এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > চীন ভারত যুদ্ধ কি এবার আসন্ন? কি বলছে আন্তর্জাতিক মহল?

চীন ভারত যুদ্ধ কি এবার আসন্ন? কি বলছে আন্তর্জাতিক মহল?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কিছুদিন ধরেই চীন এবং ভারতের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে বেশ জল্পনা শোনা যাচ্ছিল। আশঙ্কা সত্যি করে এই মুহূর্তে ভারত এবং চীনের আন্তর্জাতিক সীমান্ত সমস্যা জটিল আকার ধারণ করেছে। সীমান্ত নিয়ে 45 বছর পর আবারও ভারত-চীন নিয়ন্ত্রণরেখায় গন্ডগোল শুরু হয়েছে। আর এই গন্ডগোলের কারণেই ইতিমধ্যে ভারতের কুড়িজন সেনা জওয়ান শহীদ হয়েছেন চীনের হাতে। আর এরপর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে সারাদেশ।

এই মুহূর্তে নতুন করে অবশ্য সংঘর্ষ পরিস্থিতি আর ভারত-চীন সীমান্তে শুরু হয়নি ঠিকই, কিন্তু আগামীদিনের যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমত জল মাপছে এই মুহূর্তে দুই দেশ। অন্যদিকে আগেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, চীন কিন্তু এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক মহলে যথেষ্ট কোণঠাসা। আশঙ্কা সত্যি করে এবার জানা যাচ্ছে, চীনের বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক শক্তিধর দেশ। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে সীমান্তে ভারত যুদ্ধ তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে।

অন্যদিকে মার্কিন নৌ সেনার তিনটি এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার ক্রমশ দক্ষিণ চীন সাগর ধরে এগিয়ে আসছে বলে খবর। অন্যদিকে এবার জাপানের পক্ষ থেকে চীন সীমান্তের দিকে লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক মিসাইল রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে। পূর্ব চীন সাগরের সামনেই মোতায়েন করা হয়েছে জাপানের প্যাট্রিয়ট পিএসি থ্রি এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম। অন্যদিকে জাপান ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, তাদের চারটি মিলিটারি বেসে পিএসি থ্রি এমএসই মিসাইল বসানো শুরু হবে। এই মিসাইলগুলির পাল্লা 100 কিলোমিটারের বেশি বলে জানা গেছে।

গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে টোকিওর এবং বেজিং এর মধ্যে যে চূড়ান্ত বিবাদ শুরু হয়েছিল, তা এখনো চলছে। এবং সেই বিবাদের জবাব দেওয়ার জন্যই বর্তমানে জাপানের নতুন পদক্ষেপ চীনের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে চীনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। যেভাবে চীন ভারতের আন্তর্জাতিক সীমান্তে জমি দখল করতে এগিয়ে চলেছে, তার চূড়ান্ত নিন্দা করেন তিনি। অন্যদিকে সূত্রের খবর, রাশিয়া থেকে নতুন বারোটি মিগ 29 এবং সুখোই 30 কিনতে চলেছে ভারত।

রাশিয়াও ভারতকে যথাসম্ভব সাহায্য করবে এ ব্যাপারে বলে জানিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত চীন আন্তর্জাতিক দ্বন্দ্ব শুধু মাত্র দুটি দেশের মধ্যে নয়। এ ব্যাপারে বেজিং বিরোধী সমস্ত দেশও তাঁদের প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে ইতিমধ্যে এবং আকারে-ইঙ্গিতে তা যথেষ্ট স্পষ্ট। ভারতের পাশে এই মুহূর্তে চীনের বিরুদ্ধে যাঁরা দাঁড়াচ্ছে তাঁরা হল- আমেরিকা, ফ্রান্স, জাপান, ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়া। তবে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে এক্ষেত্রে রাশিয়া। জার্মানি তাঁর মতামত এখনো জানায়নি বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে লাদাখ সীমান্তে সেনা বাহিনীর তৎপরতা লক্ষ্য করার মতো। ইতিমধ্যে জানা গেছে, যে গলওয়ান নদীর ওপর সেতু তৈরি নিয়ে এত গন্ডগোল, তা সম্পূর্ণ করতে পেরেছে ভারতীয় সেনা ইঞ্জিনিয়াররা। এই সেতুর অপর আর্মড ভেহিকেল মুভমেন্ট পরীক্ষাও করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি এবার ভারতীয় বায়ুসেনার পক্ষ থেকে লাদাখের আকাশে উড়তে শুরু করেছে ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তিশালী হেলিকপ্টার অ্যাপাচে।

অন্যদিকে জানা গেছে, এই মুহূর্তে ভারতের পক্ষ থেকে চন্ডিগড় থেকে লাদাখ পর্যন্ত একটি ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে যা সচরাচর যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর হয়ে থাকে। এদিকে ভারতের কাছে খবর এসেছে, গলওয়ান উপত্যকায় নিয়ন্ত্রণরেখায় ইতিমধ্যে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি অর্থাৎ চীনা সৈন্যবাহিনী প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। এমনকি ভারতের তিব্বত সীমান্তে পাঁচটি নতুন মিলিশিয়া ইউনিট তৈরি করেছে তাঁরা। অন্যদিকে ভারতও সম্পূর্ণরূপে তৎপর চীনকে উপযুক্ত জবাব দিতে বলে জানা গেছে।

এই মুহূর্তে জানা যাচ্ছে, হিমাচল প্রদেশের মানালি থেকে লেহ হাইওয়ে পর্যন্ত শুধুই সেনাবাহিনী জওয়ানদের সাঁজোয়া গাড়ির সার। আর এই সাঁজোয়া করেই ইতিমধ্যে লাদাখ সীমান্তে পৌঁছে গেছে এম 377 লাইট হাউইৎজার! যা অত্যন্ত কার্যকর শক্তি বলে পরিচিত সম্মুখ সমরে। অবশ্য এই মুহূর্তে বিশেষজ্ঞদের মত, ভারত-চীন যুদ্ধকালীন তৎপরতা শুরু হলেও প্রকৃতপক্ষে আদৌ যুদ্ধ হবে কিনা তা এখনই বলা সম্ভব নয়। কারণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দুই দেশই সমানভাবে সচেষ্ট।

তবে এবার ভারতের পক্ষ থেকে ব্যবসায়িক দিক থেকে চীনকে চাপে রাখার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে খবর। ইতিমধ্যে ভারতের বুকে চীনা দ্রব্য বাজেয়াপ্ত করার যে ডাক দেওয়া হয়েছে তা চূড়ান্ত সফল এবং সেই ডাকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিচ্ছে সবাই। তবে এই মুহূর্তে প্রবল স্নায়ুযুদ্ধে চীন যে বেশ কয়েক কদম ব্যাকফুটে রয়েছে সে কথা মেনে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আপাতত ব্যবসায়িক ধাক্কা সামলাবে চীন না আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি সামাল দেবে বিশ্বের কাছে সেই নিয়েই চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!