সতর্কবার্তা ছিল না তাই প্রাণহানি হয়েছে, কালবৈশাখী নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য April 19, 2018 সতর্কবার্তা ছিল না তাই প্রাণহানি হয়েছে, কালবৈশাখী নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সন্ধ্যেবেলা প্রবল ঝড়ের দাপটে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় গোটা কলকাতা ও তার পার্শবর্তী জেলাগুলি। বজ্র- বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতর নবান্নে জানায়। প্রবল দুর্যোগের পূর্বাভাস পায় নি বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। এই ঝড়ের প্রকোপে কলকাতা সহ আরও চারটি জেলা মিলিয়ে মোট ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রচুর বাড়ি ঘর। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে মৃতদের পরিবারকে দু লক্ষ্য টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়,”হঠাত্ করে ঝড়টা হল। কলকাতা এবং আশেপাশে যা হয়েছে, গতিবেগটা এতটা ছিল, অনেকে আয়লার সঙ্গে তুলনা করছে। সতর্কবার্তা ছিল না। হঠাত্ হয়েছে তো। তাই প্রাণহানি হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের হাতে নেই!” আবহাওয়া দফতরের ব্যাখ্যা অনুযায়ী আচমকাই আবহাওয়ার পরিস্থিতি বদলে যায়, আর সেটা অনুমান করে সতর্ক বার্তা নবান্নে পাঠানোর আগেই ঝড় আছড়ে পরে কলকাতায়। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ খান বলেন, “পরিস্থিতি অনুযায়ী মোকাবিলায় নামতে কর্মীদের ন্যূনতম এক ঘণ্টা লাগে। যেমন পূর্বাভাস থাকে, সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি চালানো হয়। এই ভয়াবহ ঝড়ের পূর্বাভাস ছিল না। থাকলে সেই মতো প্রস্তুতি চালানো হত,” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ”যাঁরা মারা গিয়েছেন, যাঁদের ঘরবাড়ি ভেঙেছে, তাঁদের পরিবারকে সব রকম সাহায্য করা হবে। বিপর্যয় কোড অফ কনডাক্টের মধ্যে পড়ে না। পুলিশ, পুরসভা, জেলা প্রশাসন সব ব্যবস্থা নিয়েছে। রাস্তায় নেমে কাজ করেছে। কলকাতা বা হাওড়ায় ওই রকম ব্যবস্থা না-নিলে হয়তো এ দিনেও যানবাহন চলত না।” আপনার মতামত জানান -