ডিউটিতে থাকাকালীন তৃণমূলের মিছিলে হাঁটার অভিযোগ হাসপাতালের BHOM রাজ্য May 29, 2018 রবিবার পেট্রোপণ্যের মূল্য ব্রৃদ্ধির প্রতিবাদে ঝাড়গ্রামে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। সেই মিছিলে অংশ নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিলেন জেলার দুই সরকারী চিকিৎসক। দুই চিকিৎসকের একজন হলেন গোপীবল্লভপুর – ২ নং ব্লকের তপসিয়া গ্রামীণ হাসপাতালের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক খগেন্দ্রনাথ মাহাতো। অন্যজন হলেন গোপীবল্লভপুর ব্লকে স্কুল হেলথ টিমের চুক্তি ভিত্তিক চিকিৎসক আকাশ মাহাতো। এই দুজন চিক্তসকের মধ্যে আকাশ বাবুর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও । খগেন্দ্র নাথ বাবুর থেকে জানা গেছে রবিবারের পদযাত্রায় উপস্থিত থাকতে পেরে তিনি খুবই গর্বিত। এদিন তিনি বললেন, “ বাংলার তথা বিশ্ব বাংলার কাজ করতে পেরে, দেশের কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।” জানতে পারা গেছে এই দুই চিকিৎসকই রাজ্যের শাসক দল প্রভাবিত চিকিৎসক সংগঠনের সদস্য। কিন্তু সরকারী চিকিৎসক হয়ে রাজনৈতিক দলীয় মিছিলে অংশ নেওয়ার ঘটনা রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে সার্ভিস ডক্টর্স ফোরামের রাজ্য সম্পাদক সজল বিশ্বাস নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বললেন , “ সার্ভিস রুল অনুয়ারী কোনো সরকারী চিকিৎসক বা কর্মী কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচীতে যোগ দিতে পারেন না। এতে তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। ” মাত্র কয়েক মাস আগে ঝাড়্গ্রাম জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অশ্বিনী মাঝি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে একটি নির্দেশ জারী করে বলেছিলেন যে তাঁদের সর্বক্ষণ ব্লক হাসপাতাল চত্বরের আবাসনেই থাকতে হবে। কিন্তু এই দুই চিকিৎসক কোনো উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই হাসপাতালের কাজের দায়িত্ব উপেক্ষা করে রাজ্যের শাসক দলের মিছিলে যোগদান করেছেন। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ঝাড়্গ্রাম জেলা শহরের এদিনের মহা মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অজিত মাইতি, সাংসদ উমা সোরেন, জেলার দলীয় পর্যবেক্ষক প্রদীএপ বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের দুই কার্যকরী সভাপতি চুড়ামনি মাহাতো এবং সুকুমার হাঁসদা প্রমুখ নেতৃ বৃন্দ। মিছিলের একদম প্রথম সারিতে দলীয় নেতা মন্ত্রীদের পাশাপাশি এই দুই চিকিৎসককে এদিন সারা শহর জুড়ে চলা এই মিছিলে হাঁটতে দেখা যায়। যদিও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অশ্বিনী মাঝির ঘটনার সত্যতা দাবি করে বললেন, “ ওই দুই চিকিৎসক সাংসদদের জন্যে মিছিলে থাকা মেডিকাল টিমের সাথে ছিলেন। ” এই কথার ভিত্তিতে পালটা প্রশ্ন করা হয় যে তাহলে সেই মেডিকাল টিমের বাকি সদস্য, অ্যাম্বলেন্স বা বাকি চিকিৎসার সরঞ্জাম কোথায় ছিলো? আর পুরো পথ এই দুই চিকিৎসক হাঁটলেনই বা কেনও? এই কথার জবাবে, মানসিক ধৈর্যচ্যুতি ঘটিয়ে অশ্বিনী বাবু বললেন, “ কে মিছিলে যাবেন, কে সাঁতার কাটবেন, সেই সব ব্যক্তিগত খবরও কি আমাকে রাখতে হবে !” আর জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত বাবু বললেন, “ এদিন মিছিলে বহু মানুষ হেঁটেছেন কে বিএমওএইচ কে সিএমওএইচ তা তো আমি জানিনা।” আপনার মতামত জানান -