প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ থেকে বার্তা দিয়েছিলেন, যারা তৃণমূল ছেড়ে অন্য দলে চলে গেছেন, তারা চাইলে আবার তৃণমূল কংগ্রেসের ফিরে আসতে পারেন। আর এরপর থেকেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সময় নানা কর্মী মন্তব্য করেছেন, বিজেপির অনেক সাংসদ এবার তৃণমূল কংগ্রেসে আসতে চলেছেন। স্বাভাবিকভাবেই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে তীব্র জল্পনা তৈরি হয়েছে।

কিছুদিন আগেই বিজেপিতে যোগ দেওয়া দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি বিপ্লব মিত্র ফিরে এসেছেন ঘাসফুল শিবিরে। আর তারপরেই তৃণমূলের সৈনিকদের মন্তব্যে জল্পনা তৈরি হয় যে, তাহলে কি সত্যি হতে চলেছে বড় দলবদল? তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। তাহলে

কি সত্যি সত্যি বিজেপির একাধিক জনপ্রতিনিধি আবার যোগদান করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেসে? তার দিকে তাকিয়ে থাকেন অনেকেই। আর এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ঘিরে জল্পনা শুরু যে, বিজেপির এক সাংসদের তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন।

সূত্রের খবর, বিজেপির দুবারের সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার এবার তৃণমূলে যোগদান নিয়ে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর যদি তৃণমূলে যোগদান সত্যি হয়, তাহলে বিজেপি বড়সড় ধাক্কা খাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া ছাত্রাবস্থা থেকেই রাজনীতি শুরু করেছেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র পরিষদ করার পর বিহার থেকে কংগ্রেসের টিকিটে রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে 1999 সালে কংগ্রেস ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেন তিনি। তার পর গত 2014 সালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পর 2019 সালে আবার সাংসদ হন আলুওয়ালিয়া সাহেব।

স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির দুইবারের সাংসদের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে যে জল্পনা তৈরি হয়েছে বাংলা জুড়ে, তাতে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে সর্বত্র। বিজেপির দাবি , তৃণমূলের পক্ষ থেকে অতীতে নিশীথ প্রামাণিকের মত বিজেপি সাংসদ পদ্ম শিবির ছেড়ে ঘাসফুলে যোগ দিতে পারেন বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে এমনটা হতে দেখা যায়নি।

আর এবার সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়াকে নিয়েও তারা জল্পনা তৈরি করেছে। আসলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এসব করে তৃণমূল চমক দিতে চাইছে। কিন্তু এতে লাভের লাভ কিছুই হবে না।  এই নিয়ে সাংসদ কিছু জানান নি, তবে তাঁর ঘনিষ্ঠমহলে দাবি, তৃণমূল দলটার কোনো অস্ত্বিত্ব থাকবে না ২০২১ এর পরে -এসব অপপ্রচার করার আগে তৃণমূলের সেটা ভাবা উচিত। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।