এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > বিজেপি কর্মীদের নবান্ন অভিযানে নিয়ে যাওয়া বাসগুলোকে এবার বসিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু বাংলায়?

বিজেপি কর্মীদের নবান্ন অভিযানে নিয়ে যাওয়া বাসগুলোকে এবার বসিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু বাংলায়?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের শাসকদের তৃণমূলের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হলো বিজেপি। তৃণমূল ও বিজেপি দলের মধ্যে রাজনৈতিক আক্রোশ চরম আকার ধারণ করেছে। দুই দলের সদস্যদের মধ্যে বারবার ঘটছে সংঘর্ষ রাজ্যের প্রান্তে প্রান্তে। গত বৃহস্পতিবার বিজেপির যুব মোর্চার পক্ষ থেকে নবান্ন ঘেরাও কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। যার ফলে সেদিন কলকাতায় হুলুস্থূল বেঁধে যায়। তবে স্যানিটাইজেশনের কারণে দুদিন ধরে বন্ধ রাখা হয় নবান্ন।

সেদিন পুলিশ ব্যাপক ভাবে লাঠিচার্জ, কাদানি গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে বিজেপির অভিযানকে ছত্রভঙ্গ করে দিতে। জলকামানের জলে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে বিজেপির পক্ষ থেকে। স্থানে স্থানে সেদিন পুলিশ – বিজেপির সংঘর্ষ চলেছে। কিন্তু এতেও মিটলো না আক্রোশ। এবার নবান্ন অভিযানে ব্যাবহৃত দুটি বাসকে বন্ধ করে দেবার সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।

বিজেপির নবান্ন অভিযানে ব্যাবহৃত দুটি বাস আজ থেকে আর পথে নামতে দেয়া হবে না বলে জানানো হলো ডিএন৪৪ (বনগাঁ-দক্ষিণেশ্বর ) রুটের বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে। বাস মালিক সমিতির অভিযোগ গত ২০০৯ সালে এই ডিএন৪৪ রুট চালু হয়েছিল।

সেসময় সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, কোন সরকারি কাজে বা রাজনৈতিক কোন কর্মসূচিতে যদি কোন বাস যদি ভাড়া দিতে হয়, তবে সে বিষয়ে পূর্বেই অবগত করতে হবে সমিতিকে। সমিতির অভিযোগ, সমিতিকে না জানিয়েই বাস দুটি ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ডিএন৪৪ বাস মালিক সমিতির সম্পাদক তাপস দাস জানালেন, ‘‘বৃহস্পতিবার বাস না পেয়ে যাত্রীরা সমস্যায় পড়েছিলেন। তাই আপাতত ওই দু’টি বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ নিগমের সরকারি সদস্য গোপাল শেঠ জানালেন যে, এই বাস মালিকের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে। তবে সমিতিকে না জানিয়ে বাস ভাড়া দেবার কথা বিষয়টি বাস মালিক নিত্য সাহা স্বীকার করে নিলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, ‘‘পাড়ার ছেলেরা চাপাচাপি করায় ভাড়া দিয়েছিলাম।’’

তবে, বাস বন্ধের মধ্যে কোনো রাজনীতি নেই বলেই জানালেন বনগাঁ শহর যুব তৃণমূল সভাপতি প্রসেনজিৎ ঘোষ। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, বাস মালিক সমিতির সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের কোনো কোনো সম্পর্কই নেই। তবে, এ প্রসঙ্গে বিজেপির বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি দেবদাস মন্ডল জানিয়েছেন যে, ডিএন৪৪ রুটের এই বাস দুটি তাঁরা সেদিন ১৮ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ তৃণমূলের চাপে পড়েই বাস মালিক সমিতি এই বাসগুলিকে বসিয়ে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে বিবৃতিই দেওয়া হোক না কেন, বাস বন্ধের ঘটনায় রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন অনেকেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!