এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শুধু গেরুয়া শিবির নয়, তৃণমূল কংগ্রেসের ঘুম ওড়াতে এবার বড় হুঁশিয়ারি এই দলেরও

শুধু গেরুয়া শিবির নয়, তৃণমূল কংগ্রেসের ঘুম ওড়াতে এবার বড় হুঁশিয়ারি এই দলেরও


জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই লোকসভা ভোটের প্রচার কর্মসূচি নিয়ে কোমর বেঁধে ময়দানে নামবে বামফ্রন্ট ,এমনটা আগেই জানিয়েছিলেন আলিমুদ্দিন স্ট্রীটের কর্তারা। সেইমতোই বিজেপি-তৃণমূলকে চাপে ফেলতে আসরে নামতে দেখা গেল সূর্যকান্ত মিশ্র এবং বিমান বসুদের।

সিপিএমের তারকেশ্বর থেকে কামারপুকুর পর্যন্ত পদযাত্রাটি শেষ হল এদিন। প্রথম দিন তারকেশ্বর থেকে আরামবাগের পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। এবং দ্বিতীয় দিন আরামবাগ থেকে কামারপুকুর পর্যন্ত পদযাত্রায় অংশ নেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। বামেদের হেভিওয়েটেদের সঙ্গে এই পদযাত্রায় হাঁটতে দেখা গিয়েছে যুব ছাত্র,শ্রমিক এবং খেতমজুরদের।

দুদিনের মোট ৪০ কিলোমিটার পদযাত্রায় হেঁটেছেন প্রায় কয়েক হাজার বাম কর্মী এবং সমর্থকরা। একটাই মূল শ্লোগান ছিল তাঁদের-‘বিজেপি হটাও ও তৃণমূল হটাও’। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি আলুর ন্যায্য দাম,শ্রমিকদের সঠিক পারিশ্রমিক সহ ১২ টি দাবী নিয়ে ব্রিগেড কাঁপাবে বামেরা। ১৭ টি দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন বামেদের ডাকা ব্রিগেড সমাবেশে। প্রধান বক্তার ভূমিকায় দেখা যাবে সীতারাম ইয়েচুরিকে,এমনটাই বামফ্রন্ট সূত্রের খবর।

এদিন পদযাত্রায় হাঁটতে হাঁটতে বিমান বসু তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের সমালোচনায় মুখর হলেন। বললেন,’তৃণমূল কংগ্রেসের ব্রিগেডের মিটিং আমরা দেখেছি। এজেসি বোস রোড এবং ন্যাশনাল হাইওয়ের ধারে পিকনিকের মেজাজে ভাত মাংসর ঝোল রান্না করে খেয়েছে আর বাড়ি চলে গিয়েছে যে যার। এটা কি মিটিং হল?’

পাশাপাশি আরো দাবী করলেন,দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিজেপি বিরোধী নেতা-মন্ত্রীরা ব্রিগেডে এসে এক কথা বলে গেলেন আর রাজ্যে ফিরে অন্য,সুর গাইলেন। এরপর বামেদের ডাকা ব্রিগেড সমাবেশ সম্পর্কে বললেন,জনসমাবেশ কাকে বলে সেটা বামফ্রন্ট ৩ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডেই দেখিয়ে দেবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গোঘাটের সিপিএম নেতা দেব চক্রবর্তী আবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বললেন,বামেদের পদযাত্রা ব্যাহত করার চেষ্টা করেছে তৃণমূল। বামফ্রন্টের পার্টি অফিসের সামনে ক্যাম্প করার পাশাপাশি অফিসের তালা ভেঙে চালও চুরি করে নিয়ে গিয়েছে তৃণমূলের দলবল। আসলে তৃণমূল যে গনতন্ত্র বিরোধী তা তাঁরা নিজেদের কর্মকাণ্ড দিয়েই বুঝিয়ে দেয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে বিরোধীদের কোনোভাবেই সুষ্ঠুভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে দেয় না তৃণমূল।

তবে বামেদের এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেই দাবী করলেন গোঘাটের তৃণমূল বিধায়ক মানস মজুমদার। শুধুমাত্র রাজনৈতিক চর্চার কেন্দ্রে থাকার জন্য নাটক করছে বামেরা, এমনটাই বক্তব্য তাঁর। তিনি আরো জানালেন,তৃণমূল নয়,আসলে বামফ্রন্টই গনতন্ত্র ধ্বংস করেছে। দীর্ঘ ৩৪ বছর ধরে মানুষ তার প্রমাণ পেয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর বাংলার মানুষ স্বস্তি পেয়েছে। তাঁদের গনতান্ত্রিক অধিকার ফিরেছে। এমনটাই বক্তব্য তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!