এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে বাড়ছে জল্পনা, লড়াইয়ে কারা?

ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে বাড়ছে জল্পনা, লড়াইয়ে কারা?


দীর্ঘ ২৫ বছরের বাম জামানার অবসান ঘটিয়ে ত্রিপুরাতে অসাধ্যসাধন করে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি শিবির। এই জয় নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়ায় ত্রিপুরায় বিজেপির পর্যবেক্ষক সুনীল দেওধর জানান, অল্প সময়ে সংগঠন গড়়ে আর মানুষকে বোঝাতে পেরে ত্রিপুরায় যা অর্জন করেছি, এখন ২৫ বছরের আগে হাতছাড়া হতে দেব না। প্রসঙ্গত, অন্যান্য দলের মতো দীর্ঘ লড়াই বা দীর্ঘ আন্দোলন ছাড়াই আজ শুন্য থেকে শিখরে উঠলো বিজেপি। সিপিএমকে হারিয়ে ত্রিপুরাতে মতাদর্শগত জয় হয়েছে বলে দাবি বিজেপি শিবিরের। প্রসঙ্গত, ৫ বছর আগে হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ৩৮% ভোট নেমে এসে এবার দাঁড়িয়েছে ১.৮%-এ। অন্যদিকে ৫ বছর আগে হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে ১.৫% ভোট পেলেও, এবার বিজেপির বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০%-এ।

আর তাই ঐতিহাসিক জয়ের ফলে অনুষ্ঠিত মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের দিন হাজির থাকবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও বিজেপি শাসিত মোট ১৯ টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে সেদিন হাজির করানো হবে আগরতলায় বলেই বিজেপি সূত্রের খবর। স্থানীয় সূত্রের খাবারঅনুযায়ী, সরকার গঠনের প্রক্রিয়া অনুযায়ী বিজেপি রাজ্য সভাপতি বিপ্লব দেবের নেতৃত্বে বিজেপি এবং আইপিএফটির প্রতিনিধিরা নতুন সরকার গঠনের দাবিতে রাজ্যপাল তথাগত রায়ের কাছে যাবেন। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে প্রতিনিধিদল ফিরে এলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা শীর্ষনেতা নিতিন গড়কড়ি ও জুয়েল ওঁরাও দলের নতুন বিধায়কদের সাথে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের নাম ঠিক করতে। এরপর দিল্লির সংসদীয় বোর্ডের কাছে পেশ করা হবে বিধায়কদের বেছে দেওয়া মন্ত্রীদের নামের তালিকা। দিল্লি থেকেই অনুমোদনের পর ঘোষিত হবে ত্রিপুরায় বিজেপির মন্ত্রিসভা। বিজেপির তরফে মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে প্রাথমিক ভাবে অনেকে থাকলেও, বিজেপি রাজ্য সভাপতি বিপ্লবকুমার দেবের নামেই শেষপর্যন্ত সিলমোহর পড়ার সমূহ সম্ভাবনা। ফলে উপমুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার অনেক। জোটসঙ্গী আইপিএফটি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবি করে বসেছে, সুতরাং তা যদি বিজেপি নিজের কাছে রাখে তাহলে উপমুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য আইপিএফটি সভাপতি এন সি দেববর্মার নাম নিয়ে জোরালো দাবি রাখবে। অন্যদিকে কংগ্রেস ত্যাগী বিজেপি নেতা সুদীপ রায়বর্মন ও রতনলাল নাথ – তাঁরাও বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার লক্ষ্যে, তাই তাঁরাও যে উপমুখ্যমন্ত্রী পদ পাওয়ার জন্য ঝাঁপাবেন সেকথা বলায় বাহুল্য। সব মিলিয়ে ঐতিহাসিক জয়ের পরেও মন্ত্রীত্ত্বের দাবি সামলাতে হিমশিম অবস্থা বিজেপি শিবিরের, এখন শেষপর্যন্ত কার ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে সেদিকেই তাকিয়ে এখন রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!