এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > তৃণমূলের ব্রিগেড ঘিরে কি দ্বিখন্ডিত হতে চলেছে প্রদেশ কংগ্রেস? তীব্র হচ্ছে জল্পনা

তৃণমূলের ব্রিগেড ঘিরে কি দ্বিখন্ডিত হতে চলেছে প্রদেশ কংগ্রেস? তীব্র হচ্ছে জল্পনা


জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস এবং তৃণমূল হাতে হাত ধরলেও বাংলার রাজনৈতিক সমীকরণ একেবারেই উল্টো। আগামী 19 শে জানুয়ারি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে চাপে রাখতেই কলকাতায় ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ঐতিহাসিক জনসভার ডাক দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যে সমাবেশে দেশের সমস্ত বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কিন্তু বঙ্গ রাজনীতিতে সেই শাসক দল তৃণমূলেরই প্রবল বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছে তৃণমূলের তরফে এই ব্রিগেড সমাবেশের জন্য আমন্ত্রণ গেলে যেন কেউ সেখানে না আসেন সেজন্য আগেই হাইকমান্ডের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সোমেন মিত্র, আব্দুল মান্নানেরা।

কিন্তু রাজনীতিতে চিরশত্রু চির মিত্র বলে কোনো কথা নেই। আর তাই তো আগামী 19 শে জানুয়ারি তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশে লোকসভায় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেকে পাঠানোর ব্যাপারে সায় দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। আর এতেই কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেসের নেতৃত্বরা। কেননা সারা দেশে বিজেপি বিরোধীতায় লড়লেও নেই রাজ্যে শাসক দল তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ার জন্য কংগ্রেস এবং বামেরা কাছে আসার ব্যাপারে নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরু করেছে।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এহেন একটা পরিস্থিতিতে কংগ্রেস হাইকমান্ডের তরফে মল্লিকার্জুন খাড়গেকে তৃণমূলের এই ব্রিগেড সমাবেশে পাঠালে রাজ্যে কংগ্রেসের স্ট্র্যাটেজি ঠিক কী হবে তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেসের অনেক নেতাই। অন্যদিকে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের তরফ এই মল্লিকার্জুন খাড়গে যদি তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশে উপস্থিত হন তাহলে অনেকটাই অস্বস্তিতে পড়তে চলেছে সিপিএমও। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিগত বিধানসভার ভোট থেকে শিক্ষা নিয়ে সিপিএম কংগ্রেসের সাথে এবারের লোকসভা নির্বাচনে জোট করার পক্ষে সওয়াল করলেও বামেদের অন্যান্য শরিক দলেরা সেই ব্যাপারে কিছুটা আপত্তি তুলেছে।

আর এবারে কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গে যদি তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দেয় তাহলে বামেদের অন্যান্য শরিকদের সেই কংগ্রেসের সাথে জোটে “না” এর জোরালো দাবি যে আরও তীব্র হয়ে উঠবে সেই ব্যাপারে নিশ্চিত অনেকেই। তবে কংগ্রেসের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে মল্লিকার্জুন খাড়গেকে যে তৃণমূলের এই ব্রিগেড সমাবেশ পাঠানো হবে সেই ব্যাপারে আগে থেকেই কিছুটা আন্দাজ পেয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের নেতৃত্বরা।

জানা গেছে, বিমান বন্দরে লোকসভার কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত থাকবেন রাজ্য বিধানসভার কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্যের মতো নেতারা। আর এরপরই সেই মল্লিকার্জুন খাড়গে রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দপ্তর বিধান ভবনে গিয়ে বেশ কয়েক মিনিট রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। আর সেখানেই রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা শাসক দল তৃণমূলের সন্ত্রাসের কথা তুলে ধরে তাঁর কাছে অভিযোগ জানাবেন বলে খবর।

কিন্তু যেখানে রাজ্যে উঠতে-বসতে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় বিধান ভবনকে, ঠিক সেখানেই হাইকমান্ডের তরফ থেকে তৃনমূলের ব্রিগেড সমাবেশে কংগ্রেসের প্রতিনিধি পাঠানোয় কি তাঁরা অস্বস্তিতে পড়ছেন না? এদিন এই প্রসঙ্গের রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, “জাতীয় রাজনীতির বাধ্যবাধকতার কারণে হাইকম্যান্ড তৃণমূলের সমাবেশে প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে। তবে এর কোনো প্রভাব রাজ্য রাজনীতিতে পড়বে না।” তবে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে সোমেন মিত্রের এই দাবি ঠিক কতটা বাস্তবে প্রতিফলিত হয় এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!