এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মুকুলের হাত ধরেই কি তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন বাবুল? সোশ্যাল মিডিয়ার তৎপরতা বাড়িয়ে দিল জল্পনা!

মুকুলের হাত ধরেই কি তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন বাবুল? সোশ্যাল মিডিয়ার তৎপরতা বাড়িয়ে দিল জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   2014 সাল হোক বা 2019 সাল, কেন্দ্রে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়ে এসেছেন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির ভরাডুবির পর সেই বাবুল সুপ্রিয়কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আর তারপর থেকেই তার নানা মন্তব্য জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। আর এবার বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া মুকুলবাবুর ট্যুইটার ফলো করতে শুরু করেছেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ। শুধু মুকুলবাবু নয়, রাজ্যের শাসক শিবির তৃণমূল কংগ্রেসের টুইটারও অনুসরণ করতে শুরু করেছেন তিনি।

স্বাভাবিকভাবেই কট্টর তৃণমূল বিরোধী বাবুল সুপ্রিয়র এই ধরনের উদ্যোগ এখন ক্রমশ তার দলবদললের জল্পনাতেই সীলমোহর দিচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকে বলছেন, এভাবে যে তাকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে, তা কল্পনা করতে পারেননি বাবুল সুপ্রিয়। তাই মন্ত্রী থেকে সরে যাওয়ার পর তিনি কিছুটা হলেও দলীয় নেতৃত্বের ওপর ক্ষুব্ধ। আর সেই কারণেই এখন তৃণমূল ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছেন তিনি। টুইটারে মুকুল রায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে যেভাবে ফলো করতে শুরু করেছেন বাবুল সুপ্রিয়, তাতে গুঞ্জন ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। যেখানে বাংলা থেকে 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে 18 জন সাংসদদের মধ্যে দুইজন সাংসদকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হয়েছিল। তবে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের সেই দুই সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরীকে সেই মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যার জায়গায় বাংলার চার বিজেপি সাংসদকে নতুন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হয়েছে। আর তারপরেই বাবুল সুপ্রিয়র ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। সেভাবে বাবুল সুপ্রিয় দক্ষ সংগঠক নন। তাহলে এখন শুধুমাত্র তিনি বিজেপি সাংসদ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীপদ চলে যাওয়ার পর তিনি আরও গুরুত্বহীন হয়ে পড়বেন বলেই দাবি করতে শুরু করেছিলেন একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এই অবস্থাতে তার তৃণমূল ঘনিষ্ঠতার সম্ভাবনা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছিল। আর তার মাঝেই টুইটারে মুকুল রায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে ফলো করার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরে বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়ে নানা মহলে সাড়া পড়ে গিয়েছে। অনেকে বলছেন, 2017 সালে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন মুকুল রায়। তারপর ধীরে ধীরে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে সেই মুকুলবাবু 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের পর আবার তার পুরোনো ঘর তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এসেছেন। তাই একসঙ্গে ঘর করা মুকুল রায়ের টুইটার অ্যাকাউন্ট ফলো করে মুকুলবাবু এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে কি বার্তা দিতে চাইছেন বাবুল সুপ্রিয়? সে দিক থেকে কি মুকুলবাবুর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরতে পারেন তিনি? এখন এই সমস্ত প্রশ্ন নিয়েই চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।

যদিও বা তাকে নিয়ে এই সমস্ত জল্পনা তৈরি হলেও, তাতে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দিতে রাজি নন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। রবিবার নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। যেখানে তিনি লেখেন, “নানা গুজব আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে। অনেকেই তা শুনে প্রতিক্রিয়া দিতে, ট্রোল করতে, নোংরা গালিগালাজ করতে ছুটে আসছেন। দয়া করে এসবের মধ্যে আমাকে জড়াবেন না। আমার করা কাজ নিয়ে আমাকে বিচার করুন। গুজব দিয়ে নয়।”

অর্থাৎ টুইটারে মুকুল রায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে ফলো করার পর বাবুল সুপ্রিয়র রাজনৈতিক গতি প্রকৃতি নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছিল। কিন্তু এই নিয়ে আলোচনা শুরু হতেই বিতর্ককে দমন করতে ময়দানে নামতে দেখা গেল আসানসোলের বিজেপি সাংসদকে। তবে সামরিকভাবে তিনি এই বিতর্ককে দমন করার চেষ্টা করলেও, সত্যি সত্যিই কি তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন বাবুলবাবু! এখন এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!