এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যজুড়ে আলো-পার্কের ঝলমলানি বাড়লেও রাস্তা বা জলের মত ‘বেসিক পরিষেবা’ নেই! বলছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয় অর্থনীতিবিদের রিপোর্ট!

রাজ্যজুড়ে আলো-পার্কের ঝলমলানি বাড়লেও রাস্তা বা জলের মত ‘বেসিক পরিষেবা’ নেই! বলছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয় অর্থনীতিবিদের রিপোর্ট!


গোটা রাজ্যজুড়ে আলো-পার্কের সুব্যবস্থা থাকলেও রাস্তা,জল সরবরাহ,নিকশি,বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে এখনো অনেকটাই পিছিয়ে পুরসভা গুলো। এমনটাই জানাচ্ছে অর্থ কমিশনের রিপোর্ট। এই চারটি বিশেষ ক্ষেত্রে উন্নয়নের তাগিদে কমিশনের তরফ থেকে আগামী পাঁচ বছরের জন্যে পুরসভা গুলিকে ২৯৮৩.৪৩ কোটি টাকা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। কমিশনের এক সদস্য জানিয়েছেন,, ‘‘আমরা পুরসভাগুলি এবং পুর দফতরের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছিলাম। ২০১৫ সালে আসা রিপোর্ট থেকেই তথ্য বিশ্লেষণ করে নির্দিষ্ট সুপারিশ করা হয়েছে।’’

প্রসঙ্গত,অভিরূপ সরকারের নেতৃত্বে গঠিত চতুর্থ রাজ্য অর্থ কমিশন সম্প্রতি একটি রিপোর্ট পেশ করেছে নবান্নে। তাতে বলা হয়েছে,পশ্চিমবঙ্গের পুরসভাগুলিতে এখন প্রতি কিলোমিটারে ২৪. ৬৬ বা ২৫ টি করে লাইটপোস্ট লাগানো হয়েছে।আর অধিকাংশ আলোগুলিই ত্রিফলা। তাছাড়া হাইমাস্ট আলোর সংখ্যাও কম নেই। এছাড়া প্রতিটি পুরসভায় গড়ে ৩৫ হাজার ৩২০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে পার্ক তৈরি হয়েছে।

প্রসঙ্গত,শহরকে আলোময় এবং খেলাধুলার জায়গার অভাবহীন তৈরি করার মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছা পূরণ করেছে রাজ্যের ১২৭ টি পুরসভা। তবে খামতি থেকে গেল চারটি বিশেষ ক্ষেত্রে।

কমিশনের রিপোর্ট সূত্র জানা গেল,এ রাজ্যের সবথেকে কম জনবসতিপূর্ণ পুরসভা হল পশ্চিম মেদিনীপুরের খরার। ১২ হাজার ২২০ জন মানুষের জন্য রাস্তা রয়েছে ৭৫ কিমি আর ৬৫৫টি আলোর সুব্যবস্থা। অন্যদিকে রাজ্যের মধ্যে সব চেয়ে বেশি আলো রয়েছে কলকাতা পুর এলাকায়। আলোর সংখ্যা ২ লক্ষ ৬৮ হাজার ৩৪৪ টি। আলোর ব্যবস্থা নিয়ে অসুবিধা না থাকলেও পুরসভার জল সরবরাহ ব্যবস্থা দেখে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে প্রশাসনের। কমিশনের দাবী,জনপ্রতি দিনে ১৩৫ লিটার জল দেওয়ার কথা থাকলেও গড়হিসাবে দিনে ৬-৭ ঘন্টার বেশি জল সরবরাহ হয়না পুরসভা গুলিতে।

অন্যদিকে,কুপার্স ক্যাম্প, নলহাটি, পাঁশকুড়া, কুলটি, জয়নগরের মতো পুরসভায় জল সরবরাহের ব্যবস্থাই নেই। শুধু কলকাতা পুরসভা জনপ্রতি ১৩৫ লিটার জল দিতে পারে। দিনে জনপিছু ১০ লিটার করে জল বেশিরভাগ পুরসভাই দিতে পারে না। পুরসভাগুলির নিকাশি ব্যবস্থারও একই হাল। মাত্র ২৮ টি পুরসভায় নিকাশের সুব্যবস্থা রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী,মাত্র ২৪.৪% পুর এলাকায় ঢাকা নর্দমা আছে, খোলা নর্দমা আছে ৪২.৪% এলাকায় এবং ৩৩.২% এলাকায় কোনও নর্দমাই নেই! একইরকম বেহাল দশা জঞ্জাল সাফাই এবং বর্জ্য ব্যবস্থপনার ক্ষেত্রেও। ২৮ পুরসভাতেই জঞ্জাল ব্যবস্থপনার অবস্থা ভীষণ খারাপ। আসানসোল, অশোকনগর, বীরনগর, কুপার্স ক্যাম্প, ধূপগুড়ি, কান্দি, ক্ষীরপাই, পাঁশকুড়া, পূজালি, পুরুলিয়া এবং রামপুরহাটের মতো পুরসভায় জঞ্জাল বহন করে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাই নেই।

গোটা রাজ্যের মাত্র ১০% পুরসভা এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়া ঠিকঠাক ভাবে চালাতে পারে। এমনটাই দাবী কমিশনের। সবশেষে রাস্তার প্রসঙ্গ জানাতে গিয়ে কমিশন বলেছে,দুর্গাপুর, কল্যাণী এবং বিধাননগরেই কেবল রাস্তাঘাট পর্যাপ্ত এবং ঠিকঠাক রয়েছে। এছাড়া পুর এলাকার কোনো রাস্তাই তেমন উল্লেখযোগ্য নয়। শুধু তাই নয়, কলকাতার বেশ কিছু রাস্তাও প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই সঙ্কীর্ণ।

তবে এই চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উন্নয়নে জোর দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর বক্তব্য,‘‘নিকাশি, জল সরবরাহ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে অজস্র প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।’’ তিনি আরো জানান,ইতিমধ্যে ১০৩ টি পুরসভায় জল সরবরাহ শুরু করা হয়েছে।

বর্জ ব্যবস্থাপনায় জন্যে উত্তরপাড়া-বৈদ্যবাটিতে ঘরোয়া প্রযুক্তি ব্যবহার করে কম জমিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। কারণ এই প্রক্রিয়া চালানোর জন্যে একসাথে অনেকটা জমি পাওয়াটাই চাপের। তাই হুগলির এই পুরসভার দেখানো পথেই অন্যান্য পুরসভাগুলিকে হাঁটার নির্দেশ দিলেন পুরমন্ত্রী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!