা শেষ সীমায় পৌঁছে গিয়েছে। এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। কিন্তু এবার একেবারে প্রধানমন্ত্রীর নাম করে যে কথা বললেন তৃণমূলের যুবরাজ, তা শুনে বড়সড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে গেরুয়া শিবির। দিল্লি থেকে কলকাতায় নেমে বিমানবন্দরে সাংবাদিক বৈঠক করে একাধিক কথা বলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার মাঝেই তিনি বড় বড় গলায় দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাকি জেদ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তার কাছে আত্মসমর্পণ করবেন। কিন্তু তিনি কোনোমতেই তা করতে রাজি নন। প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমের সামনে এই কথাই বলেছেন বাংলার যুব আইকন। আর তা শুনেই বিরোধীরা বলছেন, এত বড় কথা যখন বলছেন, তখন প্রমাণ নিয়ে বলছেন তো? এবার যদি চ্যালেঞ্জ করা হয় যে, মোদীজি এই ধরনের কোনো জেদ নিজের মনের মধ্যে রেখেছেন, তখন তা প্রমাণ করতে হবে ভাইপোকে। ফলে তিনি তার প্রমান করার মত ক্ষমতা দেখাবেন তো?

প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধ্যায় দিল্লি থেকে কলকাতায় ফেরেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর জেদ বেশি, না আমার জেদ বেশি, আমি দেখতে চাই। প্রধানমন্ত্রী জেদের থেকে আমার জেদের শক্তি অনেক বেশি। প্রধানমন্ত্রীর জেদ, আমি তার কাছে আত্মসমর্পণ করি। আর আমার জেদ, আমি আপনার সামনে থেকে বাংলার প্রাপ্য হকের দাবি ছিনিয়ে আনব।” আর যুবরাজের এই কথা শুনেই হাসতে শুরু করেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, যে যুবরাজ মুখে সোনার চামচ নিয়ে রাজনীতির ময়দানে নেমেছেন, তাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভাবিত নন। এটা যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতেন, তাহলেও তর্কের খাতিরে মেনে নেওয়া যেত। কিন্তু আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের মুখ থেকে এই ধরনের কথা মানায় না বলেই দাবি সমালোচকদের।

বিরোধীদের দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে কথা বলছেন, তা জেনে শুনে বলছেন তো? প্রধানমন্ত্রীর আর খেয়েদেয়ে কাজ নেই, তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আত্মসমর্পণ করানোর জন্য চেষ্টা করবেন? সত্যি, রাজনীতিতে যা ইচ্ছে, তাই বলা কার্যত ট্র্যাডিশন হয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। যে নেতা পুলিশের একটা হুইসেল শুনে ময়দান ছেড়ে পালায়, তাকে নিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী অন্তত ভাবনার পর্যায়েই কিছু রাখবেন না। তাই যুবরাজ এসব কথা বলে মিডিয়ার প্রচার পেতে পারেন। কিন্তু রাজনীতিতে টিকে থাকতে পারবেন না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহল।

পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজনীতিতে কখনও কখনও কিছু কথা বুঝে শুনে বলতে হয়। ভারতবর্ষের উন্নতি এবং নিজেদের রাজনৈতিক রণকৌশল নিয়ে যথেষ্ট ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী। সেখানে এইসব চুনোপুটি নেতাকে নিয়ে সময় ব্যায় করার মতো সময় তার কাছে নেই। তাই এই ধরনের কথা বলে হিরো সাজার চেষ্টা করছেন বাংলার যুবরাজ। কিন্তু তার এই বক্তব্যের কোনো বাস্তবতা নেই। ফলে মোদীজিকে নিয়ে এই বক্তব্য প্রমাণ করার জন্য যদি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হয়, তাহলে তিনি রাজনীতির ময়দান ছেড়ে পালাতে বাধ্য হবেন। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি রাজনৈতিক সমালোচকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!