করোনার ভ্যাকসিন না নিলে মিলবে না বেতন, কড়া নির্দেশ রাজ্য সরকারের অন্যান্য জাতীয় শরীর-স্বাস্থ্য January 18, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত শনিবার থেকে শুরু হয়েছে করোনার ভ্যাক্সিনেশন। ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, থেকে শুরু করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ফ্রন্ট লাইনারদের এই পর্বে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ঝাড়খন্ডে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য এক বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছিল ঝাড়খণ্ড সরকার। ঝাড়খণ্ডের কোডারমা জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, বাধ্যতামূলকভাবে তাঁদেরকে করোনার ভ্যাকসিন নিতে হবে। ভ্যাকসিন না নিলে আটকে দেয়া হবে তাঁদের বেতন। ঝাড়খণ্ডের কোডারমা জেলায় স্বাস্থ্যকর্মীদের আবশ্যিকভাবে করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। গত ১৬ ই জানুয়ারি কোডারমা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও জেলা স্বাস্থ্য সমিতির মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক পার্বতীকুমার নাগ ও জেলা প্রতিরক্ষণ আধিকারিক ও এসিএমও অভয় ভূষণ প্রসাদ এই ধরনের একটি নির্দেশ জারি করেছিলেন। কোডারমা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সমস্ত কর্মীদের উদ্দেশে জানানো হয়েছিল যে, যে সমস্ত সরকারি কর্মীরা এখনো ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন নি। তাঁরা যত দূর সম্ভব, তা গ্রহণ করুন। তাঁরা যদি করোনার টিকা গ্রহণ না করেন, তবে আগামী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত তাদের বেতন আটকে দেয়া হবে। টিকা নেবার প্রমান পত্র জমা দেবার পর তাঁদের বেতন দেওয়া হবে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই নির্দেশ জারি হওয়ার পর সরকারি স্বাস্থ কর্মীরা এর প্রচন্ড বিরোধিতা করেন। সকলের বিরোধিতার ফলে শেষ পর্যন্ত এই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেয় স্বাস্থ্য দপ্তর। স্বাস্থ বিভাগের কর্মীরা জানিয়েছেন যে, এই নির্দেশ পাওয়ার পর এ বিষয়ে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে ঝাড়খণ্ডের মুখ্য স্বাস্থ্য সচিব নীতিন মদন কুলকার্নি জানালেন যে, এমন একটি নির্দেশ সরকারের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছিল। কিন্তু পরে এই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। তবে, নির্দেশ জারি করার পর কোন সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। গত শনিবার করোনার ভ্যাকসিনের জন্য প্রথম দিন কোডারমা জেলার দুটি কেন্দ্রে ১০০ জন করে মানুষকে ভ্যাকসিন দেবার লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছিল। কিন্তু যতটা লক্ষ্যমাত্রা ছিল, সে তুলনায় অনেক কম লোক উপস্থিত হয়েছিলেন। তাই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার জন্য এমন ধরনের একটি কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে নির্দেশিকা জারি করার পরও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। ২০০ জনের পরিবর্তে ১৩৯ জন করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন ঝাড়খণ্ডের কোডারমা জেলায়। আপনার মতামত জানান -