এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মহারাষ্ট্রে বিজেপিকে সমর্থন এনসিপির, শরদ পাওয়ারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

মহারাষ্ট্রে বিজেপিকে সমর্থন এনসিপির, শরদ পাওয়ারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন


 

বেশ অনেকদিন হয়ে গেল, মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। তবে ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই শুরু হয়েছিল নাটকীয় পরিস্থিতি। প্রথমদিকে অবস্থা যেদিকে মোড় নিয়েছিল, তাতে আঁচ করা গিয়েছিল যে, বিজেপি- শিবসেনা জোট এই রাজ্যে সরকার গঠন করবে।

কিন্তু মন্ত্রিত্বের ব্যাপারে শিবসেনার ফিফটি-ফিফটি ফর্মুলাতে রাজি হয়নি গেরুয়া শিবির। আর তাইতো প্রথম দিকে দুই দলের উদ্যোগে সরকার গঠন হবে বলে মনে করা হলেও পরবর্তীতে শিবসেনার সঙ্গে বিজেপির সম্পর্কের অবনতি ঘটতে দেখা গেছে। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের ব্যাপারে শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেসের জোটের ব্যাপারে প্রবল জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে।

ঠিক হয়, আগামী পাঁচ বছর এই জোট সরকার গঠিত হলে তার মুখ্যমন্ত্রী হবেন শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে। আর উপমুখ্যমন্ত্রী আড়াই বছর কংগ্রেস এবং আড়াই বছর এনসিপির জন্য বরাদ্দ থাকবে। সূত্রের খবর, এদিন সেই ব্যাপারে তিন দলের তরফে জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার জন্য সাংবাদিক সম্মেলনের ডাক দেওয়া হয়। কিন্তু তার আগেই এনসিপির সমর্থন নিয়ে মহারাষ্ট্রের সরকার গড়ল ভারতীয় জনতা পার্টি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, শনিবার সকালে রাজভবনে গিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। অন্যদিকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন এনসিপির অজিত পাওয়ার। আর এনসিপি, কংগ্রেস এবং শিবসেনা জোট করে সরকার গড়বে বলে দাবি করা হলেও শনিবার সকালে এনসিপির অজিত পাওয়ার কেন বিজেপির কাছে নিজেকে সমর্পন করলেন! এখন তা নিয়েই বিভিন্ন মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

একাংশের মনে প্রশ্ন, তাহলে কি এনসিপির অন্দরে সেই জোট সরকার গঠন নিয়ে কোনো মতানৈক্য তৈরি হয়েছিল! আর তাই কি অজিত পাওয়ার বিজেপিকে সমর্থন দিলেন! এদিন এই প্রসঙ্গে কিছুটা চাপে পড়েই এই ঘটনার পর টুইট করতে হয় এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারকে। এদিন তিনি বলেন, “সরকার গঠনে বিজেপিকে সমর্থন অজিত পাওয়ারের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এনসিপি দলগতভাবে এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত নয়। কোনোভাবেই এই সরকারকে সমর্থন বা অনুমোদন দেবে না।”

তবে গোটা দল বিজেপির এই সরকারকে সমর্থন করে না বলে এনসিপি সুপ্রিমো জানালেও এই ব্যাপারে অন্য দাবি করতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা গিরিশ মহাজন বলেন, “অজিত পাওয়ার সব বিধায়কদের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি রাজ্যপালকে দিয়েছেন। তার মানে সব এনসিপি বিধায়করা বিজেপির সঙ্গেই রয়েছেন।”

আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, বিধানসভা নির্বাচনের আগেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অজিত পাওয়ার, শরদ পাওয়ার সহ একাধিক কংগ্রেস এবং শিবসেনা নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে। আর সেখানেই তিনি চাপে পড়তে পারেন। আর সেই আশঙ্কাতেই আগেভাগে কি বিজেপির কাছে নিজেকে সমর্পিত করলেন! এই ব্যাপারে বিজেপির গিরিশ মহজন বলেন, “এখনও পর্যন্ত আজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ মেলেনি। কোনো মামলাতে তিনি দোষী সাব্যস্তও হননি।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরদ পাওয়ার যে কথাই বলুন না কেন, তার দলে যে ঐক্য নেই, তা অজিত পাওয়ারের বিজেপিকে সমর্থন দেওয়ার ঘটনাতেই প্রমাণ হয়ে গেল। তবে আশা-আশঙ্কা একটা থেকেই যাচ্ছে যে, শরদ পাওয়ার প্রকাশ্যে বিজেপিকে সমর্থন করার কথা না বললেও যেভাবে তার দলের অজিত পাওয়ার বিজেপির দাবি অনুযায়ী একগুচ্ছ বিধায়কের নাম রাজ্যপালের কাছে জমা দিয়েছেন, তাতে সেই বিধায়করা সত্যি সত্যিই বিজেপিকে সমর্থন করেন! নাকি অজিত পাওয়ারের দাবি মিথ্যা হয়, এখন সেদিকেই তাকিয়ে গোটা মহারাষ্ট্রবাসী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!