এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বিজেপির সংগঠনের হাঁড়ির হাল ক্রমশ সামনে আসছে! দলীয় কর্মসূচিই শেষ করতে পারছে না জেলা নেতৃত্ব!

বিজেপির সংগঠনের হাঁড়ির হাল ক্রমশ সামনে আসছে! দলীয় কর্মসূচিই শেষ করতে পারছে না জেলা নেতৃত্ব!

লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে বিজেপি ব্যাপক সাফল্য পাওয়ার পর গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহল উজ্জীবিত হয়েছিল। তবে তারা ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে অনুভব করেছিল, লোকসভায় মোদি হাওয়া কাজ করেছে। আর তার ফলেই বাংলায় বিজেপি 18 টি আসন পেয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে বিজেপির প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা বজায় রাখতে গেলে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মানুষের মন জয় করতে হবে।

সেদিক থেকে তৃণমূল যখন সম্প্রীতি যাত্রার উপর জোর দিয়েছিল, তখন গান্ধীজীকে সম্মান জানিয়ে সারা রাজ্যে বিভিন্ন জেলায় বিজেপির পক্ষ থেকে শুরু করা হয়েছিল গান্ধী সংকল্প যাত্রা। গঙ্গাসাগর থেকে কাকদ্বীপ, মেদিনীপুর থেকে কোচবিহার, প্রায় প্রত্যেকটি জেলাতেই বিজেপি নেতৃত্ব এই সংকল্প যাত্রাকে কেন্দ্র করে বহু পথ অতিক্রম করার চেষ্টা করেছে। তবে যে উত্তরবঙ্গের মানুষ বিজেপিকে দুহাত ভরে ভোট দিয়েছে, সেই উত্তরবঙ্গে বিজেপির এই সংকল্প যাত্রা কার্যত ভেস্তে গিয়েছে।

উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র কখনও বাম, আবার কখনও বা কংগ্রেসের দখলে থাকলেও, এবার সমস্ত জল্পনাকে পিছনে ফেলে এই কেন্দ্রটি দখল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। স্বাভাবিকভাবেই মানুষ যদি কোনো জায়গায় সাফল্য পায়, তাহলে তারা আরও সাফল্য দেখবার জন্য পরিশ্রম করে। কিন্তু রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র বিজেপি দখল করেই যেভাবে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে, তাতে বিজেপি নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

রায়গঞ্জে জয়ী হয়েছেন বিজেপির দেবশ্রী চৌধুরী। শুধু জয়ী হয়ে সাংসদ হওয়াই নয়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও হয়েছেন তিনি। তবে তার মত নেত্রী থাকতেও উত্তর দিনাজপুর জেলায় বিজেপি ঘোষিত কর্মসূচি গান্ধী সংকল্প যাত্রা ঠিকমতো পালন না হওয়ায় নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। জানা যায়, উত্তর দিনাজপুরে ভারতীয় জনতা পার্টির রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে মোট 150 কিমি সংকল্প যাত্রা করার কথা রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এখনও পর্যন্ত মোট 90 কিলোমিটার যাত্রা সম্পন্ন করেছে তারা। এমনকি গান্ধী সংকল্প যাত্রার সময় দেখা যায়, দেবশ্রী চৌধুরী আসলেও কিছুদূর হেঁটে তিনি গাড়িতে করে মিছিল শেষ হওয়ার জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন। আর সাংসদ কর্মীদের সঙ্গে মিছিলে না হাটায়, দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উঠতে শুরু করেছিল প্রশ্ন। দলীয় স্তরে তৈরি হয়েছিল অসন্তোষ।

আর এবার কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি পর্যুদস্ত হওয়ায় উত্তর দিনাজপুরে যে বিজেপি হাওয়া ফিকে হতে শুরু করেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের যিনি সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী আরএসএসের হেভিওয়েট নেত্রী হিসেবে পরিচিত। তাকে দাঁড় করিয়ে বিজেপি এই কেন্দ্রে সাময়িক সাফল্য পেলেও সাংসদ হওয়ার পর যেভাবে দেবশ্রীদেবীর গতিবিধি দেখা যাচ্ছে, তাতে রায়গঞ্জে ভবিষ্যতে বিজেপিকে খুব একটা সুবিধাজনক জায়গা দেবে না সেই ব্যাপারে আতঙ্কিত দলের অনেকেই।

কিন্তু যেখানে বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে ভারতীয় জনতা পার্টি বাংলা দখলের স্বপ্ন দেখছে, সেখানে দলের গান্ধী সংকল্প যাত্রার মতো কর্মসূচি কেন উত্তর দিনাজপুর জেলায় ফ্লপ হয়ে গেল? কেন তা ঠিকমত করতে পারল না উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপি নেতৃত্ব? এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির সভাপতি নির্মল দাম বলেন, “সংকল্প যাত্রা লোক হচ্ছে না, তা নয়। 15 কোটি কিমি পথ হাঁটতে হচ্ছে। সকলের পক্ষে তা সম্ভব হচ্ছে না।”

তিনি আরো বলেন, “যাত্রা শুরুর সময় অনেকেই থাকছেন। কিন্তু পরে অনেকে মিছিল থেকে সরে যাচ্ছেন। আবার মাঝপথে কেউ এসে যুক্ত হচ্ছেন। এভাবেই চলছে। আমরা ভালো সাড়া পাচ্ছি। কালিয়াগঞ্জে ভোটের কারণে অনেক জায়গায় সংকল্প যাত্রা বাকি আছে। আমরা শীঘ্রই ওই কর্মসূচি সম্পন্ন করব।” তবে মুখে যতই কথাই বলুন না কেন নির্মল বাবু, কাজে যে তারা অনেক পিছিয়ে, তা এই সংকল্প যাত্রার মধ্য দিয়েই প্রমান হয়ে গেল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!