এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > গেরুয়া থেকে ঘাসফুলে ফিরে এলেও শাস্তির কোপে হেভীওয়েট নেতা, আবার কি তাহলে গেরুয়া ছাতা? জল্পনা তুঙ্গে

গেরুয়া থেকে ঘাসফুলে ফিরে এলেও শাস্তির কোপে হেভীওয়েট নেতা, আবার কি তাহলে গেরুয়া ছাতা? জল্পনা তুঙ্গে

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একদিকে যখন একুশের নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারীর গড় নন্দীগ্রাম থেকে লড়াইয়ের ঘোষণা করে দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক সেসময় আসানসোলের পাণ্ডবেশ্বর এর বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারির টুইট নিয়ে শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা। জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে টানাপোড়েন দলের অন্দরে। কয়েকদিন আগেই জিতেন্দ্র তিওয়ারি দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে, নজিরবিহীনভাবে ফিরহাদ হাকিমকে আক্রমণ করে শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী হিসেবে দলত্যাগ করেছিলেন। যার ফলস্বরূপ পুর প্রশাসকের সাথে সাথে জেলা সভাপতির পদও তিনি ছেড়ে দেন।

কিন্তু এরপরেই আসে চমক। রাতারাতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে দলে ফিরে আসেন। কিন্তু ততদিনে যা হবার হয়ে গিয়েছে। সমস্ত পদ জিতেন্দ্র তিওয়ারির হাতছাড়া হয়ে গেছে। সদ্যই আসানসোলের পুর প্রশাসকের বদল হয়, আর এবার জেলা সভাপতির পদে জিতেন্দ্র তিওয়ারির জায়গায় এলেন তৃণমূল নেতা অপূর্ব মুখোপাধ্যায়। জিতেন্দ্র তিওয়ারি অবশ্য এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, তিনি যেহেতু ইস্তফাপত্র ফিরিয়ে নেননি, তাই দলের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সোমবার রাজ্য রাজনীতিতে আরও একবার জল্পনার সৃষ্টি করলেন জিতেন্দ্র। তিনি তাঁর টুইটারে লিখেছেন, ““পরিস্থিতি যখন কঠিন হয়। তখন দৃঢ়চিত্ত মানুষরা এগিয়ে যান।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এর পরেও বেশ কয়েক লাইন হিন্দিতে লিখেছেন যা থেকে স্পষ্ট হচ্ছে ক্রমশ তিনি তাঁর কথাই লিখেছেন। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা জিতেন্দ্র তিওয়ারির টুইটকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন এবং ইঙ্গিতবহ হিসেবেই ধরছেন। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই আবার মনে করছেন, জিতেন্দ্র হয়তো শেষমেশ আবার গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, গেরুয়া শিবিরে এর আগেও যাবার কথা থাকলেও জিতেন্দ্র যেতে পারেননি বেশকিছু গেরুয়া নেতার আপত্তিতে।

যার মধ্যে বাবুল সুপ্রিয় ছিলেন অন্যতম। কিন্তু ইদানীংকালে বাবুল সুপ্রিয়র গলায় কিন্তু জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে একাধিক প্রশংসাসূচক বাক্য শোনা গিয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে এই মুহূর্তে তৃণমূলের অবস্থা যথেষ্ট টালমাটাল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে জিতেন্দ্র তিওয়ারি দলীয় শাস্তির সম্মুখীন হয়েছেন সে কথা কিন্তু এক বাক্যে মেনে নিচ্ছেন রাজনীতির কারবারিরা। এবার দেখার, জিতেন্দ্র তিওয়ারি দলের শাস্তি মাথা পেতে নেন, নাকি আরও একবার দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন!

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!