এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলের বিরোধিতা করলেই হেনস্থা, প্রমাণ দিল মমতা পুলিশ! সোচ্চার বিরোধীরা!

তৃণমূলের বিরোধিতা করলেই হেনস্থা, প্রমাণ দিল মমতা পুলিশ! সোচ্চার বিরোধীরা!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তৃণমূল কাউকে আপন বলে মনে করে না। আজকে যে তৃণমূলের সবথেকে বড় ঘনিষ্ঠ নেতা, সে যে কালকে তৃণমূলের দুচোখের বিষ হয়ে যাবে না, এই গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবেন না। সন্দেশখালির ঘটনা পরম্পরা কিন্তু তেমনটাই বলছে। আর পুলিশ প্রশাসন, তাদের কথা তো ছেড়েই দিন। তারা যেভাবে মমতা পুলিশে পরিণত হয়েছে, সেই সম্পর্কে যত কম বলা যায়, ততই ভালো। এতদিন এই সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন অজিত মাইতি। গতকাল গ্রামবাসীদের তাড়া খাবার পরেও তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি। কিন্তু সেই অজিত মাইতি যখন বললেন যে, তাকে ২০১৯ সালের পরে জোর করে বিজেপি থেকে তৃণমূলে মারধর করে আনা হয়েছিল, তারপরে এই সেই অজিত মাইতিকে পদ থেকে সরিয়ে দিল তৃণমূল। আর শাসকদলের এই অ্যাকশনের পরেই সেই অজিত মাইতিকে গ্রেপ্তার করল দলদাস পুলিশ। অর্থাৎ এতদিন ধরে সন্দেশখালির মানুষরা অজিত মাইতির বিরুদ্ধে শত অভিযোগ তুললেও তার বিরুদ্ধে কোনো স্টেপ নেওয়া হচ্ছিল না। কিন্তু যেই তৃণমূল তাকে সরিয়ে দিল, যেই অজিত মাইতির বক্তব্যের তৃণমূলের আতে ঘাঁ লাগল, তখনই তাকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেওয়া হলো। আর এর ফলেই আবার প্রমাণ হয়ে গেল যে, এই রাজ্যে শাসকের আইন চলছে। এই রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলবেন, তার দলদাস পুলিশ সেটাই করবে। মেরুদণ্ড সোজা রেখে আইন রক্ষা করার মত কাজ এই প্রশাসনের করার হিম্মতটুকু নেই।

প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি ইস্যু তৃণমূলের গলার কাটা হয়ে গিয়েছে। আর সেই কারণেই শাসক দলের দুই মন্ত্রীকে ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্য সেই এলাকায় পাঠিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেখানে গিয়েও লাভ হয়নি। মন্ত্রীদের সামনেই গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ করেছেন। পাশাপাশি তৃণমূল নেতা অজিত মাইতিকে তাড়া করতেও দেখা গিয়েছে গ্রামবাসীদের‌। কিন্তু তারপরেও তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনো স্টেপ নেওয়া হয়নি। কিন্তু অজিত মাইতি যখন বলেছেন যে, এখন তিনি তৃণমূল করেন ঠিকই। কিন্তু একসময় তাকে মারধর করে বিজেপি থেকে তৃণমূলে নিয়ে আসা হয়েছিল। আর তারপরেই রাজ্যের শাসক দলের হুশ ফিরেছে। তারা তড়িঘড়ি অজিত মাইতিকে নিজের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরেই পুলিশ এই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছে। এখন বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, এত পরে কেন গ্রেফতার হলো? কেন প্রথম দিন গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ করার পরেই গ্রেপ্তার করা হলো না অজিত মাইতিকে! এখন অজিত মাইতির পক্ষ কেউ অবলম্বন করছে না। কিন্তু এই গ্রেপ্তার আগে করে কি পুলিশ নিজেদের নিরপেক্ষতার প্রমাণ দিতে পারত না? তৃণমূলের সঙ্গে অজিত মাইতির যোগ ছিল বলে তাকে এতদিন গ্রেফতার করা হলো না। আর যেই তৃণমূল তাকে পদ থেকে সরিয়ে দিল, তখনই পুলিশ এই গ্রেফতার করে বুঝিয়ে দিল যে, তৃণমূল নেতাদের চটি চাটা ছাড়া তাদের আর কোনো কাজ নেই।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই রাজ্যের প্রশাসনকে আর কিই বা বলা যেতে পারে! এরা এতটাই নির্লজ্জের চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েছে যে, তৃণমূল নেতাদের বাড়ির বাজার করতেও এরা দুবার ভাবে না। যদিও বা ইতিমধ্যেই এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একটি বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কালী পুজোতেও নাকি কলকাতা পুলিশকে দিয়ে রন্ধন শালার তদারকি করানো হয়েছিল। এমনকি যে প্রসাদের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছিল, সেটাও নাকি সেই পুলিশকর্মীরা করেছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই এত কিছুর পরেও এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীর কেন লজ্জা হচ্ছে না! কেন তিনি পুলিশের মেরুদণ্ড ঠিক করতে পারছেন না! বাংলাকে কোন বিপদের সীমানায় নিয়ে যাচ্ছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী! সেটা উপলব্ধি করতে হবে রাজ্যের জনতা জনার্দনকে। সন্দেশখালির ঘটনা আরও একবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যে, পুলিশি নির্যাতন, পুলিশি ষড়যন্ত্র ঠিক কোন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে এই সোনার বাংলায়। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!