ব্রিগেডের আগে ফের সিপিআইএমের ঘর ভাঙলো তৃণমূল কলকাতা রাজ্য January 31, 2019 লোকসভা ভোটের মুখে ফের বামফ্রন্টের সাংগঠনিক দূর্বলতা প্রকাশ্যে আসল। ওদিকে ৩ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছে বামেরা। নিজেদের হারানো শক্তি ফিরে পেতে চেষ্টায় কোনো খামতি না রাখলেও ঘুন ধরছে বামসংগঠনে। আর সেটারই প্রমাণ পাওয়া গেল এদিন। সিপিএমের মনোবলে জোর ধাক্কা দিয়ে দলের দুজন হেভিওয়েট নেতা এবং কয়েকশো কর্মী সমর্থক জোড়াফুলে নাম লেখালো। লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে কয়েক মাস আগেই। এখন শেষমুহূর্তের প্রস্তুতি নিয়ে চূড়ান্ত তৎপর রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। প্রচার কর্মসূচির সঙ্গে জোরকদমে চলছে সাংগঠনিক শক্তিবৃদ্ধির কাজ। বাংলায় এই মুহূর্তে দাপট চলছে তৃণমূলের। আর সাংগঠনিক শক্তিতে এর পরের স্থানটি রয়েছে বিজেপির। ৩৪ ধরে একসময় বাংলা শাসন করতো যারা,সেই বামফ্রন্টের দেখা মেলা ভার। নিভু নিভু সংগঠন নিয়ে কোনো মতে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে বিমান বসু,সূর্যকান্ত মিশ্ররা। তবে ১৯ এর লোকসভা ভোটে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেছে তাঁরা। [content_block id=3910 চুপ করে বসে থেকে নয়,সংগঠনের দূর্বলতা কাটিয়ে উঠে লোকসভা ভোটে নিজেদের ক্ষমতার প্রমাণ আরো একবার দিতে চায় বামেরা। বোঝাতে চায় কাস্তে-হাতুরির আওয়াজ বাংলা থেকে একেবারে বিদায় নেয়নি। আর সেজন্যে তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের পর ৩ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডের মাঠ ভরানোর অঙ্গীকার নিয়েছে বামেরা। এই মুহূর্তে জেলায় জেলায় সেই ব্রিগেড সমাবেশের প্রচার কর্মসূচিই জোরকদমে চলছে। তার আগেই বাম সংগঠনে জোর ধাক্কা! কয়েকশো কর্মী সমর্থক সহ দুই দাপুটে নেতা লালশিবির ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের কর্তাদের। রাজনৈতিক সূত্রের খবর,সাতুড়ি ব্লকের টারাবাড়ি অঞ্চলের সিপিএম নেতা ও জেলা কমিটির সদস্য প্রভাব আচার্য ও অর্জুন মন্ডল কয়েকশো কর্মী সমর্থকদের নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি তাঁদের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দিলে দলে তাঁদের স্বাগত জানালেন। লোকসভা ভোটের আগে এটা যে বামেদের জন্যে মোটেই ভালো খবর নয় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কীভাবে সংগঠনকে ধ্বসের হাত থেকে রক্ষা করা যায় সেটাই এখন চিন্তার কারণ হয়েছে বামফ্রন্ট নেতাদের। আপনার মতামত জানান -