বার করলেন না তুরুপের ‘সব’ তাস, তাতেও চোখ কপালে রাজনীতিবিদদের বিশেষ খবর রাজ্য November 6, 2017 তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করার পর ছোট্ট করে শুধু বলেছিলেন, রাজ্যের ৭৭ হাজার ৪০০ বুথেই আমার নিজের লোক আছে, সময় এলে প্রমান দেব। তাঁর সেই দাবী হেসেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন বাঘা বাঘা সব নেতারা। ‘কাগুজে বাঘ’ তকমায় ভরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ার ওয়াল।এরআগে বহুবার দিল্লি থেকে কলকাতায় এসেছেন, কিন্তু কোনোবারই হয়নি এরকম ‘গ্র্যান্ড এন্ট্রি’, তিনি মুকুল রায়, বর্তমানে রাজ্য রাজনীতির সবথেকে আলোচিত ব্যক্তি। তাঁকে স্বাগত জানাতে সোমবার সকাল থেকেই তাঁর অনুগামী-সমর্থকদের ভিড়ে উপচে পড়ছে এয়ারপোর্ট চত্বর৷ সঙ্গে তাঁর কার্ট আউট থেকে শুরু করে বড় বড় ফ্লেক্স, ব্যান্ড পার্টি, ফুলের মালা, ঢাকের বাদ্যি, সবুজ আবির সবই মজুত৷ সময় যত এগিয়েছে ভিড়ের মাথাগুলো ক্রমেই ঘন থেকে ঘনতর হয়েছে। বিজেপি সমর্থকদের তরফেও ছিল বাঁধনহারা উচ্ছাস। রাজ্য বিজেপির ইতিহাসে সম্ভবত এই প্রথমবার দলে সদ্য যোগ দেওয়া কোনও নেতাকে স্বাগত জানাতে দলের দুই সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন, ছিলেন হাজার খানেক কর্মী সঙ্গে অফুরান স্লোগান আর স্বতঃস্ফূর্ত আবেগের বহিঃপ্রকাশ। গেরুয়া পতাকায় ছেয়ে যাওয়া বিমানবন্দর চত্বর থেকে জনাদশেক নিরাপত্তারক্ষী তখন কার্যত হিমশিম খেয়েছেন মুকুল রায়কে গাড়িতে তুলতে। বিমানবন্দর থেকে সোজা কনভয় গেল মধ্য কলকাতার মুরলীধর সেন লেনের বিজেপি রাজ্য দফতরে। মুকুলের গাড়ির সামনে তখন প্রায় ১০০ বাইকের মিছিল। কিন্তু এই আবেগের মুকুল-বরণের পরেও মুকুল-শিবিরের দাবি, তিনি নাকি তুরুপের সব তাস এখনো বারই করেননি, বিমানবন্দরে যে ভিড় হয়েছিল, এর হাজার গুণ বেশি ভিড় নাকি জেলায় জেলায় অপেক্ষা করছে আর মুকুল রায়ের নির্দেশেই তাঁদের নাকি আসতে বারণ করা হয়েছে৷ কারন নাকি, এখনই সবাই সামনে চলে এলে তাঁদের ওপর পুলিশ দিয়ে হয়রানির চেষ্টা হতে পারে৷ তাই জেলার নেতা, কর্মীদের বলা আছে টেলিফোনে যোগাযোগ রাখুন, সঠিক সময়ে ডেকে নেওয়া হবে৷ কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছত্রচ্ছায়ার বাইরে বেরিয়েও তাঁর যে একটা নিজস্ব সমর্থক-অনুগামী আছে সেই বিষয় প্রমানে অন্তত আজ ফুল মার্কস পাবেন মুকুল রায়। আপনার মতামত জানান -